For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

পোস্ত খেলে শরীরের কি হাল হয় জানা আছে?

স্বাদে এই খাবারটির কোনও বিকল্প আছে বলে তো মনে হয় না। কিন্তু প্রশ্ন হল পোস্ত কি আদৌ শরীরের পক্ষে উপকারী?

|

এক সময়ে ঘটিদের মধ্যে এই খাবারটি বেশ জনপ্রিয় ছিল। এখন তো ঘটি-বাঙাল এক পাতে চুটিয়ে পোস্ত খেয়ে থাকেন। কেউ খান সাদা ভাতে মেখে, তো কেউ বিউলির ডালের সঙ্গে। কিন্তু যেভাবেই খান না কেন, স্বাদে এই খাবারটির কোনও বিকল্প আছে বলে তো মনে হয় না। কিন্তু প্রশ্ন হল পোস্ত কি আদৌ শরীরের পক্ষে উপকারী?

অনেকে বলে এটি একেবারেই শরীরের পক্ষে ভাল নয়। কিন্তু একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে পোস্তের অন্দরে উপস্থিত নানাবিধ ভিটামিন এবং মিনারেল নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। শুধু তাই নয়, একাধিক রোগের হাত থেকে বাঁচাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন ধরুন...

১. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:

১. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:

ব্রেনকে সচল রাখতে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং কপারের কোনও বিকল্প আছে বলে তো মনে হয় না। আর এই সবকটি উপাদান প্রচুর পরিমাণে রয়েছে পোস্তে। তাই তো ব্রেন পাওয়ার যদি বাড়াতে হয়, তাহলে পোস্ত খেতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, যে কোনও ধরনের মস্তিষ্কঘটিত রোগকে দূরে রাখতেও কিন্তু পোস্ত দারুন কাজে আসে।

২. এনার্জির ঘাটতি দূর করে:

২. এনার্জির ঘাটতি দূর করে:

পোস্তোর অন্দরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, যা শরীরের ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি এনার্জির ঘাটতি দূর করতে দারুন কাজে আসে। তাই তো বলি বন্ধু, শরীরের সচলতা যদি বাড়াতে হয়, তাহলে সপ্তাহে ১-২ দিন পোস্ত খেতে ভুলবেন না যেন!

৩. পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়:

৩. পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়:

শরীরকে সচল রাখতে প্রতিদিন যে যে উপাদানগুলির প্রয়োজন পরে, তার বেশিরভাগেরই যোগান দিয়ে থাকে পোস্ত। তাই তো নিয়মিত পোস্ত বড়া বা আলু পোস্ত খেলে দেহের অন্দরে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ভিটামিন সি, থিয়ামিন এবং ভিটামিন বি৬-এর ঘাটতি দূর হতে সময় লাগে না। ফলে স্বাভবিকভাবেই শরীরের সচলতা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি রোগ ভোগের আশঙ্কাও কমে।

৪. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

৪. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

একেবারেই ঠিক শুনেছেন বন্ধু! পোস্ত খাওয়া মাত্র শরীরে ফাইবারের মাত্রা এত পরিমাণে বেড়ে যায় যে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। তাই তো বলি খাদ্য রসিক বাঙালি, পেটকে যদি ঠান্ডা রাখতে হয়, তাহলে পোস্ত খেতে ভুলবেন না যেন!

৫. হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ে:

৫. হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ে:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত পোস্ত দিয়ে বানানো নানা পদ খেলে শরীরে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। তাই তো যাদের পরিবারে হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের এই প্রকৃতিক উপাদানটির সঙ্গে বন্ধুত্ব করটা কতটা দরকারি, তা নিশ্চয় বুঝেই গেছেন!

৬. পেটের রোগের প্রকোপ কমে:

৬. পেটের রোগের প্রকোপ কমে:

এবার থেকে যখনই দেখবেন স্টমাক পেন হচ্ছে, তখন অল্প করে পোস্ত গুঁড়ো নিয়ে তার সঙ্গে পরিমাণ মতো ঘি মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নেবেন। তারপর সেই পেস্টটা ধীরে ধীরে পেট লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলেই দেখবেন কষ্ট কমে যাবে। নিশ্চয় ভাবছেন, পোস্তের মধ্যে এমন কী আছে, যার জন্য এমন কাজে লেগে থাকে! আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানের মধ্যে পেপাভেরিন নামক এক ধরনের উপাদান থাকে, যা পেটের পেশীর কর্মক্ষমতা বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে অ্যাবডোমিনাল পেন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৭. ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠে:

৭. ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠে:

শুষ্ক ত্বকের কারণে বেজায় চিন্তায় রয়েছেন? ফিকার নট! পরিমাণ মতো পোস্ত নিয়ে তার সঙ্গে জল মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেই পেস্টটা ভাল করে মুখে লাগিয়ে কিছু সময় রেখে দিন। সময় হয়ে গেলে ভাল করে মুখটা ধুয়ে নিন। এমনটা নিয়মিত করলে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা তো ফিরবেই, সেই সঙ্গে সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে। আসলে পোস্তের অন্দরে থাকা উপকারি ফ্য়াটি অ্যাসিড এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৮. ইনসমনিয়ার প্রকোপ কমে:

৮. ইনসমনিয়ার প্রকোপ কমে:

আপনিও কি এমন সমস্যার শিকার? তাহলে প্রতিদিন পোস্ত দিয়ে বানানো চা পান করা শুরু করা উচিত। কারণ একাধিক কেস স্টাডিতে দেখা গেছে এই পানীয়টি নার্ভকে শান্ত করার মধ্যে দিয়ে অনিদ্রার সমস্যাকে দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে পোস্তের অন্দরে থাকা নানাবিধ উপকারি উপাদান কর্টিজল হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে স্ট্রেস বা মানসিক অবসাদকে কমিয়ে আনতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৯. গলার ব্যথা কমে:

৯. গলার ব্যথা কমে:

ঠান্ডা গরমের কারণে বেজায় গলায় ব্যথা? কোনও চিন্তা করবেন না। ঝটপট এক চামচ নারকেলর দুধের সঙ্গে এক চামচ পোস্ত এবং মধু মিশিয়ে নিন। ভাল করে সবকটি উপাদান মিশে গেলে মিশ্রনটি খেয়ে ফেলুন। কয়েকদিন এমনভাবে এই পানীয়টি খেলেই দেখবেন কষ্ট কমে গেছে। আসলে পোস্তের মধ্যে নসেপাইন এবং কোডেইন নামক দুটি উপাদান রয়েছে, যা গলার ব্যথা এবং সর্দি-কাশি কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১০. শরীরের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক রাখে:

১০. শরীরের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক রাখে:

পোস্ত দিয়ে যেমন নানা রকমের মুখরোচক পদ বানানো যায়, তেমনি এই প্রকৃতিক উপাদানটি কাজে লাগিয়ে কলকাতার গরমেও হার মাননো সম্ভব! কিভাবে এমনটা সম্ভব তাই ভাবছেন তো? আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে একটি পানীয়ের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই পানীয়টি বানাতে প্রয়োজন পরে পোস্ত, বাদাম, গোলমরিচ এবং ঠান্ডা দুধের। এই উপাদানগুলি এক সঙ্গে মিশিয়ে য়ে মিশ্রনটি তৈরি হয়, সেটি গরমের সময় খেলে নাকি তাপ প্রবাহের কোনও খারাপ প্রভাবই পরে না শরীরে। সেই সঙ্গে সান স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

Amazing Benefits Of Poppy Seeds For Skin, Hair, And Health

The most important benefit of poppy seeds is the prevention of heart disease. The seeds contain linoleic acid, which is an omega-6 fatty acid required for heart health. Please note that excess of omega-6 fatty acids can harm your health. Hence, balance is key.
Story first published: Saturday, August 11, 2018, 13:34 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion