Just In
সুন্দর ত্বক পেতে কাজে লাগাতে পারেন ভাত-কে!
সুন্দর ত্বক পেতে কাজে লাগাতে পারেন ভাত-কে!
ত্বককে সুন্দর করে তুলতে প্রকৃতিক উপাদানের কোনও বিকল্প নেই। তাই তো এই প্রবন্ধে এমনটি কতগুলি পদ্ধতির কথা আলোচনা করা হল, যাকে কাজে লাগালে সৌন্দর্য আপনার নাগালে চলে আসবে। তাহলে অপেক্ষা কিসের! সুন্দর, উজ্জ্বল ত্বকের অধকারি হতে এক্ষুনি চোখ রাখুন এই প্রবন্ধে।
ভাতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা ত্বককে আদ্রতা প্রদান করে। সেই সঙ্গে ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, ত্বক যত আদ্র হবে, তত স্কিন নরম এবং সুন্দর হয়ে উঠবে। তাই তো যারা ড্রাই স্কিনের সমস্যায় ভুগছেন, তারা আর সময় নষ্ট না করে জেনে নিন কীভাবে ভাতকে কাজে লাগানো যেতে পারে ড্রাইনেস দূর করার ক্ষেত্রে। একানেই শেষ নয়। ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে আক কী কী ভাবে সাহায্য করে ভাত, চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
১. ভাত এবং মিল্ক পাউডার ফেস মাস্ক:
অল্প করে ভাত নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো মিল্ক পাউডার যোগ করে নিন। এই মিশ্রনের সঙ্গে ১ চামচ মধু এবং দুধও মেশাতে হবে। সবকটি উপকরণ ভাল করে চটকে নিন, যাতে উপকরণগুলি একে অপরের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। যদি দেখেন মিশ্রনটা খুব থকথকে হয়ে গেছে, তাহলে প্রয়োজন মতো আরও দুধ বা জল মেশাতে পারেন। পেস্টটা বানানো হয়ে গেলে সারা মুখে ভাল করে লাগিয়ে ফেলুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে মুখটা ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন। প্রসঙ্গত, ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে এই ফেস প্যাকটি সাহায্য করে।
২. ভাত এবং হলুদের ফেস মাস্ক:
অল্প কের ভাত নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো হলুদ, ১ চামচ দুধের সর এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন উপকরণগুলি। তারপর সারা মুখে লাগিয়ে পেলুন এই পেস্টটি। কিছু সময় রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখার পাশপাশি প্রদাহ রোধ করতেও এই ফেস প্যাকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. পেঁপে এবং ভাতের ফেস মাস্ক:
পরিমাণ মতো পেঁপে নিয়ে ভাল করে চটকে নিন। তারপর তাতে ১ চামচ মধু, ৩-৪ চামচ ভাত এবং অল্প করে হলুদ মিশিয়ে নিন। সবকটি উপকরণ মেশানোর পর পেস্টটা মুখে এবং গলায় লাগিয়ে ফেলুন। কিছু সময় পরে ঠান্ড জল দিয়ে মুখটা ধুয়ে নিন। এই ফেস প্যাকটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। সেই সঙ্গে ব্রণর প্রকোপও কমায়।
৪. ভাত এবং গ্রিন টি:
একবাটি ভাতকে ভাল করে চটকে নিন। তারপর এক মুঠো গ্রিন-টির পাতা নিয়ে জলে মিশিয়ে জলটা ফোটান। যখন দেখবেন পাতাগুলি ভাল করে ফুটে গেছে, তখন সেগুলি সংগ্রহ করে আলাদা একটা বাটিতে রেখে দিন। এবার ভাতের সঙ্গে গ্রিন-টির পাতাগুলো যোগ করে বানিয়ে ফেলুন ফেস মাস্কটি। পেস্টটা কম করে ২০ মিনিট রেখে মুখটা ভাল করে ধুয়ে নিন।
৫. ভাত, গোলাপ জল এবং দই:
এক কাপ ভাতের সঙ্গে এক কাপ দই এবং ১ চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এই ফেস প্যাকটি বানানোর সময় খেয়াল রাখবেন সবকটি উপদান ভাল করে যেন মিশে যায়। পেস্টটি মুখে লাগিয়ে মাসাজ করুন। ১৫ মিনিট পরে মুখটা হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এই ফেস মাস্কটি ত্বকের পরিচর্যায় দারুন ভাবে কাজে আসে।
৬. ভাত এবং দারচিনির মাস্ক:
আপনার ত্বক কি খুব ড্রাই? তাহলে এই ফেস মাস্কটি আপনার জন্য। ১ কাপ ভাতের সঙ্গে ২ চামচ দারচিনি গুঁড়ো, ১ চামচ গ্লিসারিন এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে বানাতে হবে এই ফেস মাস্কটি। ভাল করে উপকরণগুলি মিশে যাওয়ার পর পেস্টটা মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। সময় হয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৭. ভাত এবং ক্রেনবেরি জুস:
১ কাপ ভাতের সঙ্গে পরিমাণ মতো ক্রেনবেরি জুস, ১ চামচ লেবুর রস এবং ১ চামচ ইপ্সম লবন ভাল করে মিশিয়ে একটা মিশ্রন বানিয়ে ফেলুন। তারপর সারা মুখে লাগিয়ে নিন পেস্টটা। কিছু সময় পরে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। প্রসঙ্গত, ত্বকের বয়স কমাতে এই ফেস মাস্কটি দারুন ভাবে সাহায্য করে।
৮. ভাত এবং ওয়াইন মাস্ক:
ভাত এবং ওয়াইন, দুটিতেই প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকার কারণে ত্বককে ফর্সা বানাতে এই ফেস মাস্কটি দারুন ভাবে কাজে আসে। কীভাবে বানাতে হবে এই ফেস মাস্কটি? অল্প করে ভাত নিয়ে তার সঙ্গে পরিমাণ মতো ওয়াইন মেশান। সেই সঙ্গে যোগ করুন ১ চামচ চন্দন গুঁড়ো এবং ১ চামচ মধু। সবকটি উপকরণ ভাল করে মেশানোর পর মিশ্রনটি মুখে লাগান। কিছু সময় পরে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন।