Just In
- 2 hrs ago
Krishna Janmashtami 2022 : ১৮ না ১৯? কবে জন্মাষ্টমী? জেনে নিন তিথি, শুভক্ষণ ও পূজা বিধি
- 9 hrs ago
Ajker Rashifal : কেমন কাটবে আজকের দিন? জানতে দেখুন ১২ অগস্টের রাশিফল
- 18 hrs ago
Dahi Bhindi Recipe : ডিনারে রুটির সঙ্গে বানিয়ে নিন দই ভেন্ডি, আঙুল চাটবে বাড়ির বাচ্চা থেকে বুড়ো
- 19 hrs ago
এই ৬ খাবারই রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ায়, এখনই না ছাড়লে বিপদে পড়বেন!
Abhishek Chatterjee : হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, ঠিক কী কারণে এমন হল
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। মাত্র ৫৭ বছর বয়সেই শেষ হল তাঁর পথ চলা। জানা গিয়েছে, বুধবার একটি চ্যানেলের হয়ে শ্যুটিং করার সময় বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন তিনি। এরপর বাড়িতে ফিরেও অসুস্থ বোধ করেন। বুধবার মধ্যরাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অভিনেতার আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিনোদনজগৎ।
১৯৮৬ সালে তরুণ মজুমদারের ছবি 'পথভোলা' দিয়ে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ তাঁর। গীত সংগীত, সুজন সখী, প্রাণের চেয়েও প্রিয়, তুফান, দহন, সকাল সন্ধ্যা, অমর প্রেমের মতো অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। নায়ক হিসেবে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। এছাড়া, পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের জন্যও তিনি বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তাঁর শেষ ছবি ২০২১-এ, 'লাভার'। একটা সময়ে তিনি বড় পর্দা থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন। এরপর নতুন ভাবে অভিনয় জীবন শুরু করেন ছোটো পর্দায়। 'ফাগুন বউ', 'খড়কুটো', 'মোহর' সিরিয়ালে তাঁর অভিনয় অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়।
তাঁর সহকর্মীরা জানিয়েছেন, বেশ কিছু দিন ধরেই পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি, লিভারের সমস্যাও ছিল। অসুস্থতা নিয়েই কাজ করছিলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যান এই রোগে। জেনে নিন কোন কোন কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ
উচ্চ কোলেস্টেরল, অতিরিক্ত চিন্তা বা টেনশন করা, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড, শরীরচর্চার অভাব এবং বাড়তি ওজনের মতো সমস্যাগুলির কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেক গুণ। তাছাড়া, এই উপসর্গগুলির কারণে লিভার, কিডনির সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

দাঁতের যত্ন না নেওয়া
ভাল করে দাঁত না মাজলেও হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন! বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখ অপরিষ্কার থাকা বা মুখের ব্যাকটেরিয়া হল পেরিওডন্টাল রোগের কারণ, এই রোগের ফলে ধমনীর চারপাশে প্রদাহ হতে পারে এবং ধমনী ও শিরায় চর্বি জমাতে পারে। এর ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে। মুখ পরিচ্ছন্ন রাখলে হৃদরোগের আশঙ্কা অনেকটাই কমে।

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
লবণ হল সোডিয়ামের মূল উৎস। অত্যধিক সোডিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া হাই ব্লাড প্রেসারের মূল কারণ, যার ফলে বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি। খাবার পাতে কাঁচা নুন, বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাবার, হিমায়িত খাবার, চিপস এবং অন্যান্য স্ন্যাকসেও প্রচুর পরিমাণে লবণ থাকে। তাই এগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল। এছাড়া, অতিরিক্ত ভাজাভুজি ও চর্বি জাতীয় খাবার, তেল-মশলা জাতীয় খাবার বা জাঙ্ক ফুড বেশি খেলেই বাড়তে পারে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। পিৎজ্জা, বার্গার জাতীয় ফাস্ট ফুড থেকেও ধমনীতে চর্বি জমে, যার ফলে রক্ত চলাচলে সমস্যা হয়। এর থেকেই হার্ট অ্যাটাক হয়।

অপর্যাপ্ত ঘুম
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীর সুস্থ ও সক্রিয় রাখতে দৈনিক সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। ঠিকমতো ঘুম না হলে, আমাদের হার্টও বিশ্রাম পায় না। দিনের পর দিন ঘুমের অভাব হতে থাকলে কর্টিসল এবং অ্যাড্রেনালিনের মাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে পারে, ফলে স্ট্রেস বাড়ে। তাই, অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।

হার্টের পরীক্ষা না করানো
সাধারণত আমরা বুকে ব্যথা কিংবা শারীরিক অস্বস্তির মতো লক্ষণগুলিকে গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা বলে এড়িয়ে যাই। কিন্তু এটা করা একেবারেই ঠিক নয়। শারীরিক সমস্যা দেখা দিলেই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। বিশেষত পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে নিয়মিত হার্টের পরীক্ষা অবশ্যই করান। সময়মতো হৃদযন্ত্রের পরীক্ষা করানো অনেক ক্ষেত্রেই ঠেকাতে পারে হৃদরোগকে।

অবসাদ এবং একাকিত্ব
বিষণ্ণতা বা অবসাদের ফলে দৈনন্দিন কাজকর্মে মন বসে না, চলাফেরা কমে যায়, মানসিক চাপের মধ্যে দিন কাটে, সর্বক্ষণ হতাশ অনুভব হয়। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা অনেকটাই বাড়তে পারে। এছাড়া, একাকিত্ব মারাত্মক পরিমাণে রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়, মানসিক চাপও বাড়ে। যার ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়তে পারে।

অত্যধিক ধূমপান ও মদ্যপান
অত্যধিক ধূমপান ও মদ্যপান হার্টের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। যাঁরা নিয়মিত সিগারেট বা গাঁজা খান তাঁদের রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময়েই রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা টের পাওয়া যায় না। ফলে চিকিৎসায় দেরি হয়, আর হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে।