Just In
আমলকীর ঘায়ে বিদায় দিন মুখের ঘাকে
সকাল বেলায় ফ্রেশ মুডে জলখাবার খেতে বসলেন। কিন্তু খাবার মুখে দিতেই বিপত্তি। মুখের ভিতর মারাত্মত জ্বালা, আর সেই জ্বালার চোটে ভোজনপর্বের দফারফা। তো ব্যাপারটা খোঁজ করতে গিয়ে দেখা গেল, মুখের ভিতরে কোনও এক জায়গায় ছোট মতো লালচে অংশ দেখা যাচ্ছে। কী এটা? এটা হল মুখের ঘা বা মাউথ আলসার।
মুখের ঘা আমাদের অনেকেরই হয়ে থাকে। তাই আলাদা করে সেই যন্ত্রণার বর্ণনা লিখে আর আপনাদের ভয় দেখাবো না। তবে একবার ভাবুন, খিদের জ্বালায় আপনার পেট আর হৃদয় নাজেহাল আর মুখে ঘায়ের জ্বালায় আপনি নিজে নাজেহাল। কি উভয় সঙ্কটে পড়া গেল বলুন তো? অনেকে তো আবার জলটুকুও মুখে তুলতে পারেন না।
সবথেকে খারাপ ব্যাপার হল, মুখের ঘায়ের কারণে অনেকেই খুব দুর্বল হয়ে পড়েন। কারণ এই সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার খাওয়া যায় না, এমনকি শরীরে জলের ঘাটতিও দেখা যায়। কারণ সেই একই।
এখন প্রশ্ন হল, মুখে ঘা কেন হয়? দেখা গেছে মুখে ঘা হওয়ার জন্য অনেকগুলি কারণই দায়ি থাকে। যেমন, মুখের ভিতরে যে পাতলা টিস্যুগুলি থাকে, সেগুলি কোনও কারণে আঘাত পেলে ছিঁড়ে গেলে যায়। অনেক কারণে এমনটা হতে পারে। যেমন, খাবার খেতে গিয়ে বা কথা বলতে গিয়ে জোরে কামড় খেলে, খুব বেশি পাওয়ারের ওষুধ খেলে, কোনও বিশেষ ধরণের অসুখ বিসুখ হলেও এমন সমস্যা দেখা দেয়। প্রসঙ্গত, বেশি মাত্রায় ফাস্ট ফুড খেলেও মুখের আলসার হতে পারে।
এখন প্রশ্ন হল এই রোগের চিকিৎসা কী? আরে বাবা, ভয় পাবেন না। বোল্ড স্কাই আছে তো। যদি ঝটপট মুখের ঘা থেকে নিষ্কৃতি পেতে চান, তাহলে এক্ষুনি চোখ রাখতে হবে বাকি প্রবন্ধে। কারণ যত তাড়াতাড়ি মুখের ঘা সারাবেন, ততই মুখে তুলতে পারবেন সাধের খাবারগুলি। তবে, আর দেরি কেন?
এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, আপনার যদি খুব ঘন ঘন এই ধরণের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। কারণ এই ধরণের মুখের ঘা থেকে পরবর্তীকালে ক্যান্সারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
মুখের আসলার সারাতে একটি ঘরোয়া ওষুধ দারুন কাজে আসে। এটি বানাতে প্রয়োজন পরবে আমলকী এবং মধুর। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো আমলকী নিয়ে প্রথমে ছোট ছোট ঠুকরো করে নিতে হবে। তারপর তা ১ চামচ মধুর সঙ্গে মেশাতে হবে। তাহলেই ওষুধ তৈরি। টানা এক সপ্তাহ ওষুধটি ব্যবহার করলে এমন ধরনের সমস্যা থেকে সহজেই নিস্তার মিলবে। আসলে মধু এবং আমলকীতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান এই ধরনের রোগ সারাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তা হল, এই ঘরোয়া ওষুধটি খাওযার সঙ্গে সঙ্গে পুষ্টিকর খাবারও খেতে হবে। তবেই দ্রুত কষ্ট থেকে মুক্তি মিলবে।
ওষুধটি
বানানোর
পদ্ধতি:
১.
একটা
বাটিতে
নির্দিষ্ট
পরিমাণে
দুটি
উপাদান
মেশান।
২.
ভাল
করে
উপাদান
দুটি
মিশিয়ে
একটা
পেস্ট
বানিয়ে
ফেলুন।
৩.
এবার
পেস্টটা
ক্ষতস্থানে
ধীরে
ধীরে
লাগান।
৪.
১৫
মিনিট
পর
মুখটা
ধুয়ে
নিন।
প্রসঙ্গত,
টানা
এক
সপ্তাহ,
দিনে
একবার
করে
এই
ওষুধটি
লাগালে
উপকার
পাবেন।