Just In
- 3 hrs ago প্রেম জীবনে উত্তেজনা মেষ-তুলার, সতর্ক থাকতে হবে ৩ রাশিকে, দেখুন আজকের রাশিফল
- 19 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 21 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 23 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
ঠিক মতো ঘুম না হলে মুখের সৌন্দর্য যাবে কমে!
ঠিক মতো ঘুম না হলে মুখের সৌন্দর্য যাবে কমে!
ঘুম বেজায় কাজের। তবু যেন ওর বদনামের শেষ নেই। কাউকে ঘুমতে দেখা মাত্রই ড্যাব ড্যাব করে চেয়ে থাকা মানুষগুলো হাস্যকর সব বক্তব্য করতে শুরু করে। বাস্তবে যদিও ঘুম ছাড়া আমাদের বেঁচে থাকাটাই সম্ভব নয়। সৌন্দর্য তো কোন ছার। তাই একটাই প্রশ্ন, আপনি রাতে ঠিক মতো ঘুমোন তো?
রাতে ঠিক মতো ঘুম হলে শরীরের পাশাপাশি ত্বকও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। না হলে একদিকে যেমন নানা রোগের কারণে শরীর ভাঙতে শুরু করে, তেমনি ত্বকের সৌন্দর্য কমতে কমতে একেবারে তলানিতে এসে ঠেকে। তাই আপনিও যদি অভিনেত্রীদের মতো সুন্দর ত্বকের অধিকারি হতে চান, তাহলে প্রসাধনি ব্যবহারের আগে ঘুমের দিকে নজর দিন। প্রসঙ্গত, একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে ঘুম কম হলে আমাদের শরীরে কর্টিজেল নামক এক স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। ফলে সারা শরীরে প্রদাহ দেখা দেয়। সেই সঙ্গে ত্বকের উপরও খারাপ প্রভাব পরে। কিছু ক্ষেত্রে তো এই কারণে ব্রণ এবং সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের রোগের প্রকোপ খুব বৃদ্ধি পায়।
আর যদি ঠিক মতো ঘুম হয়, তাহলে? সেক্ষেত্রে শুধু যে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি পায়, তা নয়। সেই সঙ্গে ভেতর থেকে স্কিন সুন্দর হয়ে ওঠে। ফলে নানাবিধ ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে হ্রাস পায়। এখানেই শেষ নয়, ঘুমের সঙ্গে ত্বকের সম্পর্কটা বেশ গভীর। তাই ঘুম ঠিক মতো না হলে আরও কী কী সমস্যা হতে পারে সেই নিয়েই আলোচনা করা হল বাকি প্রবন্ধে।
১. ঠিক মতো ঘুম না হলে ত্বকের রোগের আশঙ্কা বাড়ে:
যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে, রাতে কম করে ৭-৮ ঘন্টার ঘুম না হলে সারা শরীরে প্রদাহ দেখা দেয়। বাদ যায় না ত্বকও। ফলে ড্রাই স্কিন, ব্রণ, চুলকানি, অ্যালার্জি, ইরিটেশন ডার্মাটাইটিস সহ একাধিক ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য পালায় কোন দূর দেশে।
২. ত্বক তার ঔজ্জ্বল্য হারায়:
আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য অনেকাংশেই নির্ভর করে কোলাজেন এবং হায়ালিউরনিক অ্যাসিডের উপর। যখনই আমাদের ঠিক মতো ঘুম হয় না, তখনই এই দুটি উপাদানের মাত্রায় হের ফের ঘটে। যার সরাসরি প্রভাব পরে ত্বকের উপর।
৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কিত ত্বকের রোগ হয়:
ঠিক মতো ঘুম না হলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। ফলে নানাবিধে রোগের প্রকোপ যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি একজিমা এবং সরিয়াসিসের মতো ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা পত্র অনুসারে যারা ক্রনিক সোরিয়াসিসে আক্রান্ত হন, তাদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবনাও থাকে। এবার বুঝতে পারছেন তো রাত্রিকালীন ঘুম কতটা জরুরি।
৪. ত্বক শুষ্ক হতে থাকে:
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ত্বকের অন্দরে জলের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে চোখের নিচে ফোলা ভাব, ডার্ক সারকেল এবং ড্রাই স্কিনর মতো অসুবিধা দেখা দেয়। কিছু ক্ষেত্রে তো ত্বক এতটাই ড্রাই হয়ে যায় যে চামড়া উঠতে শুরু করে। ফলে সৌন্দর্য একেবারে কমে যায়।
৫. ত্বকের বয়স বেড়ে যায়:
গভীর ঘুমের সময় আমাদের ত্বকের ক্ষতিগ্রস্থ কোষগুলি নিজেদের চিকিৎসা করার সুযোগ পায়। ফলে স্কিন প্রবলেম হওয়ার আশঙ্কা কমে। আর যখন ঘুম ঠিক মতো হয় না, তখন ত্বকের ক্ষতিগ্রস্থ কোষগুলি নিজেদের খেয়াল রাখার সুযোগই পায় না। ফলে ত্বকের বয়স বাড়তে শুরু করে।
ঘুম তখনই ঠিক মতো হবে, যখন এই নিয়মগুলি মেনে চলবেন:
১. রাতের খাবার দেরি করে খাবেন না একেবারেই।
২. সারা দিনে কম করে ৩-৪ লিটার জল পান জরুরি।
৩. ঘর অন্ধকার করে শোবেন।
৪. ঘুমতে যাওয়ার আগে ভুলেও মোবাইল ঘাঁটবেন না, টিভিও দেখবেন না।
৫. বিছানার চাদর রোজদিন পরিষ্কার করবেন।
৬. ঘুমতে যাওয়ার আগে পারফিউম বা ঐ জাতীয় সুগন্ধি ব্যবহার করবেন না।