Just In
রান্নাঘরের এই ৬টি উপাদান ভুলেও ত্বকে সরাসরি লাগাবেন না, মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে
উজ্জ্বল, মসৃণ ত্বক প্রত্যেকেই চায়, তাই কম-বেশি আমরা সকলেই রুপচর্চা করে থাকি। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে মার্কেটের কেমিক্যাল যুক্ত পণ্য ব্যবহার করতে চান না, প্রাকৃতিক উপাদানের উপরই বেশি ভরসা করেন। আর ঘরোয়া বা প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকরী, তা আমরা সকলেই জানি।
তবে আপনি হয়তো জানেন না, রান্নাঘরে থাকা এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান, যেগুলি ত্বকে প্রয়োগ করা হলে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। জেনে নিন রান্নাঘরের ৬টি সহজলভ্য উপাদান সম্পর্কে, যা ত্বকে সরাসরি ব্যবহার না করাই ভাল।
১) বেকিং সোডা
রুপচর্চায় প্রায়ই বেকিং সোডার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। বেকিং সোডা সাধারণত অনেকেই ব্রণ কমানো, ত্বকের কালচে দাগ এবং অন্যান্য দাগ দূর করতে ব্যবহার করে থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে, ত্বকে বেকিং সোডার সরাসরি প্রয়োগ কিন্তু একেবারেই নিরাপদ নয়। কারণ এতে বিভিন্ন যৌগ থাকে, যা ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে, কেমিক্যাল বার্ন কিংবা স্কিন অ্যালার্জিও হতে পারে।
২) লেবুর রস
রূপচর্চায় লেবুর রসের প্রয়োগ হয়েই থাকে। বিভিন্ন ঘরোয়া ফেস প্যাকে আমরা লেবু ব্যবহার করে থাকি। তবে লেবুর রসের সরাসরি প্রয়োগ, ত্বকের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে, লেবুর রস প্রাকৃতিকভাবেই অত্যন্ত অ্যাসিডিক প্রকৃতির এবং এটি ত্বকে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়া লেবুতে থাকা তেল, UV রশ্মির সংস্পর্শে আসলে ত্বকে ফটোটক্সিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যার ফলে ত্বকে ফোস্কা কিংবা ব়্যাশ হতে পারে।
৩) ভিনেগার
যদিও বেশিরভাগ টোনারে ভিনেগার উপস্থিত, তবে আপনি কি জানেন এটি ত্বকের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর? ভিনেগার হল উচ্চ pH যুক্ত এবং এটি উচ্চ অ্যাসিড যুক্ত। তাই ভিনেগারের প্রয়োগ ত্বকে জ্বালা, সানবার্ন, কেমিক্যাল বার্ন কিংবা ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে।
৪) সাদা চিনি
এটি ঠোঁটের এক্সফোলিয়েটর হিসেবে দুর্দান্ত কার্যকর। তবে এর ধারালো প্রান্তগুলি, আপনার মুখের ত্বকের জন্য খুব একটা সুবিধাজনক নয়। বিশেষ করে সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষেত্রে। মুখের ত্বকে চিনি সরাসরি ঘষলে ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। যার ফলে ত্বকে প্রদাহ, লালচে ভাব এমনকি জ্বালা পর্যন্ত হতে পারে।
৫) সাদা লবণ
এটা ঠিক যে, সাদা লবণ ত্বকের ছিদ্রগুলিকে পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। তবে, লেবুর মতো সাদা লবণও সরাসরি মুখে প্রয়োগ করা উচিত নয়। লবণ ত্বকের তেল উৎপাদনে বাধা দেয়, বিশেষত যাদের ত্বক শুষ্ক তাদের জন্য একেবারেই ভাল নয় এটি। তাই আপনি যদি আপনার ত্বকে লবণ প্রয়োগ করতে চান, তাহলে লবণের সাথে সর্বদা জল মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
৬) মশলা
হলুদ অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়ালের মতো বিভিন্ন গুণের অধিকারী। এটি ত্বকের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি। তবে হলুদ ছাড়া অন্যান্য মশলা যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, লঙ্কার গুঁড়ো গরম মশলা, এগুলি কখনোই ত্বকে প্রয়োগ করা উচিত নয়। তাহলে ত্বকে জ্বালাপোড়া, অ্যালার্জি, ব়্যাশ হতে পারে।