Just In
চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কী ধরনের তেল মাখা জরুরি?
কেমন চুল আপনার? সেটা না বুঝে কিন্তু তেল ব্য়বহার করবেন না।
চুলের ধরন অনুযায়ী তার খেয়াল রাখতে হয়। নাহলে কিন্তু বিপদ! বুঝতে পারছে না তো কী বলছি? ত্বকের মতোই এক এক জনের চুল এক এক রকমের হয়ে থাকে। কারও হয় তেলতেলে, তো কারও ড্রাউ বা শুস্ক। আর আমরা না বুঝেই নানা রকমের তেল ব্য়বহার করে থাকি। ফলে ধীরে ধীরে চুল নষ্ট হতে শুরু করে। তাহলে এখন প্রশ্ন, কী ধরনের চুলের জন্য় কেমন ধরনের তেল ব্য়বহার করা উচিত?
চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে তেল মাখা একান্ত প্রয়োজন। এমনকি যাদের জন্ম থেকেই তেলতেলা চুল, তাদেরও কিন্তু মাথায় তেল দিতে হবে। কারণ চুলের সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি চুল পড়া আটকাতে এবং সার্বিকভাবে চুলকে ভালো রাখতে এই অভ্য়াস খুব কাজে দেয়।
তাহলে কেমন ধরনের তেল আপনার চুলের জন্য় জরুরি তা জেনে নিন বাকি প্রবন্ধটি পড়ে। একথা মনে রাখবেন সপ্তাহে একদিন গরম তেল চুলে মাসাজ করাটা জরুরি। এমনটা করলে দেখবেন অল্প দিনেই কেমন সুন্দর হয়ে ওঠে আপনার চুল।
শুস্ক চুলের জন্য়:
যাদের চুলের ধরন শুস্ক, তাদের প্রতিনিয়ত লড়াই চালাতে হয় চুল ফেটে যাওয়ার সমস্য়ার সঙ্গে। তাই আপনারা অলিভ অয়েল অথবা বাদাম তেল ব্য়বহার করুন। কারণ এইসব তেলে এমন কিছু উপাদান থাকে যা শুস্ক চুলকে পুষ্টি প্রদান করে থাকে।
তেলতেল চুলের জন্য় কেমন তেল:
এমন চুলের ধরন যাদের তারা হালকা তেল ব্য়বহার করবেন সব সময়। যেমন ধরুন অ্যারগন তেল। এই তেলটি উজ্জ্বলতা ফেরানোর পাশাপাশি সার্বিকভাবে চুলকে ভালো রাখতে সাহায্য় করবে।
স্বাভাবিক চুল যাদের:
যাদের চুল তেলতেলাও নয় আবার শুস্কও নয়, তারা সব ধরনের তেল ব্য়বহার করতে পারেন। তবে নারকেল তেল ব্য়বহার করাই ভালো। কারণ এই তেলটি চুলকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদানে দারুন কার্যকরী।
খুশকি রয়েছে যাদের:
স্কাল্পে ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হলে সাধারণত খুশকির সমস্য়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে নিম তেল এবং টি ট্রি তেল দারুন উপকারে আসে। কারণ এই দুটি তেলে রয়েছে অ্যান্টি-ব্য়াকটেরিয়াল প্রপাটিজ আছে যা সংক্রমণ কমায়।
চুলের শেষাংশ ফেটে গেলে:
যদি দেখেন চুলের শেষের দিকটা ফেটে গেছে, তাহলে বুঝবেন চুল খারাপ হয়ে যেতে শুরু করেছে। এই ধরনের অসুবিধায় রেড়ীর তেল মাখা শুরু করুন। এই তেলটিতে ওমেগা থ্রি ফ্য়াটি অ্যাসিড রয়েছে যা চুলকে প্রয়োজনীয় আদ্রতা প্রদান করে চুলকে ভালো রাখে।