Just In
- 9 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 10 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 14 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 15 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
করোনার মারণ থাবায় আতঙ্কিত ভারতও, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা
স্বাভাবিক ছিল জীবনযাত্রা। মানুষ তখনও বোঝেনি এক মারণ ভাইরাস জীবন কেড়ে নেবে শত শত মানুষের। ছড়িয়ে যাচ্ছে দেশ থেকে বিদেশ নিমেষের মধ্যে। এই আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। বর্তমানে মহামারির আকার ধারণ করা এই ভাইরাস চিন ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে নোভেল করোনা ভাইরাস। চীন, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ইতালি, ফ্রান্স, ইরান নেপালের পর এবার থাবা বসিয়েছে ভারতেও।
করোনা ভাইরাস কী ?
করোনা ভাইরাস মূলত এক গোত্রের অনেকগুলি ভাইরাসকে বোঝায়, যা মূলত প্রাণীদের থেকে পাওয়া যায়। হিউম্যান করোনা ভাইরাস এক ধরনের জুনোটিক রোগ এবং এই রোগের সংক্রমণটি প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এই হিউম্যান করোনা ভাইরাসের প্রথম খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল ১৯৬০ সালে একজন রোগীর মধ্যে, যিনি সর্দিতে ভুগছিলেন। এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা প্রায় ছয়টি করোনা ভাইরাস সনাক্ত করেছেন, যথা আলফা করোনা ভাইরাস(NL63 এবং 229E), বিটা করোনা ভাইরাস (HKU1 এবং OC43) এবং বাকি দুটি সার্স ও মার্স যা মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন : করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর মাস্ক কোনটি?
প্রথম উৎপত্তি
মাসখানেক আগে, অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসে চিনের উহানে প্রথম এই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঘটে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেখানকার বাজারে থাকা সামুদ্রিক মাছ ও পশুপাখি থেকেই এই ভাইরাসের উৎপত্তি। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০০৩ সালে হওয়া 'সার্স' ভাইরাসের পরিবার থেকেই এই ভাইরাসের জন্ম।
ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা
চীনের পর ধীরে ধীরে করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে ভারতেও। ভারতে শুরু হয়েছিল কেরলের ৩ জন ছাত্রকে দিয়ে। সেই ৩ এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩-এ। একদিন আগেই কেরলের একই পরিবারের পাঁচজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এবার, করোনা ভাইরাসের ইতিবাচক প্রমাণ মিলেছে কেরলের ৩ বছরের একটি শিশুর দেহেও। এছাড়াও, ভারতের তেলেঙ্গানা, মুম্বই ও দিল্লির পর পাঞ্জাবের অমৃতসরেও ভাইরাস ধরা পড়েছে দুজন ব্যক্তির দেহে। সর্বসাকুল্যে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৪৩ জন। তবে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে এমনই মত বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন : করোনা ভাইরাস : দেখে নিন ভাইরাস থেকে বাঁচার কিছু সেফটি টিপস্
উল্লেখ্য, সারা বিশ্বে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় এক লাখেরও বেশি। যার মধ্যে শুধুমাত্র চিনে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮০, ৬৫১ জন। চিন ছাড়া যেসব দেশে করোনার দাপট সবচেয়ে বেশি, তার অন্যতম হল ইতালি। ইতালিতে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজার জন। এর মধ্যে মারা গিয়েছেন ২২৫ জন।
কীভাবে প্রতিরোধ করবেন
নোভেল করোনা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও ঔষধ আবিষ্কার হয়নি। তবে,কিছু সহায়ক চিকিৎসা পদ্ধতি এবং ঔষধের মাধ্যমে হালকা থেকে মাঝারি উপসর্গগুলিকে চিকিৎসা করা সম্ভব হয়। এই মারণ রোগ থেকে বাঁচতে সজাগ থাকতে হবে আমাদেরই। চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিরোধের উপায়গুলি -
১) এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে দূরে থাকুন এবং সেই ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এড়িয়ে চলুন।
২) নিজেকে সারাক্ষণ হাইড্রেট রাখুন।
৩) কাশি বা হাঁচির আগে মুখ ঢেকে নিন এবং হাঁচি বা কাশির পরে হাত ধুয়ে নিন।
৪) রান্না না করা মাছ, মাংস এবং ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
৫) শরীরের ইমিউনিটি ক্ষমতাকে বাড়াতে কাঁচা সবুজ সবজি এবং ফল খান রোজ।
৬) জনবহুল এলাকা থেকে দূরে থাকুন এবং ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন ।
৭) যাদের ফ্লু বা সর্দির লক্ষণ রয়েছে তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। কোনও ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার সময় ০.৫ মি থেকে ২ মি দূরত্ব বজায় রেখে কথা বলুন।
আরও পড়ুন : আপনার মনে কি নোভেল করোনা ভাইরাস নিয়ে কোনও প্রশ্ন আছে? দেখে নিন করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য
৮) খাওয়ার আগে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধোবেন।
৯) মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন এবং ব্যবহারের পর মাস্কটি ফেলে দিন বা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখুন। মাস্ক খোলার পর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।