Just In
শীতে শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি পেতে চান ? নিয়মিত খান এই খাবারগুলো
শীতকাল মানেই মিঠে রোদ, মনোরম আবহাওয়া। শীত একদিকে যেমন আরামদায়ক তেমনি কষ্টকরও বটে। বিশেষ করে যাদের শুষ্ক ত্বক তাদের কাছে শীতকাল খুবই অস্বস্তির। ঠাণ্ডা পড়তেই ঠোঁট ফেটে চৌচির, ফাটা গোড়ালি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েন অনেকেই। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পরেও একই হাল থাকে। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে কিছু খাবার। নিয়মিত কয়েকটা খাবার খেলে শীতকালে ত্বককে সুন্দর, সুস্থ এবং উজ্জ্বল করে তোলা যাবে। তাহলে দেখে নিন ত্বকের যত্নে কোন কোন খাবার খাবেন -
নারকেল
ত্বককে উজ্জ্বল করতে নারকেলের জুড়ি মেলা ভার। নারকেলে থাকা ফ্যাট স্কিনকে ভিতর থেকে গ্লো করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল ত্বককে ব্রণর হাত থেকে রক্ষা করে। কোকোনাট বাটারও সমান উপকারি।
জলপাই
জলপাইতেও থাকে ফ্যাট যা স্কিনকে হেলদি বানায়, ত্বকের বয়স বাড়তে দেয় না। এতে থাকা ভিটামিন-ই ত্বককে শুষ্ক হতে দেয় না। এছাড়া অলিভে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, ফাইবার এবং প্রোটিন ত্বকের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারি। অলিভ অয়েলও স্কিনে লাগানো যেতে পারে।
অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডোয় থাকে পটাসিয়াম, ভিটামিন বি ও ই এবং প্রোটিন, যা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়। পাশাপাশি ত্বককে রক্ষা করে ও ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে। স্মুদি, স্যালাড ও স্যুপেও অ্যাভোকাডো দিয়ে খেতে পারেন। খাওয়ার পাশাপাশি অ্যাভোকাডোর ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে লাগলেও কাজ হবে ভালো।
রাঙা আলু বা মিষ্টি আলু
ভিটামিন-এ পাওয়া যায় রাঙা আলু থেকে, যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। শুধু স্কিন নয় শরীরের জন্যও ভীষণ উপকারি রাঙা আলু। শীতে সর্দির সমস্যা দেখা যায় না রাঙা আলু খেলে।
গাজর
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি আছে গাজরে, যা আমাদের ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আমাদের ত্বকে বয়সের ছাপ বা রিঙ্কলস পড়তে দেয় না।
চুল পড়া ও ত্বকের দাগ কমাতে ব্যবহার করুন মেথি শাক, জানুন হেয়ার ও ফেস প্যাক তৈরির পদ্ধতি
শাকসবজি
যেকোনও শাক সবসময়ই ত্বকের পক্ষে উপকারি হয়। এতে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বকের কোমলতাকে ধরে রাখে। পালং শাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। হলুদ সবজি যেমন কুমড়ো ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ, যা ত্বকের পুষ্টি যোগায়।
কমলালেবু
কমলালেবু শীতের প্রধান ফল। এর গুণাগুণও অনেক। কমলালেবু আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। ভিটামিন সি থাকায় কমলালেবু আমাদের ত্বককে হাইড্রেট করে এবং ড্যামেজ হওয়া থেকে বাঁচায়।
বাদাম এবং বীজ
বাদাম এবং বিভিন্ন বীজ ত্বককে হাইড্রেড করে। এতে থাকা মিনারেলস ত্বকের কোষগুলির পুনর্জন্ম ঘটায়। ভিতর থেকে স্কিনের রুক্ষতা দূর করে আমন্ড।
ওটমিল
শুষ্কতা, ব়্যাশ, ব্রণ থেকে ত্বককে রক্ষা করে ওটমিল। এতে থাকা ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি অক্সিডেন্টস আমাদের ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
দই
আপনার যদি সেনসিটিভ স্কিন হয় তাহলে দই ব্যবহার করতে পারেন। দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক ডেথ স্কিন রিমুভ করে, ত্বককে হাইড্রেট রাখে।
শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্ন নিন ঘরোয়া উপায়ে, দেখুন কী করবেন
ডিম
প্রতিটা বাড়িতে ডিম সবসময় মজুত থাকেই। ডিম খেতে সবাই ভালবাসে। ডিমের উপকারিতাও প্রচুর। রোজ খাদ্য তালিকায় ডিম রাখলে ত্বক থাকবে আর্দ্র ও নমনীয়। কারণ ডিমের মধ্যে থাকে সালফার ও লুটেইন। এছাড়া ডিম থেকে মেলে হাই প্রোটিন, যা কোষকে সতেজ রাখে।
তাই দেরি না করে ঝটপট উপরের উল্লেখ করা খাবারগুলি আপনার খাদ্যতালিকায় যুক্ত করে নিন, তাহলে আর রুক্ষ ত্বক নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। গোটা শীত আপনার ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, কোমল এবং স্বাস্থ্যকর।