Just In
গর্ভাবস্থায় নিরামিষ খাবার খাওয়া কি নিরাপদ?
আপনি কি নিরামিষাশী এবং কিছুদিনের মধ্য়েই মা হতে চলেছেন? তাহলে এই প্রবন্ধটা আপনাকে পড়তেই হবে।
আপনি কি নিরামিষাশী এবং কিছুদিনের মধ্য়েই মা হতে চলেছেন? তাহলে এই প্রবন্ধটা আপনাকে পড়তেই হবে।
একথা কারও অজানা নেই যে মা হওয়ার সময়টা হল মেয়েদের জীবনে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটা অধ্য়ায়। আর প্রেগনেন্ট থাকাকালীন ভাবী মা যাই করে থাকুন না কেন, তার সরাসরি প্রভাব পড়ে বাচ্চার উপর। তাই এ সময় মায়েদের অতিরিক্ত সাবধান থাকাটা একান্ত প্রয়োজন।
মাতৃগর্ভে থাকাকালীন মায়ের খাদ্য় থেকেই বাচ্চা তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেয়ে থাকে। মা যখন খাবার খান, তখন তা ভেঙে গিয়ে রক্তনালি এবং আম্বিলিকাল কর্ড হয়ে বাচ্চার শরীরে গিয়ে পৌঁছায়। তাই নবজাতকের শরীর কেমন হবে তা অনেকংশেই নির্ভর করে গর্ভাবস্থায় মা কী খেয়েছেন তার উপর। প্রেগনেন্ট থাকাকালীন মা যদি পুষ্টিকর খাবার খান, তাহলে বাচ্চার শরীরও ভালো হয়। শুধু তাই নয়, প্রসবকালীন নানা অসুবিধাও অনেকংশে দূর হয়।
অনেক মা আছেন যারা এই সময় মাংস খেতে খুব ভালোবাসেন, আবার কিছু আছেন যারা শাক-সবজি ছাড়া কিছুই খান না। এখন প্রশ্ন গর্ভাবস্থায় নিরামিষ আহার কি বাচ্চার শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে? চলুন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
নিরামিষ
আহার
এবং
প্রিমেচিওর
বাচ্চার
জন্ম:
মাংসাশী
এবং
নিরামিশাষী
মায়েদের
উপর
সম্প্রতি
একটি
সার্ভে
করা
হয়েছিল।
গবেষণার
শেষে
দেখা
যায়,
যেসব
মায়েদের
ডায়েটে
শাক-সবজির
পরিমাণ
বেশি
ছিল
তাদের
বেশিরভাগেরই
প্রিমেচিওর
বাচ্চা
হয়েছে।
অর্থাৎ
৯
মাসের
আগেই
বাচ্চা
জন্ম
নিয়ে
নিয়েছে।
অপরদিকে,
যাদের
ডায়েটে
মাংসের
পরিমাণ
বেশি
ছিল
তাদের
বেশিরভাগেরই
ঠিক
সময়ে
প্রসব
হয়েছে।
কী কারণে এমনটা হল? উক্ত গবেষণা পত্রটি অনুসারে গর্ভাবস্থায় মাংস না খেলে মায়ের শরীরে ভিটামিন-বি১২ এর অভাব ঘটে। আর এমনটা হলে সময়ের আগেই প্রসব হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
তাই সব শেষে একথা বলতেই হয় যে, শাক-সবজি খেতে ভালোবাসেন এমন মহিলারা গর্ভাবস্থায় কেমন ধরনের খাবার খাবেন, সে সম্পর্কে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে ভুলবেন না। তেমন হলে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ভিটামিন-বি১২ সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।