Just In
মকর সংক্রান্তি সম্পর্কিত কিছু বিষয় যা বেশ অভূতপূর্ব
বছর শুরুতে প্রথম ছুটি তো আমরা মকর সংক্রান্তির দিনই পাই। তাই এই দিনটির গুরুত্ব চাকরিজীবীদের কাছে একেবারে অন্য় রকমের। তাছাড়া দেশজুড়ে পালিত এই উৎসবের মাহাত্ম আমাদের চাষি ভাইদের কাছে কতটা, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
নবান্ন উৎসব আরেক কারণে খুব জনপ্রিয়, তা হল এর বহর। এত রঙের মিলনে এই উৎসব সত্য়িই চোখকে খুব আরাম দেয়। সেই সঙ্গে সারা দিনব্যাপী চলা নানা উপাচারে যেন মনের ক্ষিদেও পূর্ণ হয়। নাচে গানে ভরে ওঠে চারিদিক। আর খাওয়া-দাওয়া তো চলতেই থাকে। সুস্বাদু ভোজন ছাড়া কোনও উৎসব হয় নাকি! একটা জিনস কিন্তু এখনও বাদ থেকে গেল। সংক্রান্তির দিন, আর আকাশ ঘুড়িতে ঢেকে যাবে না তা কী করে হয়। মকর সংক্রান্তির আরেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল ঘুড়ি।
আজ বোল্ডস্কাই-এ এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হল যা মকর সংক্রান্তি সম্পর্কে আপনার জ্ঞানকে আর কিছুটা বাড়িয়ে দেবে।
এই দিনটিকে মকর সংক্রান্তি বলা হয় কেন?
পুরানো নথি ঘেঁটে জানা গেছে আজকের দিনেই সূর্য মকর রাশিতে প্রবেশ করে। তাই তো এই উৎসবের নাম মকর সংক্রান্তি।
দীবারাত্র অনুষ্ঠান হয় কেন?
বিজ্ঞানানুসারে আজকের দিনে সূর্যের অবস্থানের কারণে দিন ও রাতের পরিধি বেড়ে যায়। সেই কারণই মকর সংক্রান্তির দিন দীবারাত্র উৎসব চলতে থাকে।
কত নামে ডাকা হয় এই উৎসবকে?
পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে এটি খুবই জনপ্রিয় একটি উৎসব। দক্ষিণে যা পোঙ্গাল নামে পরিচিত, উত্তর ভারতে তাই লোড়ি নামে বিখ্যাত। মকর সংক্রান্তির দিনটিকে অনেক জায়গায় উত্তরায়ণ বলেও ডাকা হয়ে থাকে।
এই দিনে কী কী খাওয়া হয়?
কিছু খাবার আছে যা আজকের দিন খেতেই হয়। তার মধ্যে একটি হল তিলের নাড়ু। এই খাবারটি ছাড়া মকর সংক্রান্তি উৎসব সম্পুর্ণই হয় না। তাই তো অনেক জায়গায় এই উৎসব তিলগুল নামেও পরিচিত। বাঙালির ঘরে ঘরে এই দিন পিঠে, পায়েস, পাটিসাপ্তা তৈরি হয়।
এই দিনে ঘুড়ি ওড়ানো হয় কেন?
শীতের দিনে হওয়ায় এই উৎসবের দিনে সূর্যের তেজ সেভাবে থাকে না। ফলে সংক্রমণের প্রকোপ বেড়ে যায়। তাই তো আজকের দিনে ঘুড়ি ওড়ানোর রেওয়াজ আছে। ঘুড়ি ওড়ালে অনেকটা সময় রোদ্রে কাটাতে হয়। ফলে শরীরে যেমন ভিটামিন-ডি-এর ঘাটতি দূর হয়, তেমনি নানা রোগ-জীবাণুর হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।
মকর সংক্রান্তির দিন তীর্থযাত্রায় যায় কেন?
আজকের দিনে গঙ্গা স্নান করলে সব পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অনেকে এও বিশ্বাস করেন যে মকর সংক্রান্তির দিনে যদি কেউ মারা যান তাহলে তার আর পুর্নরজন্ম হয় না। সে সরাসরি স্বর্গের পথে পারি দেন।