Just In
- just now অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 11 min ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 14 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
- 19 hrs ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
মল্লিকার্জুন: দ্বিতীয় জ্যোতির্লিঙ্গের কথা
মল্লিকার্জুন জ্যোতির্লিঙ্গ, শ্রীশৈলম অন্ধ্র প্রদেশে অবস্থিত| বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে এটি একটি এবং শিবের উপাসনার একটি খুব প্রাচীন স্থান|
এটি অনন্য কারণ দেবাদিদেব মহাদেব এবং দেবী পার্বতী দুজনেই এখানে জ্যোতির্লিঙ্গ হিসেবে উপস্থিত| মল্লিকার্জুন, দুটি শব্দের একটি মিশ্রন, যাতে 'মল্লিকা' দেবী পার্বতী এবং 'অর্জুন' শিবের অনেক নামের মধ্যে একটি বোঝায়|
মল্লিকার্জুন জ্যোতির্লিঙ্গের আরেকটি তাৎপর্য হল এই যে এটি ২৭৫ পড়ল পেত্রা স্থালামের মধ্যে অন্যতম| পড়ল পেত্রা স্থালাম মন্দির ও উপাসনালয় দেবাদিদেব মহাদেবের জন্য নিবেদিত হয়| শিব নয়নার শ্লোকে এই মন্দির সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শতকে|
শক্তিপীঠ
মল্লিকার্জুন
৫২টি
শক্তিপীঠের
মধ্যে
মল্লিকার্জুন
অন্যতম|
শিবের
পত্নী
দেবী
সতীর
শরীর
নিয়ে
যখন
মহাদেব
ধ্বংসের
নাচ
নেচেছিলেন,
বিষ্ণুদেবের
সুদর্শন
চক্র
ব্যবহারে
সতীদেবীর
শরীর
টুকরো
টুকরো
হয়েছিল|
এই
টুকরা
পৃথিবীর
উপর
পড়ে
এবং
শিবের
ভক্তদের
জন্য
উপাসনার
এক
গুরুত্বপূর্ণ
স্থান
হয়ে
ওঠে|
এই
স্থানগুলি
শক্তিপীঠ
হিসেবে
গণ্য
করা
হয়|
কথিত আছে যে, পৃথিবীতে দেবী সতীর ওপরের ঠোঁট এই মল্লিকার্জুনে পড়ে| তাই এই স্থান হিন্দুদের কাছে এত পবিত্র|
মল্লিকার্জুন
জ্যোতির্লিঙ্গের
কিংবদন্তী
মল্লিকার্জুন
জ্যোতির্লিঙ্গ
নিয়ে
অনেক
ভিন্ন
ভিন্ন
গল্প
কথিত
আছে
এবং
ভক্তরা
বিভিন্ন
গল্প
পছন্দ
করে
থাকেন|
এখানে,
আমরা
সবচেয়ে
জনপ্রিয়
দুটি
গল্পের
কথা
উল্লেখ
করব|
নিম্নলিখিত গল্প শিব পুরাণের কোটিরুদ্র সংহিতার ১৫ অধ্যায়ে পাওয়া যাবে|
একবার, মহাদেব এবং দেবী পার্বতী তাদের পুত্রদের, গণেশ ও কার্তিকের বিয়ের জন্য উপযুক্ত পাত্রীর সন্ধান করার সিদ্ধান্ত নিলেন| প্রথমে কার বিয়ে দেওয়া যায় তাই নিয়ে তর্ক শুরু হল| শিব প্রস্তাব দিলেন, যে প্রথম বিশ্বভ্রহ্মাণ্ড প্রদক্ষিণ শেষ করবে তার বিবাহ আগে হবে|
প্রভু কার্তিক তার ময়ুরের উপর চড়ে বসে প্রদক্ষিণ শুরু করে দিলেন| প্রভু গণেশ বুদ্ধি করে তার পিতামাতাকে সাতবার প্রদক্ষিণ করলেন এবং বললেন তাঁর কাছে পিতামাতাই বিশ্ব| এভাবে প্রতিযোগিতা জেতার পর গণেশের বিবাহ দেবী রিধি ও সিদ্ধির সাথে সম্পন্ন হল| যখন প্রভু কার্তিক ফিরে এলেন তিনি এই পক্ষপাতদুষ্টতা দেখে ক্রুদ্ধ হলেন এবং বরাবরের জন্য কৈলাশ ছেড়ে কুমারভ্রমচারী নাম নিয়ে ক্রন্চ পর্বতে বসবাস করতে চলে গেলেন|
এই ঘটনায় মহাদেব ও পার্বতী বিষন্ন হলেন| তারা প্রভুর কার্তিককে দেখতে ক্রন্চ পর্বত পরিদর্শন করার সিদ্ধান্ত নিলেন| যখন কার্তিক বুঝতে পারলেন, তাঁর বাবামায়ের আগমন হবে, তখন তিনি অন্যত্র চলে যান| যেখানে প্রভু শিব ও দেবী পার্বতী অপেক্ষা করেছিলেন সেই জায়গাটি এখন শ্রীশৈলম হিসাবে পরিচিত| বলা হয়, শিব প্রতি অমাবস্যায় এবং দেবী পার্বতী প্রতি পূর্ণিমাতে কার্তিক পরিদর্শনে যান|
পরবর্তী গল্প রাজকুমারী চন্দ্রাবতীকে নিয়ে| গল্পটি মল্লিকার্জুন জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দিরের দেয়ালে খোদাই করা আছে|
চন্দ্রাবতী রাজকন্যা হিসেবে জন্ম গ্রহণ করেন কিন্তু রাজকীয় জীবন ত্যাগ করে প্রায়শ্চিত্তের জীবন যাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন| তিনি যখন কদলী বনে ধ্যান মগ্ন ছিলেন তখন তিনি দেখেন কপিল গাভী একটি বেল গাছের নিকট উপস্থিত হল| গাভীর চারটি বাট দিয়ে অনর্গল দুধ বেরিয়ে সেই জায়গাটি ভিজে যায়| প্রতিদিন এই জিনিস চলতে থাকে| কিংকর্তব্যবিমূঢ়, রাজকুমারী গাছের তলার মাটি খুঁড়তে শুরু করলেন| এখানেই তিনি 'স্বয়ম্ভু শিবলিঙ্গ' পেলেন-শিবলিঙ্গ যা প্রকৃতির দ্বারা গঠিত| শিবলিঙ্গ উজ্জ্বল এবং জ্বলন্ত ছিল|
চন্দ্রাবতী এই জ্যোতির্লিঙ্গের উপাসনা করেন এবং অবশেষে একটি বিশাল জ্যোতির্লিঙ্গের মন্দির তৈরী করেন|
কথিত আছে যে, চন্দ্রাবতী শিবের খুব প্রিয় ভক্ত ছিলেন| অন্তিমকালে, তিনি বাতাসের দ্বারা কৈলাশে বাহিত হয়ে সেখানেই মোক্ষ ও মুক্তি পান|
মল্লিকার্জুন
জ্যোতির্লিঙ্গে
শিবের
আরাধনার
তাৎপর্য
এটা
বিশ্বাস
করা
হয়
যে
এখানে
শিবের
কাছে
প্রার্থনা
করলে
অপরিমেয়
সম্পদ
ও
খ্যাতি
অর্জিত
হয়|
শিবের
কাছে
সত্য
নিষ্ঠা
থাকলে
সব
রকমের
মনোবাঞ্ছা
পূর্ণ
হয়|
মল্লিকার্জুন
জ্যোতির্লিঙ্গে
উৎসব
এখানে
সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ
উৎসব
হল
মহা
শিবরাত্রি|
প্রতি
বছর,
জাঁকজমকের
সাথে
এই
অনুষ্ঠান
পালিত
হয়|
এই
বছর,
মহা
শিবরাত্রি
ফেব্রুয়ারি
২৪
তারিখে
পালিত
হবে|