For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

গর্ভাবস্থায় চাইনিজ খাবার খাওয়া চলবে কি?

প্রেগনেন্ট মহিলারা চাইনিজ খাবার খেতে পারবেন না। কেন? তা জানতে চোখ রাখুন এই প্রবন্ধে।

|

রোজের সেই রান্না ঘর আর পরিচিত রান্নার দুনিয়া থেকে ছুটি নিয়ে মাঝে মধ্য়ে একটু স্বাদ বদল করতে কে না চায়। আর স্বাদ বদলের এই লিস্টে মহিলা মহলে বেশ জনপ্রিয় চাইনিজ খাবার। কিন্তু প্রশ্ন হল, গর্ভাবস্থায় কি এই খাবার খাওয়া চলবে?

মানঞ্চুরিয়ান, নুডুলস এবং ফ্রায়েড রাইসের মতো পদ সামনে এলে জীভে জল আসতে বাধ্য়। আর আমাদের দেশে যেখানে সবাই প্রায় নানা পদ চেখে দেখতে ওস্তাদ, সেখানে চীনা ফুডের রমরমা হবে না, তা কী করে হয়!

বাইরে, মানে হোটেল-রেস্তঁরায় খেতে গেলেই চোখে পরে চাইনিজ খাবারের জনপ্রিয়তা। আর সেই ভোজন রসিকদের মধ্য়ে বেশিরভাগই যে মহিলা , তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মেয়েরা চাইনিজ খাবার এত খেতে কেন পছন্দ করে, তা জানা নেই। তবে সবাই একটা প্রশ্ন করেই থাকেন, গর্ভাবস্তায় চাইনিজ খাবার খাওয়া কি ক্ষতিকারক? সে নিয়ে আলোচনা তো করবই, তবে তার আগে এটা জেনে রাখাটা প্রয়োজন যে গর্ভাবস্থায় মায়েরা যাই খায়, তা আম্বিলিকাল কডের মাধ্য়মে শিশুর শরীরে গিয়ে পৌঁছায়। তাই এই সময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া খুব জরুরি।

চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় আদৌ চাইনিজ খাবার খাওয়া যাবে কিনা, সে বিষয়ে।

১.

১.

নুডলস, মাঞ্চুরিয়ান, ফ্রাইড রাইস এবং মোমোর মতো চীনা খাবারে এমন কিছু টক্সিন মেশান থাকে, যা শরীরের পক্ষে ভালো নয়। তবে এইসব উপাদানগুলির জন্য়ই স্বাদ আসে। তাহলে এখন আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন, স্বাদ আগে না শরীর!

২.

২.

চাইনিজ খাবারে উপস্তিত টক্সিনগুলির মধ্য়ে অন্য়তম হল মোনোসোডিয়াম গ্লটামেট বা এম এস জি।

৩.

৩.

মোনোসোডিয়াম গ্লটামেট এক ধরনের নুন, যা গ্লটামিক অ্যাসিড থেকে তৈরি হয়। এই নুন যে কোনও পদকে সুস্বাদু বানাতে কাজে লাগানো হয়।

৪.

৪.

বহু বছর ধরে এই নিয়ে আলোচনা হচ্ছে যে এম এস জি শরীরের পক্ষে আদৌ ভালো কিনা। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এই উপাদানটি বেশি খেলে হজমের রোগ, মাথা যন্ত্রণা, অ্যালার্জি, অ্যাস্থেমা, জয়েন্ট পেন এবং ওজন বৃদ্ধির মতো সমস্য়া দেখা দেয়।

৫.

৫.

কিছু গবেষণায় এও প্রমাণিত হয়েছে যে গর্ভাবস্তায় ভাবী মা যদি এই নুনটি বেশি মাত্রায় খায় তাহলে বাচ্চার বৃদ্ধি আটকে যেতে পারে। তাই এই সময় কোনও ধরনের চাইনিজ খাবার খাওয়া উচিত নয়।

৬.

৬.

এম এস জি তে উপস্থিত নন-এসেনশিয়াল এমাইনো অ্যাসিড মায়ের পেটে থাকা বাচ্চার শারীরিক বৃদ্ধি আটকে দিতে পারে। সেই সঙ্গে এই উপাদনটির কারণে বাচ্চার নানা ধরনের ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডার হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

৭.

৭.

এম এস জি ছাড়াও চীনা খাবারে নুনের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই ভাবী মায়েরা এই খাবার খেলে মর্নিং সিকনেস, ক্র্য়াম্প লাগা এবং পেট গোলানোর মতো সমস্য়া বেড়ে যায়।

৮.

৮.

তাই সবশেষে বলতেই হয় গর্ভাবস্তায় চাইনিজ খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।

English summary

গর্ভাবস্থায় চাইনিজ খাবার খাওয়া চলবে কি?

When we go out, most of us usually like to try new dishes and Chinese food has become quite popular among the masses. However, is it safe for pregnant women to indulge in eating Chinese food?
X
Desktop Bottom Promotion