Just In
- 12 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 13 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 15 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 18 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
ঘন ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য ভেষজ হেয়ার টনিকের রেসিপি
চুল পড়া, পাতলা হয়ে যাওয়া ও ভেঙ্গে যাওয়ার থেকে রক্ষা পেতে রইল কয়েকটি অরগানিক ভেষজ হেয়ার টনিকের রেসিপি, যা আশ্চর্যকম ফল দেয়।
লম্বা, পুরু ও ঘন চুল প্রত্যেক মানুষেরই স্বপ্ন কিন্তু খুব কম মানুষই এমন চুল পেয়ে থাকেন।
আপনি হয়তো, যত্ন নিয়ে চুলে তেল লাগাচ্ছেন, খুবই কম ক্যামিকালের ব্যাবহার করছেন, যতোটা সম্ভব কোমল থাকা যায় চুলের পরিচর্যায় ততোটাই করছেন। তাও, আপনার চুল খুবই নিস্তেজ সাথে তার বৃদ্ধির হারও খুব কম। যেটা আপনার এই শির-সৌন্দর্য্য এর প্রয়োজন তা হল, কিছুটা বেশি টি.এল.সি.। আর ঠিক তখনই চলে আসে ভেষজ হেয়ার টনিক-এর প্রসঙ্গ।
এগুলি কিভাবে কাজ করে? সব প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে তৈরি হওয়ায় ভেষজ হেয়ার টনিকের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না। এবং এটি আপনার পকেটের পক্ষেও খুবই হালকা পরে। চুলের জন্য নিরাপদ এই ভেষজ হেয়ার টনিকগুলিতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেলস ও অ্যাসিড থাকে, যা রক্ত প্রবাহকে বারিয়ে দেয়, স্কাল্পে জমে থাকা তেল অপসারণ করে, চুলের বন্ধ হয়ে যাওয়া কূপ গুলি খুলে দেয় যার ফলে চুলের বৃদ্ধি উদ্দীপিত হয়।
কিন্তু এগুলি কি করবে না? আপনাকে রাতারাতি ফল দেবে না। সত্যি বলতে গেলে সাময়িক এই প্রয়োগগুলি কোন পার্থক্যই আনবে না যতোক্ষণ না আপনি এর সাথে একই রকমভাবে সমৃদ্ধ সুষম খাদ্যভ্যাস তৈরি করবেন। আপনার চুলে লক্ষণীয় পার্থক্য আনতে এটি প্রায় ২-৩ মাস সময় নেবে। ঘন এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য এখানে কিছু ভেষজ হেয়ার টনিক রেসিপি দেওয়া হল। আসুন দেখে নেওয়া যাক।
অ্যাপেল সীডার ভিনিগারঃ
১ কাপ অ্যাপেল সীডার ভিনিগার নিন, তার সাথে ১০ ফোঁটা চা গাছের তেল মেশান। মিশ্রণটি একটি এয়ার-টাইট বোতলে ভরে রেখে দিন। বোতলের মুখ আটকে মিশ্রণটি ভাল করে মিশিয়ে যাওয়া পর্যন্ত ঝাঁকিয়ে নিন। চুল ভিজিয়ে নিয়ে, এই টনিকটি মাসাজ করুন। ১৫ মিনিট রেখে দিন ও তারপর ভাল করে ধুয়ে নিন। মজবুত চুলের জন্য সপ্তাহে ২ বার করে, এই মাস্ক ব্যবহার করুন।
অ্যালোভেরা (ঘৃতকুমারী) টনিকঃ
৫ টেবিল চামচ অ্যালোভেরার তাজা নির্যাসকে ৫ ফোঁটা গ্রেপ সীড অয়েল ও আধা কাপ জলের সাথে মিশিয়ে নিন। এয়ার টাইট বোতলে মিশ্রণটিকে নিয়ে ভালকরে ঝাঁকিয়ে নিন। শুকনো চুল জলের ছিটা দিয়ে ভিজিয়ে নিন। চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত হাল্কা ভাবে এই মিশ্রণটি মাসাজ করে নিন। টনিকটি পুরো চুলে ভালভাবে ছড়িয়ে দিতে চিরুনির সাহায্যে চুল আঁচড়ে নিন। ৩০ মিনিট এইভাবেই রাখুন ও পরে ভাল করে ধুয়ে নিন।
তুলসী পাতার টনিকঃ
এক কাপ জল কম আঁচে ফুটিয়ে নিন। একমুঠো তুলসী পাতা ও জবাফুলের পাপড়ি এই জলে দিয়ে দিন। ৩০ মিনিটের জন্য অল্প আঁচে রেখে দিন। গ্যাস বন্ধ করে মিশ্রণটিকে ঠান্ডা হতে দিন। মিশ্রণটিকে ছেঁকে নিয়ে স্কাল্পে ও চুলে হাল্কাভাবে মাসাজ করুন। ৩০ মিনিটের জন্য চুলটাকে হাল্কা খোঁপা করে বেঁধে রাখুন। এরপর জল দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন।
ন্যাটেল (বিছুটি) হেয়ার টিনিকঃ
একটি পাত্রে দুই কাপ জল এবং ৫ টেবিল চামচ শুকনো ন্যাটেল বা বিছুটি পাতার গুঁড়ো নিন। একবার ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে ২০ মিনিটে জন্য রাখুন। মিশ্রণটিকে ঠান্ডা করে একটা এয়ার-টাইট বোতলে ভরে আরো ৪৮ ঘণ্টার জন্য ঠান্ডা হতে দিন। মিশ্রণটি ছেঁকে নিয়ে, শ্যাম্পু করা চুলে ও স্কাল্পে ভালকরে মাসাজ করুন। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুল পরা রোধ করতে এই প্রাকৃতিক উপকরণটি সপ্তাহে একবার ব্যাবহার করুন।
পার্সলে ভেষজ হেয়ার টনিকঃ
২ টেবিল চামচ পার্সলের বীজকে গুঁড়ো করে পাউডার বানিয়ে নিন। একটি পাত্রে ১ কাপ জল, পার্সলে বীজের গুঁড়ো ও আধা কাপ রোজমেরী নিয়ে হাল্কা আঁচে বসিয়ে দিন। ২০ মিনিট পরে আঁচ বন্ধ করে মিশ্রণটি ঠান্ডা করে নিন। ছেঁকে নিয়ে, যেভাবে অন্য মিশণগুলি ব্যবহার করেন সেইভাবে এটাকেও ব্যবহার করুন।
সর্ষের তেলের টনিকঃ
কম আঁচে ১ কাপ সর্ষের তেল ফোটান। এতে ২ টেবিল চামচ মেথি দিন। ২০ মিনিট পরে আঁচ বন্ধ করে ঠান্ডা করুন। ছেঁকে নিয়ে একটি এয়ার টাইট বোতলে ভরে ২ দিনের জন্য ঐভাবেই রেখে দিন। চুলের বৃদ্ধির জন্য এই ভেষজ মাস্কটি স্কাল্পে এবং চুলে মাসাজ করুন। ১ ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার ব্যবহার করে নিতে পারেন।
গ্রীন টি টনিকঃ
একটি ব্যবহৃত গ্রীন টি ব্যাগ ১ কাপ পরিষ্কার জলে ভিজিয়ে রাখুন। পুরোপুরি ঠান্ডা হতে দিন। ১ টেবিল চামন মধু দিয়ে ভাল করে মশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর এই মিশ্রণটি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। ৫ মিনিট পর জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন।
কারি পাতার টনিকঃ
১ কাপ নারকেল তেলে একমুঠো কারি পাতা দিন। কম আঁচে ফোঁটাতে থাকুন যতক্ষণ না একটা কালো অধঃক্ষেপ দেখা যায়। মিশ্রণটি ঠান্ডা করে, আপনার চুলে ও স্কাল্পে মাসাজ করুন। ১ ঘন্টা রেখে মাইল্ড কোন শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।