Just In
ফর্সা ত্বক পেতে আমলকির রসকে কীভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে সে বিষয়ে জানা আছে?
একাধিক পুষ্টিকর উপাদানে পরিপূর্ণ এই ফলটিকে ঠিক মতো কাজে লাগালে যে কেবল মাত্র ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে, এমন নয়। সেই সঙ্গে একাধিক শারীরিক উপকারও পাওয়া যায়।
ত্বকের পরিচর্যায় যত কেমিকাল মিশ্রিত কসমেটিক্সের ব্যবহার বাড়ছে, তত আম বাঙালির জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক উপাদানেরা, যেমন আমলকির কথাই ধরুন না! অল্প দিনেই ত্বককে সুন্দর এবং প্রাণচ্ছ্বল করে তুলতে এই প্রাকৃতিক উপাদনটি যে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সে বিষয়ে আনেকেই জানেন না। তাই তো এই প্রবন্ধে আমলকিকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলা সম্ভব, সে বিষয়ের উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করা হল।
একাধিক পুষ্টিকর উপাদানে পরিপূর্ণ এই ফলটিকে ঠিক মতো কাজে লাগালে যে কেবল মাত্র ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে, এমন নয়। সেই সঙ্গে একাধিক শারীরিক উপকারও পাওয়া যায়। যেমন ধরুন নিয়মিত একটা করে আমলকি খাওয়া শুরু করলে অ্যাস্থেমার প্রকোপ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ওজন হ্রাসে, রক্তকে পরিশুদ্ধ করতে, দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে, ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত খালি পেটে এক গ্লাস করে আমলকির রস খাওয়া শুরু করলে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। ফলে বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন...
১. ত্বক ফর্সা হয়ে ওঠে:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত আমলকি খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। যার প্রভাবে ত্বকের অন্দরে জমতে থাকা টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যেতে থাকে। সেই সঙ্গে মেলাটোনিনের উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে স্কিন টোনের উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আমলকির রস খাওয়ার পাশাপাশি যদি অমলকি এবং মধু মিশিয়ে বানানো মিশ্রন মুখে লাগানো যায়, তাহলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
২. ত্বকের বয়স কমে:
স্ট্রেস এবং পরিবেশ দূষণের কারণে কি ত্বক বুড়িয়ে যেতে শুরু করেছে? তাহলে বন্ধু আজ থেকেই ত্বকের পরিচর্যায় আমলকিকে কাজে লাগাতে শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটির অন্দরে থাকা ভিটামিন সি, শরীরে প্রবেশ করার পর ত্বকের অন্দরে থাকা টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে শরীরের বয়স বাড়লেও ত্বকের বয়স বাড়ে না। সেই সঙ্গে বলিরেখাও মিলিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে সৌন্দর্য বাড়তে সময় লাগে না।
৩. ত্বকের দাগ কমায়:
বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত আমলার রস মুখে লাগিয়ে ত্বকের পরিচর্যা করলে যে কোনও ধরনের দাগ মিলিয়ে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো আমলার রস নিয়ে ভাল করে মুখে লাগাতে হবে। ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে মুখটা। প্রসঙ্গত, এই ঘরোয় পদ্ধতিটিকে কাজে লাগিয়ে নিয়মিত যদি ত্বকের পরিচর্যা করা যায়, তাহলে অল্প দিনেই দেখবেন উপকার পেতে শুরু করেছে।
৪. ত্বককে টানটান করে:
ত্বকের অন্দরে কোলাজেনের ঘাটতি দেখা দিলে স্কিন টোন খারাপ হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে ত্বকের পেশি ঝুলে পরার কারণে সৌন্দর্য কমে চোখে পরার মতো। এই ধরনের সমস্যাতেও আমলকির রস দারুন কাজে আসে। কীভাবে? একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এই ফলটির অন্দরে থাকা ভিটামিন সি, কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বক টানটান হয়ে উঠতে সময় লাগে না।
৫. ব্রণর প্রকোপ কমায়:
এই ধরনের ত্বকের রোগের চিকিৎসায় আমলকির কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। তাই আপনিও যদি ব্রনর সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে আমলকিকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন! এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো আমলকি নিয়ে তা দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ভাল করে মুখটা ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রসঙ্গত, এই পেস্টটি নিয়মিত মুখে লাগালে ত্বকের অন্দরে ঘর বেঁধে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে। ফলে ব্রণের সমস্যা কমতে সময় লাগে না।
৬. স্কিন সেলের পরিচর্যায় কাজে লাগে:
আমলা রসের অন্দরে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের অন্দরে প্রবেশ করে স্কিন সেলের ক্ষত সারাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে যে কোনও ধরনের ত্বকের রোগ সারতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ত্বকের স্বাস্থ্যের এত মাত্রায় উন্নতি ঘটে যে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। তাই অল্প দিনেই যদি সুন্দরি হয়ে উঠতে চান, তাহলে এখন থেকেই নিয়মিত আমলার রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন।