Just In
চুলের সমস্যা থেকে বাঁচতে ব্যবহার করুন কুমড়োর হেয়ার মাস্ক, দেখুন তৈরির পদ্ধতি
চুল নিয়ে কম-বেশি সবাই চিন্তিত, সে ছেলে হোক বা মেয়ে। চুল রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যাওয়া, চুল ঝরে যাওয়া বা চুল ফাটা, ইত্যাদি নানান সমস্যায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছে মানুষ। মার্কেটের বিভিন্ন হেয়ার বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহারের পরেও সমস্যার সমাধান কিছুতেই হচ্ছে না। তাই চুলের এই সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কুমড়োর হেয়ার মাস্ক বা কুমড়ো বীজের তেল ব্যবহার করতে পারেন। নিশ্চয়ই ভাবছেন যে, কুমড়ো কীভাবে চুলের সমস্যা কমাবে? অবাক হবেন না। চুলের বৃদ্ধি, চুল সিল্কি, চুল ফাটা, চুল পড়া কমানোর জন্য কুমড়ো খুবই উপকারি। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক, চুলের যত্নে কীভাবে কুমড়ো ব্যবহার করবেন।
কন্ডিশনার
কন্ডিশনিং এর জন্য কুমড়োর সাথে ওটস মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। এতে চুলের পুষ্টি বাড়বে। চুল ফাটার সমস্যা কম হবে। এছাড়াও, এক টেবিল চামচ কুমড়ো বীজের তেলের মধ্যে আধখানা আপেল সেদ্ধ করে চটকে দিন। এর মধ্যে এক টেবিল চামচ শিয়া বাটার ও একটা ডিম দিন। শ্যাম্পু করার পর এই কন্ডিশনার ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।
কুমড়ো বীজের তেলে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা চুলের জন্য খুব ভাল। এছাড়াও এতে আছে ভিটামিন, প্রোটিন, ডায়েটরি ফাইবার ও মিনারেল।
কুমড়োর হেয়ার মাস্ক
৫০ গ্রাম কুমড়োর পাল্প, ১ চা চামচ ওটমিল পাউডার, নারকেল তেল, শিয়া বাটার ৫০ গ্রাম, অলিভ অয়েল। সবকটি উপাদান একসাথে দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। এর পরে এই মাস্কটি ভাল করে চুলে লাগান। ৩০ মিনিটের রেখে তারপরে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই পেস্টটি ফ্রিজে রেখে পাঁচ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের সমস্যায় জেরবার? চিন্তার কোনও কারণ নেই, টক দই-তেই চুলের সমস্যার সমাধান
কুমড়ো এবং তেল
কুমড়োর পাশাপাশি চুলের যত্নের জন্য নারকেল তেলও দরকার। এই হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে নারকেল তেল এবং কুমড়োর তেল একসাথে গরম করুন। একই পরিমাণ অনুযায়ী তেল নিন। অল্প আঁচে তেল গরম করুন। তারপর তা চুল ও মাথায় ভালভাবে লাগান।
কুমড়োর হেয়ার মাস্ক
একটি পাকা কুমড়ো কেটে সেদ্ধ করে চটকে নিয়ে তার মধ্যে এক টেবিল চামচ জোজোবা অয়েল দিন। এবার তাতে তিন টেবিল চামচ নারকেল তেল মেশান। তবে খেয়াল রাখবেন যাতে এই মাস্ক বেশি পাতলা না হয়ে যায়। শুকনো চুলে এটি লাগিয়ে হেয়ার ক্যাপ পরে নিন। এরপর ৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।