Just In
রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে মেকআপ ধুয়ে না নিলে ত্বকের কী কী ক্ষতি হতে পারে জানেন?
তুমুল পার্টির পর অথবা সারা দিনের কাজে শেষে শরীর এতটাই ক্লান্ত থাকে যে অনেকেই মেকআপ না ধুয়েই শুতে চলে যান। ফলে সকালে করা মেকআপ ওঠে পরদিন সকালে গিয়ে।
তুমুল পার্টির পর অথবা সারা দিনের কাজে শেষে শরীর এতটাই ক্লান্ত থাকে যে অনেকেই মেকআপ না ধুয়েই শুতে চলে যান। ফলে সকালে করা মেকআপ ওঠে পরদিন সকালে গিয়ে। আর এমনটা হওয়ার কারণে ত্বকের অন্দরে ক্ষতিকর কেমিকালের মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে স্কিনের মারাত্মক ক্ষতি হয়। ফলে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে নানাবিধ ত্বকের রোগ। শুধু তাই নয়, ত্বকের আরও বেশ কিছু ক্ষতি হয়ে থাকে। যেমন ধরুন...
১. চোখের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে:
একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে অনেকক্ষণ মেকআপ করে থাকলে মুখের ইতিউতি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। ফলে তা থেকে চোখের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। সেই কারণেই তো চোখের মেকআপ তুলে তবে শুতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। আর যদি বেজায় ক্লান্ত থাকেন, আর বাথরুমে যেতে মন না চায়, তাহসে ওয়েট ন্যাপকিনের সাহায্যে একবার চোখ এবং মুখটা মুছে নেবেন। এমনটা করলেও কিন্তু কোনও ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যাবে।
২. ত্বক ফাটতে শুরু করে:
সারা দিন মেকআপ করে থাকার কারণে ত্বকের ছিদ্রের মধ্যে ধুলো-বালি, ব্যাকটেরিয়া এবং পরিবেশে উপস্থিত আরও সব ক্ষতিকর উপাদানের প্রবেশ ঘটতে শুরু করে। তাই তো দিনের শেষে ভাল করে মুখ ধুয়ে না নিলে এই সব ক্ষতিকর উপাদানগুলি ত্বকের আরও গভীরে প্রবেশ করে যায়। ফলে ত্বক ফাটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ব্রণ এবং অ্যাকনের মতো ত্বকের রোগের প্রকোপও মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়।
৩. ত্বকের বয়স বাড়াতে শুরু করে:
বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে বর্তমান সময় পরিবেশ দূষণের প্রকোপ বাড়ার কারণে ত্বকের উপর এত মাত্রায় এর প্রভাব পরে যে অসময়ে ত্বকের বয়স বাড়তে শুরু করে। প্রসঙ্গত, মেকআপ ধুয়ে না শুলেও কিন্তু একই ঘটনা ঘটে থাকে। কারণ সারাদিন ধরে পরিবেশে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানেরা মেকআপের কারণে ত্বকে জমতে শুরু করে, যা এক সময়ে গিয়ে ত্বকের অন্দরে টক্সিক উপাদানের মাত্রাকে এতটা বাড়িয়ে দেয় যে বলিরেখা প্রকাশ পেতে শুরু করে। ফলে ত্বকের বয়স কমতে সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধুরা অসময়ে বুড়ো-বুড়িদের মতো দেখতে লাগুক, এমনটা যদি না চান, তাহলে ভুলেও মেকআপ না মুছে শুতে যাবেন না যেন!
৪. ঠোঁটের সৌন্দর্য কমে যায়:
ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে মেকআপ না ধুয়েই যদি দিনের পর দিন কেউ রাত্রিযাপন করে থাকেন, তাহলে ক্ষতিকর কেমিকালের প্রভাবে ঠোঁটের অন্দরে আদ্রতা কমতে শুরু করে। ফলে ঠোঁট ফেটে যায়। আকর এমনটা হলে ত্বকের মুখে সৌন্দর্য যে বেজায় কমে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না। তাই তো যতই ক্লান্ত থাকুন না কেন, অল্প জল দিয়ে সিপস্টিক ধুয়ে নিতে ভুলবেন না যেন!
৫. ত্বক আদ্রতা হারায়:
বিশেষজ্ঞদের মতে অনেকক্ষণ মেকআপ করে থাকলে ত্বকের ছিদ্রগুলিতে ময়লা জমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্কিনের অন্দরে আদ্রতা কমতে শুরু করে। আর এমনটা হলে বলিরেখা যেমন প্রকাশ পায়, তেমনি ত্বকের সৌন্দর্যও কমে চোখে পরার মতো। এই কারণেই তো নিয়মিত রাত্রে মুখ ধুয়ে শুতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে যাকে।
৬. ব্রণর প্রকোপ বেড়ে যায়:
দিনের পর দিন মেকআপ না তুলে শুতে গেলে ত্বকের ছিদ্রগুলি বন্ধ হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ত্বকের অন্দরে কেমিকেলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া কারণে ব্রণ এবং সিস্টের মতো ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। আর এমনটা হলে ত্বকের সৌন্দর্য কমতে যে সময় লাগে না, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে! প্রসঙ্গত, ঠিক সময়ে ব্রণর চিকিৎসা না করলে সারা মুখ ব্রণর দাগে ভরে যায়। তাই তো এই বিষয়টি মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন।
৭. ড্রাই স্কিনের সমস্যা দেখা দেয়:
কম বয়সেই ত্বকের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটার কারণে সৌন্দর্য কমে যাক, এমনটা চান নাকি? নিশ্চয় নয় তো! তাই তো বলি ড্রাই স্কিনের মতো ত্বকের রোগ থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করুন। না হলে কিন্তু ৩০ এই আপনার ত্বক ৮০ বছরের বৃদ্ধার মতো হয়ে যাবে। কিন্তু প্রশ্ন হল ড্রাই স্কিনের সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায় কীভাবে? এক্ষেত্রে একটা নিয়ম মেনে চলতে হবে। কী নিয়ম? ভুলেও কোনও দিন মেকআপ পরিষ্কার না করে শুতে যাবেন না। আর যদি সম্ভব হয়, তাহলে যতট কম সম্ভব মেকআপ করবেন। এই নিয়মটি যদি মেনে চলতে পারেন, তাহলে ড্রাই স্কিনের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে সৌন্দর্য কমে যাওয়ার ভয়ও দূর হয়।