Just In
- 24 min ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 3 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
- 20 hrs ago অসহ্য গরমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ঘরেই বানান ডিটক্স ওয়াটার
- 20 hrs ago গরমে ট্যানিংয়ের সমস্যা? আর নয়, ব্যবহার করুন এই ঘরোয়া প্যাকগুলি
বেশি বয়সে গর্ভবতী হবেন না!
বয়স ৩৫ ছাড়িয়েছে। আর এখন ভাবছেন মা হবেন। তাহলে তো এই প্রবন্ধটি পড়তেই হবে আপনাকে।
বয়স ৩৫ ছাড়িয়েছে। আর এখন ভাবছেন মা হবেন। তাহলে তো এই প্রবন্ধটি পড়তেই হবে আপনাকে। কারণ বেশি বয়সে মা হতে চাইলে নানা সমস্য়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর সে বিষয়ে সচেতন থাকা একান্ত প্রয়োজন। না হলেই কিন্তু বিপদ!
একথা আজ সকলেরই জানা যে বাচ্চা নিতে চাইলে তা ৩৫ বছরের আগেই নিয়ে নেওয়া উচিত। কিন্তু কী কারণে চিকিৎসকেরা এমন পরামর্শ দিয়ে থাকেন, তা কজনেরই বা জানা আছে!
আজকের আধুনিক যুগে বেশিরভাগ মহিলাই একটু দেরি করে সংসার শুরু করতে চান। কারণ অনেক। কেরিয়ার হতে পারে, নিজের অন্য় কোনও স্বপ্ন পূরণের কারণে দেরি করতে পারেন অথবা আদর্শ জীবন সঙ্গীর অপেক্ষায় একটু দেরি হয়ে যাওয়াটাও আর অবাক করে না এখন। তাই অনেকেই একটা সময়ের পর ভাবতে শুরু করেন, এইভাবে দেরি করে বাচ্চা নিলে নবজাতকের কোনও ক্ষতি হয়ে যাবে না তো? আর এমন ভাবনাতে বিধ্বস্ত হয়ে নিয়ে ফেলেন নানা ভুল সিদ্ধান্ত।
তাই এই বিষয়ে একটু সচেতন হওয়াটা জরুরি। এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা না হলেও এই লেখাটি পড়লে বুঝে যাবেন কী কী কারণে বেশি বয়সে বাচ্চা নিলে সমস্য়া হতে পারে।
তথ্য ১:
সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে ২০১২ সালের পর থেকে ৩৫ বছরের পর মা হওয়ার হার প্রায় ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তথ্য ২:
এই নিয়ে ইতিমধ্য়েই অনেক গবেষণা হয়ে গেছে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একথা প্রমাণিত হয়েছে যে বেশি বয়সে মা হতে চাইলে নানা রকমের শারীরিক অসুবিধা দেখা দেয়। কিছু ক্ষেত্রে তো পরিস্থিতি খুব জটিল আকার নেওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
তথ্য ৩:
এত কিছু জানার পরেও এখনও গবেষণা চলছে একথা জনাতে যে কেন ৩৫ বছরের পরে বাচ্চা নিলে সমস্য়া হয়। আরো গভীরে যেতে চাইছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের একটাই লক্ষ, এই সমস্য়ার সমাধান নির্ণয় করা।
তথ্য ৪:
একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে ৩৫ বছরের পর বেশিরভাগ মহিলার শরীরে অক্সিটকিন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়।
তথ্য ৫:
অক্সিটোকিন হরমোনের একাধিক কাজ রয়েছে। যার মধ্য়ে অন্য়তম হল প্রসবের প্রক্রিয়াকে সহজ করে দেওয়া। এই হরমোনের ক্ষরণ যত বেশি হবে, তত বাচ্চার ডেলিভারি সহজে হবে। আর যেমনটা আগেই বলা হয়েছে যে ৩৫ বছরের পর এই হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়, তাই স্বাভাবিক ভাবেই প্রসবকালীন নানা অসুবিধা দেখা দিতে শুরু করে।
তথ্য ৬:
৩৫ বছরের পরে মহিলাদের শরীরে প্রজেস্টেরন হরমোন ক্ষরণের হারও কমে যায়।
তথ্য ৭:
প্রেগনেন্সির সময় ভ্রূণের প্রতিস্থাপনকে সহজ করতে সাহায্য় করে প্রজেস্টেরন হরমোন। শুধু তাই নয় লেবারের সময় পেলভিকের দেওয়ালকে মজবুত করতেও এই হরমোনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
তথ্য ৮:
তাহলে সব শেষে একথাটা বলতেই হয় যে, উপরে আলোচিত এই দুটি হরমোনের ক্ষরণ যত কমে যাবে, তত প্রেগন্য়ন্সিতে সমস্য়া বাড়বে। আর একথা তো জেনেই গেছেন যে ৩৫ বছরের পর এই দুটি হরমোনের ক্ষরণ খুব কমে যায়।