Just In
- 6 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 6 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 9 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 12 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
বাচ্চাদের ডায়াবেটিস: কারণ এবং লক্ষণ
বাচ্চারাও আক্রান্ত হতে পারে ডায়াবেটিসে। তাই ছোট থেকেই তাদের সাবদানে রাখুন। নাহলে কিন্তু বিপদ!
বাচ্চাদেরও ডায়াবেটিস হয় নাকি? বিশ্বাস না হলেও একথা সত্যি যে আজকাল বাচ্চারাও এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আর ভয়ের বিষয় হল গত কয়েক বছরে আক্রান্তের সংখ্য়াটা ক্রমাগত বাড়ছে। কারণ অনেক। কোনও বিশেষজ্ঞের মতে পরীবেশগত কারণ এজন্য় দায়ী, আবার কেউ কেউ মনে করেন জেনেটিক ফ্য়াকটার এক্ষেত্রে আসল খেলাটা খলছে। কারণ যাই হোক না কেন। ডায়াবেটিসের মতো ভয়ঙ্কর লাইফস্টাইল ডিজিজের হাত থেকে আমাদের পরবর্তি প্রজন্মকে বাঁচাতে এখনই কিছু করা দরকার। নচেৎ কিন্তু বিপদ!
তাহলে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক বাচ্চাদের কী ধরনের ডায়াবেটিস হয় এবং তার লক্ষণ কী কী।
টাইপ ১ ডায়াবেটিস:
প্য়ংক্রিয়াসের কিছু সেল ঠিক মতো কাজ না করার কারণে বাচ্চার শরীরে যখন পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি হয় না তখনই সে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। পরিমাণ মতো ইনসুলিন তৈরি না হওয়ার কারণে খাবার এনার্জিতে রূপান্তরিত হতে পারে না। সেই সঙ্গে শরীরে শর্করার মাত্রাও খুব বেড়ে যায়। কারণে ইনসুলিনই হল সেই সৌনিক যে শরীরে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য় করে। প্রসঙ্গত, মূলত বাচ্চাদেরই টাইপ ১ ডায়াবেটিস হয়ে থাকে।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস:
ইনসুলিন রেজিসটেন্সের কারণে শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে বাচ্চা টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। এক্ষেত্রে জেনে রাখাটা জরুরি যে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের চিকৎসা যদি ঠিক সময়ে শুরু না হয়, তাহলে রোগীর কিডনি ও হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও অনেকাংশে বেড়ে যায়।
প্রি-ডায়াবেটিস :
এক্ষেত্রে বাচ্চার শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলেও তা বিপদ সীমা ছাড়ায় না। ফলে ঠিক সময়ে যদি চিকিৎসা শুরু করা যায় তাহলে আগামী দিনে সেই বাচ্চার টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমানো যায়।
কারণ:
অনেক কারণে বাচ্চারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। এক্ষেত্রে জেনেটিক কারণ যেমন অন্য়তম, তেমনি ভাইরাস ইনফেকশনের কারণে প্য়ংক্রিয়াসের কোনও সেল নষ্ট হেয় গেলে, অসংগত জীবনযাত্রা, মাত্রাতিরিক্ত ওজন অথবা পরীবেশ গত কারণও এক্ষেত্রে দায়ী হতে পারে।
গরুর দুধ:
একাধিক গবেষণা পত্র ঘেঁটে দেখা গেছে এই রোগের পারিবারিক ইতিহাস রেয়েছে এমন বাচ্চা যদি খুব অল্প বয়স থেকে গরুর দুধ খেত শুরু করে তাহলে তার খুব কম বয়সে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
লক্ষণ:
এক্ষেত্রে নানা ধরনের লক্ষণের বহিঃপ্রকাশ ঘটতে পারে। যেমন, তলপেটে ব্য়থা হওয়া, বারংবার প্রস্রাব চাপা, ক্লান্তি, খিচখিচে হয়ে যাওয়া, চোখে দেখতে সমস্য়া হওয়া, শরীরের কিছু অংশে কোনও সার না থাকা, ক্ষত শুকতে দেরি হওয়া, মাত্রাতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়া, রক্ত চাপ কমে যাওয়া প্রভৃতি।