Just In
Don't Miss
অত্যধিক চুল পড়ছে? খুশকির সমস্যা বেড়েছে? ব্যবহার করুন পেঁয়াজের রস, জেনে নিন কী করবেন
চুল ঝরে যাচ্ছে খুব? খুশকির সমস্যা আছে? আপনার চুল কি কিছুতেই বাড়তে চায় না? তাহলে একবার অন্তত পেঁয়াজের রস ব্যবহার করে দেখুন। স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে যেমন পেঁয়াজের হাজারো উপকারিতা আছে, একইভাবে চুলের ক্ষেত্রেও পেঁয়াজ দারুণ উপকারি। চুলের গোড়া শক্ত করা থেকে শুরু করে, চুলের বৃদ্ধি, এমনকি চুল ঘন করার ক্ষেত্রেও পেঁয়াজ দুর্দান্ত কার্যকর।
পেঁয়াজের রস স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। তাহলে আসুন দেখে নেওয়া যাক, চুলের যত্ন নিতে কী কী উপায়ে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করা যেতে পারে।
১) পেঁয়াজের রসের সরাসরি প্রয়োগ
পেঁয়াজের রস মাথার ত্বকে পুষ্টি সরবরাহ করে এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতেও সহায়তা করে। এমনকি, স্ক্যাল্পের যেকোনও ধরনের সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতেও এটি দুর্দান্ত কার্যকর। তাছাড়া, এটি চুলকে ঘন এবং দ্রুত বৃদ্ধি করতেও সহায়তা করে।
পিয়াজের রস সরাসরি ব্যবহার করতে, প্রথমে দুটি মাঝারি সাইজের পেঁয়াজে অল্প জল মিশিয়ে ভাল করে থেঁতো করে নিয়ে রস বের করে নিন। এরপর, ওই পেঁয়াজের রসের তুলো ভিজিয়ে, পুরো স্ক্যাল্পে ভালভাবে লাগিয়ে নিন। তারপর কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করে, ১৫-২০ মিনিট রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এই প্রক্রিয়াটি একদিন ছাড়া একদিন করা যেতে পারে।
২) নারকেল তেল এবং পেঁয়াজের রসের ব্যবহার
নারকেল তেলে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য বর্তমান। নারকেল তেলের সাথে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে, এর কার্যকারিতা আরও অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।
এই পদ্ধতিটি করতে, প্রথমে ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস এবং ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল নিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। খুশকির সমস্যা থাকলে, এই মিশ্রণটিতে ৫ ফোঁটা টি-ট্রি অয়েলও মেশানো যেতে পারে। এরপর এই মিশ্রণটি নিয়ে ভাল করে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে, কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর ৩০ মিনিটের মতো রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এই প্রক্রিয়াটি একদিন ছাড়া একদিন করুন।
৩) অলিভ অয়েল এবং পেঁয়াজের রসের ব্যবহার
খুশকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে, অলিভ অয়েল অত্যন্ত কার্যকরী। তাছাড়া অলিভ অয়েল, চুল এবং মাথার ত্বককে কন্ডিশনিং করতেও সহায়তা করে। আর, পেঁয়াজের রস চুলকে দ্রুত বৃদ্ধি করে।
এই প্রক্রিয়াটি করতে, প্রথমে ৩ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস এবং দেড় টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তারপর ওই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে, বৃত্তাকার গতিতে আলতো হাতে ম্যাসাজ করুন। ২ ঘণ্টার মতো রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এই প্রক্রিয়াটিও একদিন ছাড়া একদিন করা যেতে পারে।
৪) ক্যাস্টর অয়েল এবং পেঁয়াজের রসের ব্যবহার
চুলের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে, ক্যাস্টর অয়েল অন্যতম জনপ্রিয় প্রতিকার। ক্যাস্টর অয়েল এবং পেঁয়াজের রসের সংমিশ্রণ, চুল পড়া হ্রাস করার পাশাপাশি, হেয়ার ভলিউম বৃদ্ধি করতেও অত্যন্ত সহায়ক।
প্রথমে ২ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল এবং ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস নিয়ে, ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ভালভাবে লাগিয়ে, আলতো হাতে বৃত্তাকার গতিতে ম্যাসাজ করুন। তারপর ১ ঘণ্টার মতো রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। একদিন ছাড়া একদিন এই প্রক্রিয়াটি করুন।
৫) ডিম এবং পেঁয়াজের রস
এই হেয়ার মাস্কটিতে ডিমের পুষ্টিগুণ এবং পেঁয়াজের রসের উপকারিতাও বর্তমান। এটি চুলে পুষ্টি সরবরাহ করার পাশাপাশি, চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
এটি তৈরি করতে, প্রথমে একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস, একটা গোটা ডিম এবং ২-৩ ফোঁটা রোজমেরি কিংবা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণটি স্ক্যাল্প-সহ পুরো চুলে লাগিয়ে, ২০-৩০ মিনিট শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। তারপর ঠান্ডা জল এবং সালফেট মুক্ত মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এই প্রক্রিয়াটি সপ্তাহে ১-২ বার করতে পারেন।