Just In
ধূমপান ছাড়তে চান তো বন্ধু বানান আদাকে!
আপনিও কি আরেক মুস্তাকিন আহামেদ হতে চান?
মুস্তাকিন সেই ভুলটাই করেছিল, যা সবাই প্রায় করে থাকে। বন্ধুদের পাল্লায় পরে প্রথমে ১-২ টো। তারপর দিনে ১০ টায় এসে দাঁড়িয়েছিল তার সিগারেটের সংখ্যা। ফুসফুসে জমছিল বিষ ধোঁয়া। একদিন হঠাৎ ধরা পড়ল বছর ২৫-এর মুস্তাকিন আহামেদের গলায় বাসা বেঁধেছে ক্যান্সার রোগ।
খবরটা শোনার পর নিজের কানকে যেন বিশ্বাস করতে পরাছিল না মুস্তাকিন। মনে মনে এতটাই ভেঙে পরেছিল যে রাগে দুঃখে হাতে বন্ধুক তুলে নিয়েছিল। না নিজেকে মারতে নয়, ইনায়েত নামে যে বন্ধুদের পাল্লায় পরে সে একদিন সিগারেট খাওয়া শুরু করেছিল, তার শরীর ঝাঁজরা করে দিয়েছিল গুলিতে। তারপর...
দিল্লি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে মুস্তাকিনকে। কয়েক দিনের মধ্যে হয়েতা সাজা ঘোষণাও হয়ে যাবে তার। কিন্তু আর কত মুস্তাকিন এমনভাবে বিষ ধোঁয়ার কারণে মারা যাবে বলতে পারেন?
আপনিও কি আরেক মুস্তাকিন আহামেদ হতে চান? উত্তরটা যদি না হয়, তাহলে দয়াকরে একবার এই প্রবন্ধে চোখ রাখুন। দেখবেন সিগারেট ছাড়তে সময় লাগবে না।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বেশ কিছু প্রকৃতিক উপাদান ধূমপানের কুঅভ্যাস ছাড়াতে দারুন কাজে আসে। যেমন ধরুন...
১. আদা:
সিগারেট ছাড়ার পর প্রথম যে লক্ষণটা দেখা দেয়, তা হল মাথা ঘোরা। এই ধরনের লক্ষণের প্রকোপ কমাতে আদা দারুন কাজে আসে। শুধু তাই নয়, সিগারেটের কারণে শরীরের অন্দরে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে, তা সারাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এবার থেকে যখনই সিগারেট খেতে ইচ্ছা করবে এক টুকরো আদা মুখে ফেলে দেবেন। দেখবেন ফল মিলবে।
২. ওটস:
ধূমপান ছাড়াতে ওটসের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে ১ চামচ ওটসের সঙ্গে ২ কাপ গরম জল মিশিয়ে সারা রাত রেখে দিতে হবে। পরদিন সকালে আরেকবার জলটা ফুটিয়ে নিয়ে ব্রেকফাস্টের পর পান করতে হবে। এমনটা প্রতিদিন করলে শরীরে উপস্থিত নিকোটিন এবং বাকি সব টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যেতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছাও কমবে।
৩. জল:
এক্ষেত্রে জল ব্যাপক উপকারে লাগে। তাই তো সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছা জাগলেই জল পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এমনটা করলে ধূমপানের ইচ্ছা যেমন কমে, তেমনি শরীরে উপস্থিত নিকোটিন বাইরে বেরিয়ে যাবে। ফলে নানাবিধ মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। কমে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও।
৪. গোলমরিচ:
এক গ্লাস জলে অল্প করে গোলমরিচ মিশিয়ে সেই জল পান করলে ধূমপানের ইচ্ছা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ফুসফুসও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, জলে গুলে যদি গোলমরিচ খেতে ইচ্ছা না করে, তাহলে খাবারে দিয়েও খেতে পারেন। একই উপকার মিলবে।
৫. মুলো:
যে যে প্রকৃতিক উপাদানগুলি ধূমপান ছাড়াতে দারুন কাজে আসে, তার মধ্যে অন্যতম হল মুলো। একাধিক কেস স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত মুলো রসে অল্প করে মধু মিশিয়ে পান করলে স্মোকিং-এর ইচ্ছা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীরও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, দিনে কম করে ২ বার এই পানীয়টি গ্রহণ করতে হবে। তবেই উপকার মিলবে।
৬. আঙুরের রস:
এই ফলটিতে উপস্থিত অ্যাসিডিক এলিমেন্ট শরীর থেকে নিকোটিনকে বের করে দেয়। ফলে ধূমপানের ইচ্ছা কমতে শুরু করে। শুধু তাই নয়,ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। তাই তো যারা ধূমপান ছাড়তে চান, তাদরে প্রতিদিন এক গ্লাস করে আঙুরের রস খাওয়ার পরামর্শ দেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা।
৭. মধু:
ধূমপান ছাড়ার পর যে যে লক্ষণগুলি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে, তা কমাতে মধুর জুড়ি মেলা ভার। আসলে মধুতে উপস্থিত নানাবিধ ভিটামিন, এনজাইম এবং প্রোটিন এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।