Just In
দোকান থেকে না কিনে এবার বাড়িতেই তৈরি করুন ময়েশ্চারাইজার, দেখে নিন পদ্ধতি
প্রত্যেকের ত্বকের ধরন আলাদা হয়। কারুর তৈলাক্ত তো কারুর নর্ম্যাল, আবার কারও সংবেদনশীল তো কারুর শুষ্ক ত্বক। আর ত্বকের ধরন অনুযায়ী প্রত্যেকের ত্বকের পরিচর্যা করার নিয়ম এবং উপাদানও আলাদা হয়। যাঁদের ত্বক শুষ্ক, তাঁরা সব সময় চেষ্টা করেন ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার। তাই তাঁরা নানা রকম ক্রিম, লোশন ব্যবহার করেন। কিন্তু অনেক সময় ময়েশ্চারাইজ়ার মাখলেও তেমন ফল পাওয়া যায় না, মুখ সেই নির্জীব অনুজ্জ্বলই দেখায়।
আপনি চাইলে ঘরোয়া উপায়ে তৈরি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে ত্বকের আর্দ্রতা বাড়াতে পারেন। তাতে কেনা ময়েশ্চারাইজারের থেকে কম কাজ হবে না, বরং বেশিই হতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, বাড়িতে কী ভাবে ময়েশ্চারাইজার তৈরি করবেন -
নারকেল তেল ও মধু
এক টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মুখে, গলায় এবং হাতে সমানভাবে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই দু'টি উপাদানই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে পরিচিত এবং এগুলি শুষ্ক ত্বকে পুষ্টি যোগায়। ত্বকের নানা সমস্যা দূর করে।
পাকা কলা ও মধু
কলা চটকে নিয়ে তার সঙ্গে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। ২৫ মিনিট পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।
কলা এবং মধু উভয়েরই ময়শ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই প্যাকটি শুষ্ক ত্বকে হওয়া ইনফেকশন এবং অ্যালার্জিও কমায়।
ডিমের কুসুম ও আমন্ড অয়েল
ডিমের কুসুম এবং আমন্ড অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে শুষ্ক ত্বকের উপর লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। ডিমের গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রসও মেশাতে পারেন এতে। ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে দারুণ কার্যকর এই মিশ্রণটি।
ঘরে তৈরি নাইট ক্রিম ব্যবহারেই দূর হবে ত্বকের নানা সমস্যা! জেনে নিন তৈরির পদ্ধতি
ফ্রেশ ক্রিম ও কলা
একটা পাকা কলা চটকে নিয়ে তাতে কয়েক চামচ ফ্রেশ ক্রিম ভাল করে মেশান। এই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর জলে ধুয়ে ফেলুন।
শুষ্ক ত্বকে পুষ্টি যোগায় এই মিশ্রণ এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। ত্বককে কোমল এবং মসৃণ করে তোলে।
অ্যালোভেরা, মধু এবং আমন্ড অয়েল
২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে সম পরিমাণ মধু এবং আমন্ড অয়েল মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। পুরো মুখে ভাল করে লাগান পেস্টটি। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকে পুষ্টি যোগাতে এবং ময়েশ্চারাইজ করতে দারুণ কার্যকর এই মিশ্রণটি।