Just In
ভাবী মায়ের রক্তচাপ পরীক্ষা করে জানা সম্ভব ছেলে হবে কী মেয়ে!
ভাবী মায়ের রক্তচাপ বলে দিতে সক্ষম হয় আগত বাচ্চার লিঙ্গ সম্পর্কে। বিশ্বাস না হলে পড়ে ফেলুন এই প্রবন্ধটা।
আপনি যদি প্রেগন্য়ান্ট হন তাহলে নিশ্চয় পরিবারের সদস্য়ারা জানতে আগ্রহী যে আপনার ছেলে হবে কী মেয়ে। কি তাই তো? আপনাদের কি জানা আছে গর্ভবতী হওয়ার আগে ভাবী মায়ের রক্তচাপ পরীক্ষা করে বলে দেওয়া সম্ভব ছেলে হবে না মেয়ে।
শুনতে যতই আজব লাগুক না কেন এই ধরণা যে সত্য়ি তা প্রমাণিত হয়েছে এক গবেষণায়।
একথা নিশ্চয় সবার জানা আছে যে আমাদের দেশে ভ্রণের লিঙ্গ নির্ধারণ কিন্তু একটা বেআইনি কাজ। তবু আমাদের মধ্য়ে অনেকেই প্রসবের আগে জানতে আগ্রহী হন বাচ্চার লিঙ্গ প্রসঙ্গে। তবে তা আবশ্য়ই ভালো কারণে। যেমন ধরুন আগে থেকে নাম ঠিক করতে অথবা সেই মতো জামাকাপড় কিনতে সুবিধা হয় যদি জানা থাকে আসন্ন সন্তান ছেলে না মেয়ে।
তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ভাবী মায়ের রক্তচাপ বলে দিতে সক্ষম হয় আগত বাচ্চার লিঙ্গ সম্পর্কে।
১.
টরোন্টোর মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ডাঃ রবি রত্নাকরণ এক গবেষণায় একথা প্রমাণ করেছেন যে গর্ভবতী হওয়ার আগে রক্তচাপ পরীক্ষার মাধ্য়েম ভ্রণের লিঙ্গ নির্ধারণ সম্ভব।
২.
মা হতে চলা প্রায় ১৪০০ জনের উপর এই পরীক্ষা চালিয়েছিলেন ডাঃ রত্নাকরণ।
৩.
গর্ভবতী হওয়ার প্রায় ২৬ মাস আগে থেকে এই মহিলাদের উপর পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। প্রতিনিয়ত মাপা হয়েছিল তাদের রক্তচাপ।
৪.
পরীক্ষায় দেখা গিয়েছিল যেসব মহিলার ব্লাড প্রেসার বেশি তাদের ছেলে এবং যাদের রক্তচাপ কম তাদের মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৫.
ডাঃ রত্নাকরণ এ প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, মায়ের শরীরের ভতরের অবস্থাই ব্লাড প্রেসারের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। তাই তো প্রেসার মেপে বলে দেওয়া সম্ভব হয় কোনও মহিলা আগামী ৯ মাস বাচ্চাকে পেটে ধরে রাখতে পারবেন কিনা। মায়ের শরীরের ভিতরকার এই রদবদলই বাচ্চার লিঙ্গ নির্ধারণ করে।
৬.
আমেরিকান জার্নাল অব হাইপারটেনশনে প্রকাশিত এই স্টাডি অনুসারে ছেলে বা মেয়ে বাচ্চা পাওয়ার জন্য যদি মা ইচ্ছা করে তার প্রেসার বাড়াতে বা কমাতে চান, তাহলে কিন্তু কোনও কাজই হয় না।
৭.
এতকিছুর পরেও ডাঃ রত্নাকরণ বলেছিলেন, বাচ্চার লিঙ্গ এবং মায়ের রক্তচাপের মধ্য়ে যোগাযোগ সম্পর্কে আরও জানতে এখনও দরকার রয়েছে অনেক গবেষণার।