Just In
প্রাচীন কাল থেকেই রুপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই ৭ পণ্য! জেনে নিন
মসৃণ, কোমল, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক, কার না পছন্দ! তাই ত্বকের যত্ন নিতে ক্লিনজার, স্ক্রাবার, ময়েশ্চারাইজার, সানস্ক্রিন, ফেস প্যাক এবং টোনারের মতো কত কিছুই না আমরা ব্যবহার করে থাকি। তবে রুপচর্চা যে আজকালকার যুগেই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে তা কিন্তু নয়, প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চা মানব জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
প্রাচীনকালে রূপচর্চার ক্ষেত্রে এমন কিছু পণ্য ব্যবহৃত হত, যা আজও সৌন্দর্য বর্ধক হিসেবে সমান জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, এমন কিছু প্রাচীন পণ্য সম্পর্কে, যেগুলির আজও রুপচর্চার ক্ষেত্রে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
১) নিম
প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ এবং ব্রণ-ফুসকুড়ির মতো সমস্যার সমাধানে নিমপাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সমৃদ্ধ নিম পাতার তৈরি ফেস প্যাক, ত্বকের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি। তাছাড়া নিম পাতা খুবই সহজলভ্য এবং এটি ১০০ শতাংশ প্রাকৃতিক হওয়ায়, এর তেমন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হল নিম পাতা গুঁড়ো করে পেস্ট তৈরি করে ফেস মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করা।
২) উবটান
চন্দন, হলুদ, বেসন, গোলাপ জল কিংবা দুধ, বিভিন্ন ভেষজ এবং এসেনশিয়াল অয়েলের সংমিশ্রণে তৈরি উবটান, প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় ব্যবহার হয়ে আসছে। আজও সৌন্দর্য বর্ধক হিসেবে উবটান অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটি ত্বককে কোমল ও মসৃণ করে তোলার পাশাপাশি, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতেও অত্যন্ত কার্যকর। উবটান হল মুখের পাশাপাশি বডি ক্লিনজার হিসেবেও পরিচিত। ত্বকে পুষ্টি যোগায়।
৩) মুলতানি মাটি
পাকিস্তানের মুলতান শহর থেকে আসা মুলতানি মাটি, ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকরী। এটি খনিজ সমৃদ্ধ এবং মাটির মতো পদার্থ। মুলতানি মাটি ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস এবং ব্রণ দূর করতে, ফেস প্যাক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অনেকেই মার্কেটের রাসায়নিক যুক্ত পণ্যের তুলনায়, মুলতানি মাটি ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করেন।
৪) হলুদের মাস্ক
প্রাচীনকাল থেকেই ত্বকের যত্নে হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে। কয়েক শতাব্দী ধরে হলুদ আমাদের সংস্কৃতির একটি অংশ এবং ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে এর অগণিত উপকারিতা রয়েছে। মধু এবং চন্দন দিয়ে তৈরি, হলুদের মাস্ক ব্রণ, ব্রণের দাগ এবং কালো দাগ-ছোপের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।
৫) অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা জেল ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য চমৎকার প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া ব্রণ কিংবা একজিমার মতো সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত কার্যকর।
৬) দই এবং অলিভ অয়েল
দই ত্বকের ছিদ্রগুলিকে পরিষ্কার করে এবং অলিভ অয়েল ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং ত্বককে সতেজ করে তোলে। এছাড়াও, দই ত্বককে ট্যান মুক্ত করে। এছাড়া, চিনির সাথে জলপাই তেল মেশালে তা দুর্দান্ত এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। শুষ্ক ত্বকের জন্য আরও উপকারি এটি। এই এক্সফোলিয়েটর তৈরি করতে, এক কাপ চিনির সাথে আধা কাপ অলিভ অয়েল মেশান এবং এক্সফোলিয়েট করার সময় জল যোগ করতে থাকুন।
৭) আরগান অয়েল
এই তেলটি মরক্কোর আরগান গাছ থেকে পাওয়া যায়। ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই তেল, চুল ও ত্বকের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি। এই তেলটি ভিটামিন ই সমৃদ্ধ, যার ফলে এটি হেয়ার সিরাম হিসেবে দুর্দান্ত।