For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

এই ৮ উপায়ে কোঁকড়ানো চুলের যত্ন নিন, চুল থাকবে উজ্জ্বল ও সুন্দর

|

স্ট্রেট চুল হোক কিংবা কোঁকড়ানো, লম্বা-ঘন চুল নারীর সৌন্দর্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে চুলের যথাযথ যত্ন নেওয়া কিন্তু খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। বিশেষ করে কোঁকড়ানো চুল দেখতে যতটা সুন্দর, সামলানো ঠিক ততটাই কঠিন।

কোঁকড়ানো চুল খুব সহজেই রুক্ষ এবং উসকো-খুসকো হয়ে যায়। জট পড়ার প্রবণতাও অনেকটাই বেশি থাকে। তাই কোঁকড়ানো চুলের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। আর সঠিক নিয়ম মেনে কোঁকড়ানো চুলের যত্ন নিলে, চুল ভাল থাকে এবং ক্ষতিও হয় না। তাহলে দেখে নিন, কোঁকড়ানো চুলের যত্ন নিতে কী কী করবেন।

How to Take Care of Curly Hair

১) প্রি-শ্যাম্পু ট্রিটমেন্ট

কোঁকড়ানো চুলের ক্ষেত্রে, প্রি-শ্যাম্পু ট্রিটমেন্ট অত্যন্ত জরুরী পদক্ষেপ। এটি চুলের রুক্ষতা এবং জট পাকানো দূর করতে সহায়তা করে। প্রি-শ্যাম্পু ট্রিটমেন্ট করতে, শুষ্ক চুলে হেয়ার মাস্ক কিংবা কন্ডিশনিং অয়েল লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। চুলে শাওয়ার ক্যাপ কিংবা তোয়ালে জড়িয়ে রাখতে পারেন।

২) চুলের উপযুক্ত শ্যাম্পু নির্বাচন করুন

চুলের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত শ্যাম্পু নির্বাচন করুন। অ্যালকোহল, সুগন্ধি, সালফেট, সিলিকন এবং প্যারাবেন-এর মতো বিষাক্ত রাসায়নিক নেই এমন একটি মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করে ভাল ভাবে চুল পরিষ্কার করে নিন। যাতে চুলে ময়লা, ধুলোবালি, অতিরিক্ত তেল এবং মৃত কোষ না জমে থাকে।

৩) অতিরিক্ত শ্যাম্পু করা এড়িয়ে চলুন

কোঁকড়ানো চুল খুব সহজেই শুষ্ক-রুক্ষ হয়ে যায়। আর অতিরিক্ত শ্যাম্পুর ব্যবহার, চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা নষ্ট করে দিতে পারে। কোঁকড়ানো চুলের ক্ষেত্রে, কন্ডিশনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কন্ডিশনিং, চুলের কিউটিকল রক্ষা করার পাশাপাশি, পরিবেশগত ক্ষতির হাত থেকেও সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে। এমন কন্ডিশনার চুজ করুন যাতে ময়শ্চারাইজিং উপাদানও আছে।

৪) চুল ধোওয়ার জন্য ঠান্ডা জল ব্যবহার করুন

গরম জল মাথার ত্বক এবং চুলের প্রাকৃতিক তেল বা সিবাম নষ্ট করে দেওয়ার পাশাপাশি, চুলের কিউটিকল খুলে দেয়, যার ফলে চুল ফাটা এবং রুক্ষ হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। তাই চুল ধোওয়ার ক্ষেত্রে ঠান্ডা জল ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভাল।

৫) কোঁকড়ানো চুল ব্রাশ করবেন না

শ্যাম্পু করার আগে বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে ভাল করে চুল আঁচড়ে নিন। তবে চুল ধোওয়ার পরে, কেবল আঙুল দিয়ে আলতো ভাবে চুলে ব্রাশ করুন। ভেজা চুল কখনই চিরুনি দিয়ে আঁচড়াবেন না। তাহলে চুল ভেঙ্গে যাওয়া কিংবা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

কোঁকড়ানো চুল আঁচড়ানোর ক্ষেত্রে কখনই ঘন দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করবেন না। এতে চুল ছিঁড়ে যাওয়ার পাশাপাশি, মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই সর্বদা বড় দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন।

৬) মাঝারি তাপমাত্রায় হেয়ার স্টাইলিং করুন

অনেকেই হেয়ার ড্রায়ার, কার্লার বা স্ট্রেটনারের মতো বিভিন্ন স্টাইলিং সরঞ্জাম ব্যবহার করে থাকেন। তবে উচ্চ তাপমাত্রার ব্যবহার কোঁকড়ানো চুলের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এটি চুলের প্রাকৃতিক টেক্সচার নষ্ট করে, চুলকে নিস্তেজ এবং প্রাণহীন করে তোলে। তাই এগুলি কম ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।

৭) স্প্লিট এন্ডস (Split Ends) ছেঁটে ফেলুন

প্রতি ৬-৮ সপ্তাহ অন্তর, চুলের আগা কিংবা স্প্লিঠ এন্ডস ছেঁটে ফেলুন। এতে চুল তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাছাড়া এটি চুলের ফাটার প্রবণতাকেও অনেকটা কমাতে সহায়তা করবে।

৮) কোঁকড়ানো চুলের ঘুমের রুটিন অনুসরণ করুন

রাতে ঘুমানোর আগে মাথার সমস্ত চুল নিয়ে মাথার ওপর খোপা কিংবা আলগা পনিটেল বেঁধে নিন। এটি আপনার চুলের সাথে বালিশের ঘর্ষণ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করবে। তাছাড়া সুতি কিংবা অন্যান্য কাপড়ের পরিবর্তে, সাটিন কিংবা সিল্কের বালিশের কভার ব্যবহার করুন। এটি ঘুমোনোর সময় চুলের ক্ষতি হওয়া রোধ করতে সহায়তা করবে।

English summary

8 Tips to take care of your curly hair In Bengali

Here are some tips to take care of your curly hair. Read on to know.
X
Desktop Bottom Promotion