Just In
জন্মবার অনুসারে কোন পশুর স্বাভাবের সঙ্গে আপনার চরিত্র মিলে যায় জেনে নিন!
প্রকৃতির সঙ্গে প্রতিটি জীবিত বস্তুরই সরাসরি যোগ রয়েছে। কেই কারও থেকে বিচ্ছিন্ন নয়।
প্রকৃতির সঙ্গে প্রতিটি জীবিত বস্তুরই সরাসরি যোগ রয়েছে। কেই কারও থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। আমরা, মানে মানষেরা প্রাণী জগতে নিজেদের সর্বোত্তম মনে করলেও একথা জেনে হয়তো অবাক হবেন যে আমাদের স্বাভাবের সঙ্গে একাধিক পশুর স্বভাবের বেশ মিল পাওয়া যায়, যা হয়তো এর আগে তেমনভাবে কেউ খেয়াল করেননি। কিন্তু প্রশ্ন হল, কার স্বভাব কোন পশুর সঙ্গে মিলবে, তা কিভাবে বোঝা যাবে? নানা দেশের প্রচীন সব পুঁথি ঘেঁটে জানা গেছে মাসের কোন দিন জন্ম হয়েছে তার উপর নির্ভর করে মানুষের চরিত্র। তাই তো এই প্রবন্ধে, দিন এবং মাস ধরে ধরে পশুর সঙ্গে মানুষের স্বাভাবের নানা মিল তুলে ধরার চেষ্টা করা হল আপনাদের সামনে।
জানুয়ারি মাস:
১-৯ তারিখ- কুকুর
১০-২৪ তারিখ- ইঁদুর
২৫- ৩১ তারিখ- সিংহ
ফেব্রয়ারি মাস:
১-৫ তারিখ- বিড়াল
৬-১৪ তারিখ- পায়রা
১৫-২১ তারিখ- কচ্ছপ
২২-২৮ তারিখ- চিতা বাঘ
মার্চ মাস:
১- ১২ তারিখ- বাঁদর
১৩-১৫ তারিখ- সিংহ
১৬-২৩ তারিখ- ইঁদুর
২৪-৩১ তারিখ- বিড়াল
এপ্রিল মাস:
১-৩ তারিখ- কুকুর
৪-১৪ তারিখ-চিতা বাঘ
১৫-২৬ তারিখ- ইঁদুর
২৭-৩০ তারিখ- কচ্ছপ
মে মাস:
১-১৩ তারিখ- বাঁদর
১৪-২১ তারিখ- পায়রা
২২-৩১ তারিখ- সিংহ
জুন মাস:
১-৩ তারিখ- ইঁদুর
৪-১৪ তারিখ- কচ্ছপ
১৫-২০ তারিখ- কুকুর
২১-২৪ তারিখ- বাঁদর
২৫-৩০ তারিখ- বিড়াল
জুলাই মাস:
১-৯ তারিখ- ইঁদুর
১০-১৫ তারিখ- কুকুর
১৬-২৬ তারিখ- পায়রা
২৭-৩১ তারিখ- বিড়াল
অগাষ্ট মাস:
১-১৫ তারিখ- বাঁদর
১৬-২৫ তারিখ- ইঁদুর
২৬-৩১ তারিখ- কচ্ছপ
সেপ্টেম্বর:
১-১৪ তারিখ- পায়রা
১৫-২৭ তারিখ- বিড়াল
২৮-৩০ তারিখ- কুকুর
অক্টোবর মাস:
১-১৫ তারিখ- বাঁদর
১৬-২৭ তারিখ- কচ্ছপ
২৮-৩১ তারিখ- চিতা বাঘ
নভেম্বর মাস:
১-১৬ তারিখ- সিংহ
১৭-৩০ তারিখ- বিড়াল
ডিসেম্বর মাস:
১-১৬ তারিখ- কুকুর
১৭-২৫ তারিখ- বাঁদর
২৬-৩১ তারিখ- পায়রা
কার স্বাভাব কেমন হবে?
১. কুকুর:
এরা বেশ বিশ্বাসী মানুষ হন। মিশুকে স্বাভাবের জন্য সবাই এদের বেশ পছন্দ করেন। এখানেই শেষ নয়, এরা খুব শান্তশিষ্ট এবং মাটির মানুষ হন। যে কোনও সমস্যা থেকে দূরে থাকতে এরা খুব পছন্দ করেন। জামা-কাপড়ের ব্যাপারে এদের টেস্ট খুব ভাল হয়।
২.ইঁদুর:
এমন মানুষদের দেখে তাদের মন বোঝা একেবারেই সম্ভব হয় না। সব কিছু লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন এরা। তবে এমন মানুষদের সঙ্গ পেতে সবার খুব ভাল লাগে। তাই তো বন্ধু মহলে এরা খুব জনপ্রিয় হন। চরিত্রের দিক থেকে আরও বলতে গেলে এমন মানুষদের মন খুব নরম হয়। ফলে অল্পতেই এদের দুঃখ লেগে যায়।
৩. সিংহ:
এদের আপাত দৃষ্টিতে শান্ত স্বাভাবের মনে হলেও প্রয়োজনে প্রতিবাদ করতে এরা পিছপা হন না। তবে নানা কারণে এরা সব সময়ই বিবাদ এড়িয়ে চলতে বেশি পছন্দ করেন। প্রকৃতির মধ্যে থাকতে এরা ভালবাসেন। আর সিংহের মতোই এরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে বেশ পছন্দ করেন। তাই তো কর্মক্ষেত্রে এমন মানুষেরা খুব সফলতা অর্জন করেন। তবে এদের স্বাভাবের সবথেক খারাপ দিক হল এরা সব সময় "লাইম লাইটে" থাকতে পছন্দ করেন। যে কারণে অনেকে এই স্বভাবের ফায়দা তুলে নিজের কাজ গুছিয়ে নেন। তাই তো এমন মানুষদের এই বিষয়টি মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন।
৪. বিড়াল:
এরা খুব মিশুকে স্বাভাবের হন, অনেকটা বিড়ালের মতোই। অনেকের সঙ্গে মিলে মিশে থাকতে এরা খুব পছন্দ করেন। তাই তো এমন মানুষদের সবাই বেশ পছন্দ করেন। কিছুক্ষেত্রে বেশ লাজুক এবং কথা কম বলতে পছন্দ করেন এরা। স্বাভাবের দিক থেকে বলতে গেলে এমন মানুষেরা যে কোনও কিছুর গভীরে চলে যেতে চান। উপরে উপরে জ্ঞান লাভ করা এদের ধাতে নেই। শান্ত স্বভাবের হলেও ক্ষেত্রে বিশেষ আগুনের গোলা হয়ে উঠতে এরা একেবারেই সময় নেন না। সাজতে পছন্দ করেন। কিন্তু সবার সঙ্গে মিশতে একেবারেই চান না। তাই তো অনেকে এমন মানুষদের বেশ নাক উুঁচু বলে ভেবে থাকেন।
৫. পায়রা:
এমন মানুষেরা হাসি-খুশি থাকতে বেশ পছন্দ করেন। দুঃখের সময়েও এদের তেমন একটা মন খারাপ হয় না। তাই তো বন্ধু মহলে সবাইকে খুশি করে দিতে এদের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। যারা মিথ্যা কথা বলেন, তাদের এমন মানুষেরা একেবারেই পছন্দ করেন না। গুছিয়ে কাজ করতে ভালবাসেন। সেই সঙ্গে বারে বারে প্রেমে পরতেও এরা পিছপা হন না।
৬. কচ্ছপ:
এরা মন থেকে খুব ভাল হন। লোকের ভল করতে এরা সদা প্রস্তুত থাকেন। যে কোনও ধরনের ঝামেলা এড়িয়ে চলতে পছন্দ করেন এরা। শান্ত স্বভাবের হওয়ার কারণে অনেকেই এদের খুব পছন্দ করেন এবং সঙ্গে থাকতে চান। কারও সম্পর্কে খারাপ কথা এদের মুখ থেকে বেরয় না বললেই চলে। সবার সঙ্গ ভাল ব্যবহার করা এদের রক্তে রয়েছে। এক কথায় বলা যেতে পারে এমন মানুষেরা খুব আদর্শবান এবং বুদ্ধিমান হন। জীবনকে কীভাবে সুন্দর করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায, তা এদের কাছ থেকে শেখা উচিত বাকিদের।
৭. চিতাবাঘ:
আপনার মন বোঝার ক্ষমতা কারও নেই। সব সময়ই নিজেকে লুকিয়ে রাখতে আপনি পছন্দ করেন। যে কোনও ধরনের মানসিক চাপকে সামলে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে আপনার মধ্যে। তাই তো এমন মানুষদের ডিপ্রেশনে ভুগতে খুব একটা শোনা যায় না। তবে এদের চরিত্রের সব থেকে খারাপ দিক হল, সব কিছু এদের ইচ্চা মতো হলে এরা তবেই খুশি হন। আর এমনটা না হলেই রাগে ফেটে পরেন। এত কিছুর পরেও এদের চরিত্রের সবথেকে ভাল দিক হল, এরা বাকিদের সাহায্য করতে সব সময় প্রস্তুত থাকেন। তাই তো এত কিছুর পরেও লেকে এদের ভালবাসেন।
৮. বাঁদর:
ধৈর্য নেই, সেই সঙ্গে এমন মানুষরা অল্পতেই রেগে যান। সব কিছুই যেন তাড়াতাড়ি চান এরা। ভাল কিছুর জন্য অপেক্ষা করা এদের ধাতে নেই। তবে মন থেকে এরা খুব সরল হন এবং মানুষকে ভালবাসতে এরা কখনও পিছপা হন না। সব সময় "লাইম লাইটে" থাকতে পছন্দ করেন। সব ধরনের ঝামেলা থেকে দূরে থাকেন। কোনও বাজে বিষয়ে যাতে এদের নাম না ওঠে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি থাকে। এমন মানুষদের সিক্স সেন্স খুব ভাল হয়।