Just In
- 4 min ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 3 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 5 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 5 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
শ্যাম্পুর কেমিক্যালে চুলের ক্ষতি? বাড়িতেই বানান শ্যাম্পু
নিজের দরকার বুঝে বানিয়ে নিন নিজের জন্য সবচেয়ে ভালো শ্যাম্পু। কী দিয়ে বানাবেন? উপাদানগুলো একেবারেই প্রাকৃতিক।
চুল নিয়ে চিন্তা এখন সবার। প্রতিদিনের দৌড়ঝাঁপে, শহরের ধুলোয় চুলে জট, ধুলোবালির কণা জমে নোংরা হয়ে ওঠা এসব নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্মরত মহিলাদের এমন অভিযোগ তো অসংখ্য। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এসেছে হাজারও শ্যাম্পু কোম্পানি। এক এক সংস্থার এক একরকম প্রতিশ্রুতি। কিন্তু সেসব শ্যাম্পুর মধ্যে মিশে থাকা কেমিক্যাল ভালোর বদলে আরও ক্ষতিই করছে আপনার। চুলের গঠনকে, গোড়ার শক্তিকে আরও মজবুত করার বদলে করে দিচ্ছে দুর্বল।
কিছু শ্যাম্পুতে তো অ্যামোনিয়াও থাকে, শ্যাম্পুর ফোম তৈরির জন্য থাকে প্রচুর কেমিক্যালস। অনেকেই আছেন যাঁরা বাজারের এই ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করে রীতিমত ভুগেছেন। এখন বাজারের উপর নির্ভরশীল হওয়ার দিন শেষ, বাড়িতেই আপনি তৈরি করে নিন নিজের প্রয়োজনমত শ্যাম্পু। আপনার যদি শুষ্ক চুল হয় তবে তার জন্য একধরনের প্রণালী, তৈলাক্ত হলে আরেকরকম। নিজের দরকার বুঝে বানিয়ে নিন নিজের জন্য সবচেয়ে ভালো শ্যাম্পু। কী দিয়ে বানাবেন? উপাদানগুলো একেবারেই প্রাকৃতিক। এগুলো কিনতে গেলে আপনাকে বেশি কসরত করতে হবে না। কিছু জিনিস তো ফ্রিতেই পেয়ে যাবেন। এবার তবে বলে ফেলা যাক শ্যাম্পু তৈরির বেশ কয়েকটি ভালো রেসিপি।
১। ‘নো পু’ শ্যাম্পু
সবধরনের বাড়ির তৈরি শ্যাম্পুর মধ্যে ‘নো পু' পদ্ধতি কিন্তু সবচেয়ে সহজ। এর উপাদানগুলো আরওই সহজলভ্য। এই শ্যাম্পু তৈরি করতে যা যা লাগবে তা হল- এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা আর এক কাপ জল। এই দুটো জিনিসই হাতের কাছেই থাকা জিনিস। জল তো ফ্রিতেই মেলে। যদি বাজার থেকে ডিসটিলড জল কিনে নিতে পারেন কিছু মূল্যের বিনিময়ে তবে তো আর কথাই নেই। সাধারণ জলে কাজ হবে না তা নয়, দিব্যি হবে। প্রণালীটা এরকম: প্রথমে এক কাপ জল আর এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা একটা ছোট বাটির মধ্যে ঢালতে হবে। দেখবেন বাটির আয়তন যেন এমন হয় যে জল ও সোডা ঢালার পর অনেকটা ভরে যায় বাটির। যদি তা না হয়, তবে পরিমাণটা চোখ বুজে সমানে সমানে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে দিতে পারেন। এরপর আর কিছুই না। ভালো করে গুলে নিন দুটো উপাদান। এরপর ভরে নিন যে কোনও সাধারণ বোতলে বা শ্যাম্পুর পুরনো বোতলে আর সময় মতো ব্যবহার করুন। তবে বলে রাখা উচিত যাঁদের চুল তৈলাক্ত তাঁদের ক্ষেত্রেই এটা কাজে দেয়। চুল যদি শুষ্ক হয় তবে এটা নিয়মিত ব্যবহার না করাই ভালো। সেক্ষেত্রে চুল উস্কোখুস্কো দেখাবে।
২। নারকেল দুধের শ্যাম্পু
তাহলে যাঁদের চুল শুষ্কতাদের জন্য কী উপায়? উপায় অবশ্যই আছে। আপনি ব্যবহার করতে পারেন নারকেলের দুধ দিয়ে তৈরি শ্যাম্পু। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি যে এটা দিয়ে আপনার চুলের পুষ্টি সম্ভব আর এ জিনিস খুব কম সময়ের মধ্যে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন। এর জন্য লাগবে বাড়িতে তৈরি নারকেল দুধ আর তরল ক্যাসটাইল সোপের একটি বোতল। ক্যাসটাইল সোপের খোঁজ শহরের কিছু বড় দোকানে খোঁজ করলে সহজেই পেয়ে যাবেন, সে সময় যদি না থাকে তবে আনিয়ে নিন যে কোনও অনলাইন শপ থেকে। দাম আপনার সাধ্যের মধ্যেই। এই দুটো উপাদান সমান সমান করে নিন একটা বোতলে আর ঝাঁকিয়ে নিন ভালো করে। ব্যবহারের সময় এক চামচ করে নিন। যারা শ্যাম্পুতে সুগন্ধি পছন্দ করেন তারা মিশিয়ে দিতেই পারেন অল্প মেন্থল বা ল্যাভেন্ডার তেল।
৩। অ্যালো ভেরা জেল শ্যাম্পু
হ্যাঁ, এ জিনিসও আপনার সাধ্যের মধ্যেই। অ্যালো ভেরার গুণ তো আর অজানা নয়। বাড়িতে অ্যালো ভেরার চারা বসিয়ে নিলে কয়েকদিনের মধ্যেই আপনি পেয়ে যাবেন অ্যালো ভেরা জেল। জল, অ্যালোভেরা জেল, গ্লিসারিন আর তরল ক্যাসটাইল সোপ সমপরিমাণে মিশিয়ে নিন একটা পাত্রে। এটা চুলে দিয়ে কিছুক্ষণ বসে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন।
তাহলে আর চিন্তা কীসের। বাজারের শ্যাম্পুতে কী থাকে না থাকে তা আপনি জানেন না বলেই অজান্তে আপনার কত ক্ষতি হচ্ছে। এর থেকে এরকম কিছু পদ্ধতিতেই আপনি ভালো রাখতেন আপনার চুল, তাও একেবারে নিখরচায়।