Just In
- 1 hr ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 17 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
- 18 hrs ago গরম থেকে বাঁচতে দেদার খাচ্ছেন ডাবের জল? ডেকে আনছেন না তো বড় বিপদ!
- 18 hrs ago ওজন কমাতে চান? ট্রাই করুন গ্রীষ্মকালীন এই শাকসবজি
সিস্টিক অ্যাকনি কী এবং কেন হয়? কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমেই সারিয়ে তুলুন এই ব্রণ
সিস্টিক অ্যাকনি পুরো মুখে ছড়িয়ে পড়ে এবং বেশ ব্যথাও করে। যারা এই সমস্যায় ভোগে তারা এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেক কিছুই করে, কিন্তু তার পরেও ঠিক হয় না। তৈলাক্ত ত্বকে সিস্টিক অ্যাকনি বেশি দেখা যায়। এই ধরনের ব্রণ মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করে। যখন এই ধরনের ব্রণ হওয়া শুরু হবে তখনই আপনি কিছু ঘরোয়া পদ্ধতির সাহায্যে চিকিৎসা করে এগুলি দূর করতে পারেন। তাহলে জেনে নিন, সিস্টিক অ্যাকনি থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়।
সিস্টিক অ্যাকনি কেন হয়?
মুখে ব্রণ হওয়ার প্রধান কারণ হল ব্যাকটিরিয়ার উপদ্রব এবং ত্বকের বন্ধ ছিদ্র। সিস্টিক অ্যাকনি এই দুই কারণেই হয়। ত্বকের ছিদ্রগুলি ডেড স্কিন, ধুলো এবং ময়লার কারণে বন্ধ হয়ে গেলে মুখে ব্রণ হয়। অতিরিক্ত বুজে যাওয়ার কারণে ত্বকে তেল আসতে থাকে, যার ফলে ব্যাকটিরিয়া আক্রান্ত হয়ে যায়।
অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণেও ব্রণ হয়। অতিরিক্ত স্ট্রেস, মিষ্টি এবং তৈলাক্ত জিনিস খাওয়ার কারণেও সিস্টিক অ্যাকনি হয়।
১) বরফ
ত্বকে বরফ ঘষলে ত্বকের নানান সমস্যার সমাধান হয়, যেমন - ফোলাভাব ও ত্বকের লালচে ভাব কমে, এমনকি সিস্টিক অ্যাকনির ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয়।
যা যা লাগবে
১-২টি আইস কিউব
একটি পরিষ্কার কাপড়
ব্যবহারের পদ্ধতি
ক) পরিষ্কার কাপড় বরফের কিউব রেখে মুড়ে নিন।
খ) আক্রান্ত স্থানে বা পুরো মুখে বৃত্তাকার গতিতে কাপড়ে মোড়ানো বরফ ঘষুন।
গ) কিছুক্ষণ ঘষার পর মুখ শুকিয়ে দিন। তবে এরপরে কখনোই মুখ ধোবেন না।
ঘ) ভাল ফলাফলের জন্য এই প্রতিকারটি সপ্তাহে ৩-৪ বার করুন।
২) হলুদ
সংক্রামিত ত্বকের জন্য হলুদ একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক প্রতিকার। হলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বককে সুরক্ষিত রাখে এবং ব্যথা বা প্রদাহ থেকে মুক্তি দেয়। হলুদে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্যও রয়েছে, যা ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে।
যা যা লাগবে
১ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো
পরিমাণমতো জল
ব্যবহারের পদ্ধতি
ক) একটি পাত্রে হলুদ গুঁড়ো এবং জল দিয়ে ভালভাবে মেশান।
খ) এরপর আক্রান্ত স্থানে এই পেস্টটি লাগান।
গ) প্রায় ৩০ মিনিট রেখে দিন।
ঘ) তারপর ভালভাবে ধুয়ে শুকিয়ে নিন।
ঘ) এই প্রতিকারটি সপ্তাহে ১-২ বার করতে পারেন।
৩) টি ট্রি অয়েল
টি ট্রি অয়েল তার শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এর অর্থ হল এই তেল ব্রণজনিত ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এবং ত্বক পরিষ্কার রাখে। এই তেলের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য সিস্টিক অ্যাকনির ব্যথা এবং প্রদাহকে দূরে রাখে।
যা যা লাগবে
২ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল
১২ ফোঁটা নারকেল তেল
১টি কটন প্যাড
ব্যবহারের পদ্ধতি
ক) নারকেল তেলের সঙ্গে টি ট্রি অয়েল ভালভাবে মেশান।
খ) ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে শুকিয়ে নিন।
গ) কটন প্যাড ব্যবহার করে আক্রান্ত স্থানে তেলের মিশ্রণটি লাগিয়ে শুকিয়ে নিন।
ঘ) এরপর ময়েশ্চরাইজার লাগান।
ঙ) একদিন ছাড়া এই প্রতিকার ব্যবহার করুন।
৪) অ্যাসপিরিন
অ্যাসপিরিনে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সিস্টিক অ্যাকনির ব্যথা এবং প্রদাহ দূর করতে সহায়তা করে।
যা যা লাগবে
১টি অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট
১ চা চামচ জল
ব্যবহারের পদ্ধতি
ক) একটি পাত্রে অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট নিয়ে গুঁড়ো করে তাতে জল দিয়ে ভালভাবে মিশ্রিত করুন।
খ) মিশ্রণটি আক্রান্ত জায়গায় লাগান।
গ) ১০-১৫ মিনিট রেখে ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন।
ঘ) এই প্রতিকারটি সপ্তাহে ১-২ বার করুন।
ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন চারকোল ফেস মাস্ক, দেখুন তৈরির পদ্ধতি
৫) নিম তেল
নিম তেল অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত, এই সবকিছুই সিস্টিক অ্যাকনি দূর করতে সহায়ক।
যা যা লাগবে
কয়েক ফোঁটা নিম তেল
একটি কটন প্যাড
ব্যবহারের পদ্ধতি
ক) কটন প্যাড ব্যবহার করে আক্রান্ত স্থানে নিম তেল লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন।
খ) হালকা গরম জল দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন এবং শুকিয়ে নিন।
গ) কাঙ্ক্ষিত ফলাফলের জন্য একদিন ছাড়া এই প্রতিকারটি করুন।