Just In
ঠোঁটে কালো ছোপ বসে গিয়েছে? ঘরোয়া পদ্ধতিতেই হবে সমস্যার সমাধান!
সুন্দর গোলাপি ঠোঁট কে না চায়! এমন ঠোঁটে লিপস্টিক না লাগালেও সুন্দর লাগে। সুন্দর ঠোঁট মুখের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। সুন্দর হাসির জন্য মসৃণ, গোলাপি ঠোঁটের তুলনা হয় না। যদিও আধুনিক জীবনযাপন পদ্ধতির কারণে ঠোঁটের গোলাপি রঙ হারিয়ে গিয়েছে অনেকের। তবে সেজন্য মন খারাপ করে বসে থাকার কিছু নেই। ঘরোয়া কিছু পদ্ধতিতে আপনার ঠোঁটের হারিয়ে যাওয়া গোলাপি আভা ফিরে পেতে পারেন আবার!
একটু সময় বের করে টুকিটাকি সামগ্রী ব্যবহার করলেই আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে! তবে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার আগে জানতে হবে কী জন্য দেখা দেয় এই সমস্যা।
ঠোঁট কেন কালো হয়?
১) ভিটামিনের অভাব
বি ১২-এর মতো ভিটামিনের অভাবে স্কিনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। দেহে ভিটামিনের অভাব হলে তার প্রভাব পড়বে ঠোঁটে। বদলে যাবে ঠোঁটের ন্যাচারাল রঙ। এর ফলে অমসৃণ স্কিন, ঠোঁটে কালো দাগ দেখা দেবে।
২) ডিহাইড্রেশন
ডিহাইড্রেশন শরীরের পক্ষে খুব ক্ষতিকর। জলের অভাবের প্রভাব পড়ে স্কিন ও ঠোঁটে। যার ফলে ঠোঁটের স্কিন শুস্ক দেখায়, স্কিন উঠতে শুরু করে। বদলে যায় ঠোঁটের রঙ।
৩) অতিরিক্ত আয়রন
বেশি আয়রন শরীরে গেলে বিপদ। রক্তে আয়রনের পরিমাণ বেড়ে গেলে স্কিনের রঙ বদলে যায়। তখন ঠোঁট দেখতে খারাপ লাগে।
৪) ওষুধ
অত্যাধিক ওষুধ খেলে তার প্রভাব পড়ে আমাদের স্কিনে। যে সমস্ত কড়া ডোজের ওষুধে সাইটোটক্সিক ড্রাগ ব্যবহার হয় সেগুলো স্কিনকে কালো করে দেয়।
৫) অ্যালার্জি
অ্যালার্জির কারণেও ঠোঁটের রঙ বদলে যায়। এই অ্যালার্জিকে বলে পিগমেন্টেড কন্ট্যাক্ট চেলাইটিস। এছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ লিপস্টিক ব্যবহার করলে, অতিরিক্ত মেকআপ করলে, টুথপেস্টের কারণেও ঠোঁটে কালো দাগ হতে পারে।
ব্ল্যাকহেডসের সমস্যায় ভুগছেন? দেখুন ব্ল্যাকহেডস দূর করার ঘরোয়া উপায়
৬) হরমোনের সমস্যা
হরমোনের ভারসাম্য বজায় না থাকলেও ঠোঁটে কালো দাগ পড়তে পারে। থাইরয়েড হরমোনের পরিমান কম বা বেশি হলে এই সমস্যা দেখা দেয়।
৭) সানস্পট
আপনার ঠোঁটের কালো দাগ সানস্পটও হতে পারে। শরীরের যেসব জায়গায় সূর্যের আলো লাগে সেখানে সানস্পট দেখা যেতে পারে।
৮) সিগারেট ও মদ্যপান
মদ, সিগারেট শরীরের তো ক্ষতি করেই, এছাড়া এর প্রভাব পড়তে পারে আপনার ঠোঁটেও। যারা সিগারেট খান বা মদ্যপান করেন তাদের ঠোঁটের রঙ অন্যদের মতো হয় না। দীর্ঘদিন ধরে সিগারেট খেতে খেতে এবং মদ্যপান করলে ঠোঁটের গোলাপী আভা চলে যায়।
ঠোঁটের কালো রঙ দূর করার প্রাকৃতিক পদ্ধতি
শসার রস
জুসারে শসা ব্লেন্ড করে রস তৈরি করুন। হাতে করে চেপেও রস বের করতে পারেন। তারপর সেটা লাগান ঠোঁটে। মিনিট ২০-৩০ পর ধুয়ে ফেলুন। শসার রস ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখে। ঠোঁটে সতেজ ভাব এনে দেয়।
বিট
এক টুকরো বিট নিয়ে ঠোঁটে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। বিটে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ঠোঁটে সতেজতা এনে দেবে। ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করবে।
গোলাপজল
একটি পরিষ্কার কাপড় বা তুলোয় করে গোলাপজল নিয়ে প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে লাগান। এতে ঠোঁটে রক্ত চলাচল বাড়ে। ঠোঁটের দাগ দূর হবে।
লেবু
লেবুর রসে থাকে ব্লিচিং উপাদান। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে লেবুর রস দিয়ে ঠোঁটে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডার সঙ্গে জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ঠোঁটে লাগান। শুকিয়ে গেলে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। তারপর ঠোঁটে ক্রিম বা জেল লাগিয়ে নিন।
অ্যাপল সিডার ভিনিগার
প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এনে দেয় অ্যাপল সিডার ভিনিগার। এক চা-চামচ জলে এক চা-চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার নিয়ে তুলোয় করে ঠোঁটে লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেললেই হয়ে গেল। নিয়ম করে লাগালে ফল পাবেন কিছুদিনের মধ্যে।
শীত পড়তেই গোড়ালি ফাটছে? এই ফুট মাস্ক ব্যবহারে গোড়ালি ফাটার সমস্যা সহজেই দূর হবে!
গ্লিসারিন
তুলোয় করে গ্লিসারিন নিয়ে প্রতিদিন যদি রাতে লাগাতে পারেন তাহলে আপনার ঠোঁট শুষ্ক হবে না।
লেবু ও মধু
লেবু-মধু স্কিনের জন্য ভীষণ উপকারী। লেবুর সঙ্গে মধু মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। সেই মিশ্রণ কিছুক্ষণ ঠোঁটে রাখুন। এরপর নরম কাপড় ভিজিয়ে সেটা দিয়ে মুছে নিন। এটুকু করলেই দেখবেন কয়েকদিন পর আপনার ঠোঁটের রঙ ফিরে আসবে।
নারকেল তেল
নারকেল তেলে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ঠোঁটকে আর্দ্র রাখে। আঙুলে করে একটু নারকেল তেল নিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে নিলেই কাজ শেষ।
টমেটো
টমেটো পেস্ট করে নিন, তারপর সেটা নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে লাগান ঠোঁটে।
দুধের সর
ঠোঁটের গোলাপি আভা এনে দেয় দুধের সর। দুধের সরের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। প্রতিদিন ব্যবহার করলে ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয়ে ফিরবে গোলাপি আভা।
বরফ
বরফ দিয়ে ম্যাসাজ করলে দাগ দূর হবে। বরফ ঠোঁটের আদ্রর্তার পরিমাণ ঠিক রেখে ঠোঁটকে রুক্ষতার হাত থেকে বাঁচায়।