Just In
পেটের চর্বি কমানোর পাশাপাশি বহুদিন সুস্থভাবে বাঁচতে এই খাবারগুলি খাওয়া বন্ধ করুন
পেটের চর্বি কমানোর পাশাপাশি বহুদিন সুস্থভাবে বাঁচতে এই খাবারগুলি খাওয়া বন্ধ করুন
কোমরের পরিধি যত বাড়বে, তত শরীরে জাঁকিয়ে বসবে নানা রোগ। সেই সঙ্গে ভাল জামাকাপড় পরা যেমন ভুলে যেতে হবে, তেমনি বন্ধুবান্ধবদের হাসির পাত্র হতেও সময় লাগবে না। আপনিও কি চান আপনার জীবন এতটাই দুর্বিষহ হয়ে উঠুক? যদি না চান, তাহলে এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলি খাওয়া বন্ধ করুন। দেখবেন ফল পাবেন একেবারে হাতে-নাতে।
কীভাবে পেটের চর্বি কমানো সম্ভব? এক্ষেত্রে ডায়াটের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কী ধরনের খাবার খাচ্ছি তার উপর আমাদের শরীরের গঠন এবং সুস্থ থাকা অনেকাংশেই নির্ভর করে। তাই তো ঠিক ঠিক খাবার খাওয়া একান্ত প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, খাবারের সঙ্গে যে পরিমাণ ক্যালোরি আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে, সেই পরিমাণ ক্যালোরি যদি দিনের শেষে বার্ন হয়ে যায়, তাহলে শরীরের কোনও ক্ষতি হয় না। সেই সঙ্গে মোটা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। আর যদি উলটো ঘটনা ঘটে, তাহলে দেখা দেয় নানাবিধ সমস্যা।
বিশেষজ্ঞদের মতে পেটের মেদ কমিয়ে ফেলা সবথেকে কঠিন কাজ। তাই তো এমন খাবার খাওয়া উচিত নয়, যা খেলে পেটে চর্বি জমার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে কোন কোন খাবারকে এড়িয়ে চলতে হবে? চলুন জেনে নিন সে সম্পর্কে।
১. পাঁউরুটি:
সাদা পাঁউরুটি খাওয়া একেবারেই চলবে না। আসলে এতে প্রচুর মাত্রায় ক্যালোরি থাকে, যা শরীরে জমতে শুরু করলেই কোমরের মাপে ফারাক আসতে শুরু করে। তাই যদি ফিট থাকতে চান, তাহলে সাদা পাঁউরুরিট খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে।
২. সাদা ভাত:
এতে রয়েছে বিপুল পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, যা শরীরের গঠনে কাজে লাগে ঠিকই। কিন্তু যখনই আমরা বেশি পরিমাণে ভাত খেয়ে নি, তখন বেশিরভাগটাই ঠিক মতো হজম হতে চায় না। ফলে হজম না হওয়া কার্বোহাইড্রেট পেটে জমতে শুরু করে। তাই তো রোগা হতে চাইলে ভাত খাওয়ার পরিমাণে লাগাম টানতে হবে। প্রয়োজনে একজন দক্ষ ডায়াটেশিয়ানের সঙ্গে আলোচনা করে কতটা ভাত খেলে কোনও ক্ষতি হবে না, সে সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
৩. জাঙ্ক ফুড খাওয়া নৈব নৈব চ!
এই ধরনের খাবারে নুনের পরিমাণে যেমন বেশি থাকে, তেমনি ক্যালোরিও থাকে মাত্রা ছাড়া। তাই তো এমন খাবার খেলে মোটা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া নানা কারণে একবার জাঙ্ক ফুড খাওয়া শুরু করলে, বারে বারে, আরও বেশি করে এই ধরনের ভাজাভুজি খেতে ইচ্ছা করে। ফলে ক্যালোরির মাত্রা বাড়তে বাড়তে এমন পরিস্থিতি হয় যে, তখন আর কাছুই করার থাকে না।
৪. মাত্রাতিরিক্ত নুন খাওয়া কমান:
নুন শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। তাই তো বেশি মাত্রায় নুন দেওয়া খাবার খাওয়া একেবারেই চলবে না। সেই সঙ্গে কাঁচা নুন খাওয়াও ছাড়তে হবে। আসলে বেশি পরিমাণে নুন খেলে শরীরে প্রয়োজন অতিরিক্ত জল জমতে শুরু করে, আর্থাৎ ওয়াটার রিটেনশন বেড়ে যায়, বিশেষত পেটের অংশে। ফলে বেলি ফ্যাট বাড়তে শুরু করে।
৫. দুগ্ধজাত খাবার:
এই ধরনের খাবারে প্রোটিন যেমন বেশি পারিমাণে থাকে, তেমনি ফ্যাটও থাকে মাত্রা ছাড়া। তাই তো দুগ্ধজাত খাবার খেলে মেটা হায়ে যাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আবার শরীর ঠিক রাখতেও এমন খাবার না কেলেও চলে না। তাহলে উপায়! কোনও চিন্তা নেই, নিশ্চিন্তে দুধ দিয়ে তৈরি খাবার খেতে পারেন। কিন্তু বেশি পরিমাণে খাবেন না। প্রয়োজনে এই বিষয়ে একজন ডায়াটেশিয়ানের সঙ্গে পরমার্শ করে নিতে পারেন।
৬. আর্টিফিশিয়াল সুইটনার:
এই উপাদানটি যে যে খাবারে বেশি পরিমাণে আছে, এমন খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে। কারণ এমন খাবারে ফুকটোসের পরিমাণ খুব বেশি থাকে, যা পেটে, চর্বির বৃদ্ধি ঘটায়। তাই আপনি যদি রোগা হতে চান, তাহলে এমন খাবার খাওয়া ভুল যেতে হবে।
৭. সানফ্লাওয়ার অয়েল:
এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ট্রান্স ফ্যাট এবং ওমেগা-৬ ফ্যাট, যা শরীরে মেদ বৃদ্ধির পাশপাশি হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি করে। তাই সাবধান!