Just In
সুন্দর ভ্রু বদলে দিতে পারে মুখের সৌন্দর্য! জেনে নিন ভ্রুর আকৃতি সঠিক রাখার পদ্ধতি
সাজতে কোন মহিলা না ভালোবাসে! পার্টি বা ঘুরতে যাওয়ার জন্য খুব সুন্দর করে সেজেছেন কিন্তু দেখলেন আপনার মুখটা কেমন যেন লাগছে, কারণ ভ্রু জোড়া ঠিকঠাক নেই। মুখের সঙ্গে ভ্রু-র আকৃতি মানানসই না হলে মুখের ধরনই বদলে যায়! তবে শুধু চেহারার নয়, চোখের সৌন্দর্যেরও অনেকটাই নির্ভর করে আইব্রাও-এর উপর।
আইব্রাও করাতে অনেকে পার্লারে যান, আবার অনেকে বাড়িতে নিজেই করে নেন। যাই করুক, একবার আইব্রো করার পর অন্তত ২-৩ সপ্তাহের আগে আর করানো যায় না। তাই যখন আইব্রাও করাবেন তার আগে ভেবে নিন আপনার মুখের আকৃতির সঙ্গে কী ধরনের আইব্রাও ভালো লাগবে। সব মুখে সরু আইব্রাও মানায় না, আবার মোটা আইব্রাও যে আপনার মুখের সঙ্গে মানাবে তার কোনও মানে নেই। সবার ভ্রু জোড়া ঘন, কালো হয় না। তবে এখন বিভিন্ন আইব্রাও পেন্সিল পাওয়া যায় মার্কেটে, যা দিয়ে আপনি নিজের পছন্দমতো আইব্রাও এঁকে নিতে পারেন। কিন্তু সবকিছুর একটা পদ্ধতি আছে। সেটা জানা জরুরি। নিজেকে সুন্দর রাখতে ছোটখাটো বিষয়গুলো এড়িয়ে গেলে চলবে না। চলুন তাহলে জেনে নিন, আইব্রাও সুন্দর করার কার্যকরী টিপস ও ট্রিকসগুলো।
১) দুটি আয়না ব্যবহার করুন
যখনই আইব্রাও করবেন দুটি আয়না ব্যবহার করুন। একটা ছোট আর একটা বড় আয়না। আইব্রাও করার সময় ছোট আয়নার ওপর নজর রাখবেন, আর বড় আয়নায় দেখবেন ঠিকঠাক আইব্রাও হল কিনা। অবশ্যই সময় নিয়ে আইব্রাও করবেন। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে খারাপ হয়ে যেতে পারে।
২) প্রতিদিন হালকা আইব্রাও করুন
আপনি পার্লারে না গিয়ে যদি বাড়িতে নিজেই আইব্রো করেন তাহলে একদিনে করতে যাবেন না। তার থেকে ভালো প্রতিদিন দু-একটা হেয়ার রিমুভ করা। এতে আপনি ভ্রুর শেপ ঠিক রাখতে পারবেন। স্নান করার পর আইব্রাও করার চেষ্টা করবেন।
৩) ভ্রুর ওপরের দিক থেকে প্লাক করবেন না
কখনও ভ্রুর ওপরের দিক থেকে প্লাক করবেন না। এতে আইব্রাও-র শেপ নষ্ট হয়ে যাবে। আইব্রাও করার আগে ভালো করে ব্রাশ করে নিন, দেখুন আপনার ভ্রুর শেপের বাইরে কোথাও হেয়ার আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে সেগুলোই প্লাক করুন শুধু। সবসময় ভ্রুর চুলের গ্রোথ যেদিকে সেই ডিরেকশনে প্লাক করবেন!
৪) ভ্রুর ন্যাচারাল শেপ রাখুন
অনেকেই মোটা ভ্রু হলে সরু করে শেপ করেন। অনেকে আবার জোড়া ভ্রু থাকলে মাঝখানটা প্লাক করে আলাদা করে দেন। এসব একদম করবেন না। এতে ভ্রু জোড়ার শেপ নষ্ট হয়ে যাবে। মুখের সৌন্দর্য হারিয়ে যাবে। আপনার ভ্রুর ন্যাচারাল শেপ যেটা সেটাই রাখবেন সবসময়।
৫) ট্রিম করুন সাবধানে
ট্রিম করলে আপনার ভ্রু জোড়ার শেপ ভালো থাকবে। ট্রিম করার জন্য একটি স্পুলি ব্রাশ এবং সোজা কাঁচি দরকার। ভ্রু ভালো করে ব্রাশ করার পর ট্রিম করুন।
৬) ভালো আইব্রাও পেন্সিল ব্যবহার করুন
সবার ভ্রুজোড়া সুন্দর ঘন হয় না। এর জন্য দুঃখ করার দরকার নেই। বরং মার্কেট থেকে কিনে ফেলুন ভালো আইব্রাও পেন্সিল। কখনই কালো পেন্সিল ব্যবহার করবেন না। ব্রাউন কালারের শেড নিতে পারেন।