For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

জানেন কি মিল্ক পাউডার মুখে মাখলে কি হতে পারে?

বিশ্বাস করুন মিল্ক পাউডারের সঙ্গে বেশ কিছু প্রকৃতিক উপাদানকে মিশিয়ে বানানো ফেসপ্যাক যদি নিয়মিত মুখে লাগাতে পারেন, তাহলে সৌন্দর্য বাড়বে চোখে পরার মতো।

|

ভাবছেন আমি পুরো পাগল হয়ে গেছি! তাই না! কারণ মিল্ক পাউডার কেউ মুখ লাগায় নাকি! কিন্তু বিশ্বাস করুন মিল্ক পাউডারের সঙ্গে বেশ কিছু প্রকৃতিক উপাদানকে মিশিয়ে বানানো ফেসপ্যাক যদি নিয়মিত মুখে লাগাতে পারেন, তাহলে সৌন্দর্য বাড়বে চোখে পরার মতো। আর খরচের কথা যদি বলেন, তাহলে পার্লারের একটা সেশনের থেকে যে কম টাকা খসবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই!

আসলে কি জানেন আমাদের হাতের কাছে এমন অনেক জিনিস থাকে, যাদেরকে কাজে লাগিয়ে বাস্তবিকই ত্বকের স্বাস্থ্যেরউন্নতি ঘটানো সম্ভব। কিন্তু দুঃখের বিষয়ে সে সম্পর্কে সিংহভাগই জানেন না। তাই তো এই প্রবন্ধে গুঁড়ো দুধকে কীভাবে ত্বকের পরিচর্যায় কাজে লাগানো যেতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল। যাতে কম খরচে আপনাদের ত্বক সুন্দর হয়ে উঠতে পারে। এক্ষেত্রে একটা কথা বলতে পারি! এই ফেসপ্যাকগুলিকে যদি কাজে লাগাতে পারেন, তাহলে আপনার ত্বকের সৌন্দর্য যে অভিনেত্রীদেরও টেক্কা দেবে, সে সম্পর্কে কিন্তু কোনও সন্দেহ নেই!

এখন প্রশ্ন হল ত্বককে সুন্দর করে তুলতে কীভাবে কাজে লাগাতে হবে মিল্ক পাউডারকে?

১.মিল্ক পাউডার এবং মধুর ফেসপ্যাক:

১.মিল্ক পাউডার এবং মধুর ফেসপ্যাক:

সম পরিমাণে গুঁড়ো দুধ এবং মধু এক সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। যখন দেখবেন দুটি উপাদান ভাল করে মিশে গেছে, তখন পেস্টটি মুখে লাগিয়ে কম করে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে মুখটা। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে কম করে ২-৩ দিন এই ভাবে ত্বকের পরিচর্যা করলে ত্বকতের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা তো ফিরে আসবেই। সেই সঙ্গে স্কিন টানটান হয়ে উঠবে। ফলে ত্বকের বয়স কমবে চোখে পরার মতো!

২. বাদাম গুঁড়ো এবং মিল্ক পাউডার:

২. বাদাম গুঁড়ো এবং মিল্ক পাউডার:

নিমেষে ত্বককে উজ্জ্বল এবং ফর্সা করে তুলতে চান নাকি? উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে এক্ষনি পরিমাণ মতো বাদাম নিয়ে তা গুঁড়ো করে পাউডার বানিয়ে ফেলুন। তারপর তার সঙ্গে সম পরিমাণে গুঁড়ো দুধ এবং মধু মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার মিশ্রনটি সারা মুখে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজা করুন। এমনটা করলে ত্বকের উপরিঅংশে জমে থাকা মৃত কোষেদের স্তর সরে যাবে। ফল ত্বক শুধু উজ্জ্বল হয়ে উঠবে না। সেই সঙ্গে স্কিন টোনেরও উন্নতি ঘটবে চোখে পরার মতো। ফলে ফর্সা ত্বক পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে চোখের পলকে।

৩. মিল্ক পাউডার এবং মুলতানি মাটি:

৩. মিল্ক পাউডার এবং মুলতানি মাটি:

ত্বকের পরিচর্যায় মুলতানি মাটির ব্যবহার বহুকাল ধরেই হয়ে আসছে। কিন্তু একথা কি কারও জানা আছে যে মুলতানি মাটির সঙ্গে গুঁড়ো দুধ এবং গোলাপ জল মিশিয়ে বানানো ফেসপ্যাক মুখে লাগালে কতটা উপকার পাওয়া যায়? বিশেষজ্ঞদের মতে এক দিন অন্তর অন্তর এই পেস্টটি মুখে লাগালে ত্বকের অন্দরে জমে থাকা অতিরিক্ত তেল এবং ময়লা বেরিয়ে যায়। ফলে ব্রণ, অ্যাকনে এবং আরও সব ত্বকের রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। শুধু তাই নয়, স্কিনও বেজায় ফর্সা হয়ে ওঠে।

৪. গুঁড়ো দুধ, লেবুর খোসার পাউডার এবং শসার রস:

৪. গুঁড়ো দুধ, লেবুর খোসার পাউডার এবং শসার রস:

অল্প পরিমাণে লেবুর খেসা সংগ্রহ করে প্রথমে একটু রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর সেগুলি গুঁড়ো করে পাউডার বানিয়ে নিন। এরপর সেই পাউডারটির সঙ্গে ৪ চামচ শসার রস এবং ২ চামচ মিল্ক পাউডার মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। পেস্টটি মুখে এবং গলায় লাগিয়ে কম করে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। সময় হয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন মুখটা। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে ৩-৪ দিন এইভাবে ত্বকের পরিচর্যা করলে দেখবেন মুখের ছোপ ছোপ দাগ সব মিলিয়ে যাবে, সেই সঙ্গে ডার্ক সার্কেল এবং ব্রণর দাগও মিলিয়ে যেতে শুরু করবে।

৫. চালের গুঁড়ো, মিল্ক পাউডার এবং লেবুর রস:

৫. চালের গুঁড়ো, মিল্ক পাউডার এবং লেবুর রস:

চটজলদি ফর্সা ত্বক পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে চান নাকি? তাহলে বন্ধু পরিমাণ মতো চালের গুঁড়োর এবং মিল্ক পাউডার নিয়ে একবাটি জলে তা কিছু সময় ভিজিয়ে রেখে দিন। ১৫-২০ মিনিট পরে চালের গুঁড়োটা বেটে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। এরপর সেই পেস্টটির সঙ্গে অল্প পরিমাণে লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন মুখটা। এই ফেসপ্যাকটি ত্বকের অন্দরে জমে থাকা ময়লাদের ধুয়ে ফেলতে এবং ব্ল্যাক হেইডস দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৬. বেসন, ওটস, গুঁড়ো দুধ এবং গোলাপ জল:

৬. বেসন, ওটস, গুঁড়ো দুধ এবং গোলাপ জল:

জানি জানি বন্ধু কম্বিনেশনটা বেজায় আজব ধরনের। কিন্তু বিশ্বাস করুন ত্বককে সুন্দর করে তুলতে এই ফেসপ্যাকটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে নিয়মিত এই ঘরোয়া টোটকাটিকে কাজে লাগালে মৃত কোষের স্তর সরে যায়। ফলে ত্বক যেমন উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, তেমনি ফর্সা ত্বকের অধিকারি হয়ে ওটার স্বপ্নও পূরণ হয়। প্রসঙ্গত, ত্বকের পোড়াভাব কমাতে এই ফেসপ্যাকটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, এই ফেস মাস্কটা বানাতে প্রয়োজন পরবে ২ চামচ বেসন, ৩ চামচ ওটসের গুঁড়ো, সম পরিমাণ মিল্ক পাউডার এবং গোলাপ জলের। প্রতিটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর সেটি মুখে লাগিয়ে কম করে ২০ মনিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে মুখটা।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

Beauty And Skin Benefits Of Milk Powder: Milk Powder Home Made Facial Mask Recipes

In this article you will learn about the top home-made milk powder facial masks to get fair, flawless and glowing skin. All these recipes are very effective and very easy on your pocket. Mentioned below are the top 6 homemade and natural milk powder facial masks for glowing and fair skin. Read on to know how to use milk powder in your beauty applications.
Story first published: Wednesday, April 25, 2018, 15:13 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion