Just In
- 1 hr ago প্রেম জীবনে উত্তেজনা মেষ-তুলার, সতর্ক থাকতে হবে ৩ রাশিকে, দেখুন আজকের রাশিফল
- 17 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 19 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 21 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
ব্রেস্ট মিল্কের পরিমাণ বাড়াতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা
মাতৃ দুগ্ধের ঘাটতি কমাতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা
আপনি সবে মাত্র মা হয়েছেন? চাইছেন বাচ্চাকে বেশি করে ব্রেস্ট মিল্ক খাওয়াতে তাহলে ভরসা রাখতে পারেন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার উপরে। শতাব্দী প্রাচীন এই চিকিৎসা পদ্ধতিটি এক্ষেত্রে দারুন কাজে আসে।
নবজাতককে ভালো রাখতে একজন মা সব ধরনের চেষ্টা চালান। তাই তো বাচ্চা হওয়ার পর মায়েদের জীবন একেবারে বদলে যায়। একবার ভাবুন তো আপনার শরীর, আপনার বাচ্চার খিদে মেটাচ্ছে। এমন কাজ করতে গিয়ে আবেগের স্রোতে ভেসে যাওয়াটা তো স্বাভাবিক। তাই না! সেই কারণেই তো চিকিৎসকেরা বলে থাকেন বাচ্চার জন্মের পরে নতুন যে যে অধ্য়ায়গুলি শুরু হয়, তার মধ্য়ে ব্রেস্ট ফিডিং-এর অংশটি সবথেকে সুন্দর। এই সময় মায়ের দুধ ছাড়া বাচ্চা আর কিছুই খেতে পারে না। শুধু কী তাই! মা এবং বাচ্চার মধ্য়ে আমৃত্য়ু যে সম্পর্ক তৈরি হয়, তা তো এই সময়েই গড়ে ওঠে।
ব্রস্ট ফিডিং-এর অনেক উপকারিতা আছে। বাচ্চার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে মায়ের দুধ বিশেষ ভূমিকা নেয়। অপরদিকে মায়ের শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝড়ে যায় বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময়। অর্থাৎ ব্রেস্ট ফিডিং যে শুধুমাত্র বাচ্চারই উপকারে লাগে, এমন নয়। এই প্রক্রিয়া মায়ের শরীরকেও সুন্দর করে তোলে। এখানেই শেষ নয় মায়ের দুধ বাচ্চার নার্ভাস সিস্টেমের উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে মায়ের ব্রেস্ট ক্য়ানসার হওয়ার আশঙ্কাও কমায়।
এইসব নানা কারণে জন্মের প্রথম পর্যায়ে বাচ্চার পর্যাপ্ত পরিমাণ মাতৃ দুগ্ধ খাওয়া একান্ত প্রয়োজন। মায়ের শারীরিক কোনও কারণে যদি এক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা দেখা দেয়, তাহলে এই প্রবন্ধে আলোচিত আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিটির সাহায্য় নিতে পারেন।
উপকরণ:
তিলের
বীজ-
১
চামচ
বাদাম
দুধ-
হাফ
কাপ
এই আয়ুর্বেদিক ওষুধটি মাতৃ দুগ্ধ বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। তবে প্রতিদিন খেতে হবে এই মিশ্রনটি। না হলে কিন্তু সেভাবে ফল পাওয়া যাবে না। প্রসঙ্গত, এই মিশ্রনটি খাওয়ার পাশাপাশি মাকে ভালো করে খাবার খেতে হবে। সেই সঙ্গে জল খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। এই নিয়মগুলি যদি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা যায় তাহলে মাতৃ দুগ্ধের পরিমাণে কোনও দিন ঘাটতি হবে না।
প্রসঙ্গত, তিলের বীজে রয়েছে ক্য়ালসিয়াম, যা দুধের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য় করে। অপরদিকে বাদাম দুধ প্রোটিন এবং ক্য়ালসিয়াম সমৃদ্ধ।
ব্লেন্ডারে পরিমাণ মতো উপকরণগুলি দিয়ে ভালো করে মেশান। মিশ্রনটা তৈরি হয়ে গেলে একটা কাপে তা সংগ্রহ করুন। দুমাস ধরে ব্রকফাস্টের পর এই মিশ্রনটি খেলে দেখবেন অসুবিধা একেবারেই কমে যাবে।