Just In
- 8 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 10 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 13 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 15 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
চটজলদি মরতে না চাইলে ভুলেও সুগন্ধি মোমবাতি ব্যবহার করবেন না!
একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে এমন সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালালে বিষাক্ত ধোঁয়ায় ভরে যায় সারা ঘর। ফলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়। যদিও আপাত দৃষ্টিতে দেহের অন্দরের এই ক্ষয় আমাদের চোখে পরে না।
একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে এমন সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালালে বিষাক্ত ধোঁয়ায় ভরে যায় সারা ঘর। ফলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়। যদিও আপাত দৃষ্টিতে দেহের অন্দরের এই ক্ষয় আমাদের চোখে পরে না, ফলে আমরা জানতেই পারিনা যে মোমাবাতি ধীরে ধীরে আমাদের শেষ করে দিচ্ছে। কমিয়ে দিচ্ছে আয়ু। প্রসঙ্গত, একাধিক গবেষণাতেও একথা প্রামাণিত হয়ে গেছে যে কিছু ক্ষেত্রে স্মোকিং-এর থেকেও বেশি ক্ষতি করে এইসব সুগন্ধি মোমবাতিগুলি। এখানেই শেষ নয়, বেশিরভাগ মোমবাতিতেই ট্রিক্য়ালেকথেন, এসেটন, জাইলিন, পেনল, ক্রেসল, ক্লোরোবেনজেন প্রভৃতি ক্ষতিকর টক্সিন থাকে, যেগুলি দীর্ঘ সময় শরীরে প্রবেশ করলে যে যে ক্ষতিগুলি হয়ে থাকে, সেগুলি হল...
১. বিষক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কাও থাকে:
মিচিগান ইউনির্ভাসিটির গবষকদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে সুগন্ধি মোমবাতিতে উপস্থিত নানাবিধ কেমিকেল বেশি মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করতে শুরু করলে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়, বিশেষত বাচ্চাদের শারীরিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সবথেকে বেশি। তাই বাড়িতে বাচ্চা থাকলে ভুলেও এমন ধরনের মোমবাতি জ্বালাবেন না যেন!
২. সীসার প্রকোপ:
প্রায় সব মোমবাতির পোলতেতেই সীসা থাকে, যা আগুনের সংস্পর্শে আসা মাত্র যে ধোঁয়া বেরয়, তার প্রভাবে মস্তিষ্ক, ফুসফুস এবং লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হয়। সেই সঙ্গে হরমোনাল ইমব্যালেন্স হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। এবার বুঝতে পারছেন তো সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালান কতটা ভয়ঙ্কর ক্ষতি হতে থাকে শরীরের।
৩.অ্যাস্থেমার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়:
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মোমবাতি বানাতে যে মোম ব্যবহার করা হয় তাতে এমন কিছু টক্সিক উপাদান থাকে, যা অ্যাস্থেমা সহ একাধিক রেসপিরেটরি প্রবলেম হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। আসলে মোমমবাতির ধোঁয়ার সঙ্গে বেরনো টক্সিন, ফুসফুসের কর্মক্ষমতাকে ধীরে ধীরে কমিয়ে দেয়। ফলে এক সময় গিয়ে মারাত্মক ধরনের সব ফুসফুসের রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।
৪. কিডনি টিউমার:
বেশ কিছু মোমবাতিতে প্যারাফিন্তেল নামে একটি উপাদান থাকে। যেটি ধোঁয়ার মাধ্যমে শরীরের প্রবেশ করলে কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হয়। কিছু ক্ষেত্রে কিডনি টিউমার হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। সেই কারণেই তো প্রয়োজন ছাড়া মোমবতি জ্বালাতে মানা করেন বিশেষজ্ঞরা, বিশেষত সেন্টড মোমবাতি।
৫.ক্যান্সার রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে:
একাধিক গবষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে মোমবাতিতে উপস্থিত বেনঞ্জিন এবং টলুয়েন বেশি মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে কোষেদের বিভাজন ঠিক মতো হতে পারে না। ফলে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই তো বাচ্চাদের জন্মেদিনে এমন ধরনের মোমবাতি ব্যবহার করতে মানা করেন চিকিৎসকেরা।
৬. ক্রনিক মাথা যন্ত্রণায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে :
সুগন্ধি মোমবাতির আরেকটি ক্ষতিকর প্রভাব হল মাথা যন্ত্রণা হওয়া। এমন মোমবাতিতে থাকা বেনঞ্জিন এবং টলুয়েন নামে দুটি কেমিক্যাল, ধোঁয়ার মাধ্যমে যে মুহূর্তে নাকে এসে পৌঁছায়, অমনি শুরু হয়ে যায় মাথা যন্ত্রণা। তাই তো সময় থাকতে থাকতে সাবধান হওয়া উচিত। না হলে কিন্তু...!
৭. অ্যালার্জি:
মোমবাতি বানানোর গায়ে সেগুলির গায়ে এক ধরনের সিন্থেটিক সেন্ট দেওয়া হয়। যে কারণে অত সুন্দর গন্ধ বেরতে থাকে মোমবাতির গা থেকে। এই বিশেষ ধরনের সুগন্ধি রেসপিরেটরি ট্রাক্টের উপর কুপ্রভাব ফেলে, ফলে প্রথমে শ্বাস কষ্ট, তারপর সারা শরীরে অ্যালার্জি বেরতে শুরু করে দেয়। প্রসঙ্গত, সবারই যে এমন সমস্যা হয়, তা নয়। এই সিন্থেটিক পারফিউমে যে যে উপদানগুলি ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলির মধ্যে কোনওটির কারণে যাদের অ্যাল্য়ার্জি হয়, তাদেরই কেবলমাত্র মোমবাতি থেকে অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সুগন্ধি মোমবাতির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচার উপায়:
যতটা পারবেন সুগন্ধি মোমবাতি কম ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। একান্তই যদি এমন মোমবাতি জ্বালাতে হয়, তাহলে ঘরের সব জানলা খুলে দেবেন। এমনটা করলে বিষাক্ত ধোঁয়া বেরিয়ে যাবে। ফলে ক্ষতির আশঙ্কা কিছুটা হলেও কমবে।