Just In
- 2 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
- 18 hrs ago অসহ্য গরমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ঘরেই বানান ডিটক্স ওয়াটার
- 18 hrs ago গরমে ট্যানিংয়ের সমস্যা? আর নয়, ব্যবহার করুন এই ঘরোয়া প্যাকগুলি
- 22 hrs ago ভ্যাপসা গরমে আপনাকে তৃপ্তি দেবে এক গ্লাস গোলাপ শরবত!
সাদা চুলকে নিমেষে কালো করতে কাজে লাগাতে ভুলবেন না এই প্রকৃতিক উপাদনগুলিকে!
এই প্রবন্ধে এমন কিছু প্রকৃতিক হেয়ার মাস্কের প্রসঙ্গে আলোচনা কর হল, যা নিয়মিত চুলে লাগালে পেকে যাওয়া চুল কালো হয়ে যেতে দেখবেন সময় সাগবে না।
বাড়িতেই শুধু সুখ সঙ্গী। অফিসে যে স্ট্রেসের মারে জর্জরিত জীবন। কারণ... ওই যে ডেডলাইন নামক ফাঁসির দড়ি। একবার ফেল করেছেন কি মরেছেন। ফলে অগত্যা চিন্তায় চিন্তায় শুধু টার্গেট রিচ নয়, সেই সঙ্গে মাথার চুল ছেঁড়া তো রোজের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এমন চুল ছেড়া যুদ্ধের পর যেকটা চুল বেঁচে থাকে, তাদের পেকে যাওয়া শুরু হয়েছে এই ৩০ বছর বয়সেই। তাই যেখানে আমাকে সবার "ভাই" ডাকার কথা, সেখানে কাকু পরিচয়ে সিনিয়ার সিটিজেনের সিট পাচ্ছি বাসে-ট্রামে।
এমন অবস্থার শিকার আপনাদের অনেকেরই। কি তাই তো! এই কারণেই তো এই প্রবন্ধে এমন কিছু প্রকৃতিক হেয়ার মাস্কের প্রসঙ্গে আলোচনা কর হল, যা নিয়মিত চুলে লাগালে পেকে যাওয়া চুল কালো হয়ে যেতে দেখবেন সময় সাগবে না। সেই সঙ্গে চুলের উজ্জ্বতা এবং সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে চোখে পরার মতো। তাহলে আর অপেক্ষা কেন বন্ধুরা, কাকু থেকে আবার ভাই হয়ে ওঠার জার্নিটা শুরু করে দিন এই প্রবন্ধটি পড়তে পড়তে।
প্রসঙ্গত, যে যে হেয়ার মাস্কগুলি এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলি হল...
১. আমলা এবং হেনার প্যাক:
এই হেয়ার মাস্কটি বানাতে প্রয়োজন পরবে ১ কাপ হেনার পেস্ট, ৩ চামচ আমলার পাউডার এবং ১ চামচ কফি পাউডারের। সবকটি উপাদান একসঙ্গে মেশানোর পর ভাল করে চুলে লাগিয়ে কম করে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে সালফার ফ্রি শ্যাম্পু দিয়ে ভাল করে চুলটা ধুয়ে নেবেন। এইভাবে মাসে একবার চুলের পরিচর্যা করলে চুল কুচকুচে কালো হয়ে তো যাবেই, সেই সঙ্গে চুলের গোড়ায় পুষ্টির ঘাটতি দূর হওয়ার কারণে হেয়ার ফলও কমতে শুরু করবে।
২. লাল চা:
শুনতে আজব লাগলেও একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে সাদা চুলকে কালো করতে বাস্তবিকই লাল চায়ের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই পানীয়টিতে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান চুলের অন্দরে প্রবেশ করে এমন খেল দেখায় যে চুলের রং বদলে যেতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, নিমেষে চুলকে যদি উজ্জ্বল বানাতে হয়, তাহলেও কাজে লাগাতে পারেন লাল চাকে। এখন প্রশ্ন হল চুলকে কালো করতে কীভাবে কাজে লাগাতে হবে লাল চাকে? এক্ষেত্রে ১ কাপ জলে ২ চামচ চায়ের পাতা ফেলে জলটা ফোটাতে হবে। যখন দেখবেন জলটা ফুটতে শুরু করেছে, তখন আঁচটা বন্ধ করে জলটা ঠান্ডা করে নিতে হবে। এরপর মিশ্রনটি ভাল করে চুলে লাগিয়ে কম করে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করে হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফলতে হবে চুলটা। প্রসঙ্গত, ২ সপ্তাহে ১ বার এই ঘরোয়া টোটকাটিকে কাজে লাগালে উপকার পাবেন একেবারে হাতেনাতে।
৩. হেনা রেমেডি:
এতে রয়েছে যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ, তেমনি রয়েছে আরও অনেক উপকারি উপাদান, যা একদিকে স্কাল্পে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কাকে যেমন কমায়, তেমনি সাদা চুলকে নিমেষে কালো করে দিতেও বিশেষ ভূমিকা নয়। সেই সঙ্গে চুলের অন্দরে পি এইচ লেভেল বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে চুলের সৌন্দর্য বাড়াতেও সাহায্য করে থাকে। এক্ষেত্রে ২ চামচ চা পাতা, ৪ চামচ হেনা পাউডার, ১ চামচ লেবুর রস এবং ১ চামচ আমলা পাউডারের প্রয়োজন পরবে। প্রথমে এক কাপ জলে হেনা পাউডারটা ৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। অন্যদিকে এক কাপ চায়ে চায়ের পাতা পেলে জলটাকে ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর জলটা ঠান্ডা করে তাতে হেনার পেস্টটা মিশিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে তাতে লেবুর রস এবং আমলা পাউডারটা মিশিয়ে মিশ্রনটি চুলে লাগিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। যখন দেখবেন পেস্টটা শুকতে শুরু করেছে, তখন ভাল করে চুলটা ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রসঙ্গত, মাসে একবার এইভাবে চুলের পরিচর্যা করলেই দেখবেন কেল্লা ফতে!
৪. নারকেল তেল এবং লেবুর রস:
এই দুটি উপাদান চুলের অন্দরে প্রবেশ করে পিগমেন্ট সেলের গ্রোথকে আটকে দেয়। ফলে সাদা হয়ে যাওয়া চুল তো কালো হয়ই, সেই সঙ্গে আরও চুল সাদা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমে। তাই তো চটজলদি সাদা চুলকে কালো করতে এই দুই প্রকৃতিক উপাদানকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না। প্রসঙ্গত, এই হেয়ার প্যাকটি বানাতে প্রয়োজন পরবে ২ চামচ নারকেল তেল এবং ১ চামচ লেবুর রসের। এই দুটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে তা স্কাল্পে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করতে হবে। তারপর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে চুলটা। প্রসঙ্গত, এই ঘরোয়া টোটকাটির সুফল পেতে সপ্তাহে ২ বার এটিকে কাজে লাগাতে হবে।
৫.কারি পাতা:
ছোট একটা পাত্রে ৩ চামচ নারকেল তেলে নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো কারি পাতা ফেলে কিছু সময় গরম করে নিতে হবে। যখন দেখবেন কারি পাতাটা কালো হতে শুরু করেছে, তখন আঁচটা বন্ধ করে দিতে হবে। এবার তেলটা ঠান্ডা করে সেটি স্কাল্পে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করতে হবে। এরপর এক ঘন্টা অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে চুলটা। এইভাবে সপ্তাহে ২-৩ বার চুলের পরিচর্যা করলে দেখবেন কুচকুচে কালো চুলের অধিকারি হতে দেখবেন সময় লাগবে না।