Just In
- 1 hr ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 18 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
- 18 hrs ago গরম থেকে বাঁচতে দেদার খাচ্ছেন ডাবের জল? ডেকে আনছেন না তো বড় বিপদ!
- 19 hrs ago ওজন কমাতে চান? ট্রাই করুন গ্রীষ্মকালীন এই শাকসবজি
পিরিয়ডের যন্ত্রণা কমাতে এই ৮ টা ঘরোয়া পদ্ধতি দারুন কাজে আসে!
মাসের একটা নির্দিষ্ট সময়ে মেয়েদের শরীর থেকে কিছু অপ্রয়োজনীয় টিস্যু রক্তের আকারে ভ্যাজাইনার মধ্যে দিয়ে শরীরের বাইরে বেরিয়ে আসে। এই প্রক্রিয়াকেই সহজ কথায় পিরিয়ড বলা হয়ে থাকে। শুনতে সহজ লাগলেও আদতে কিন্তু সার্বিক প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল। প্রতি মাসে ডিমের ফার্টিলাইজেশন যাতে ঠিক মতো হয় তার জন্য ইউটেরাসের দেওয়াল ধীরে ধীরে মোটা হতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে যদি কেউ প্রেগনেন্ট না হয়, তাহলে ইউটেরাসের দেওয়ালের সেই অতিরিক্ত স্থর ভেঙে গিয়ে রক্তের আকারে শরীর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে। এই অধ্যায়কেই চিকিৎসা পরিভাষায় পিরিয়ড বলা হয়ে থাকে।
পিরিয়ডের সময় ভ্যাজাইনা দিয়ে যখন রক্ত বেরয় তখন এতটাই যন্ত্রণা হয় যে অনেকের পক্ষেই সেই কষ্ট সহ্য করা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে অনেকে পেন কিলার খেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। তবে এমন ধরনের ওষুধ খেয়ে কখনও সুফল মেলে, কখনও মেলে না। সেই কারণেই তো এই প্রবন্ধে এমন কিছু ঘরোয় পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা পিরিয়োডের যন্ত্রণা কমাতে ১০০ শতাংশ কাজে দেয়। তাহলে আর অপেক্ষা কেন। এখনই বাকি প্রবন্ধটি পড়ে নিয়ে জেনে ফেলুন সেইসব ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে।
এক্ষেত্রে যে যে ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি দারুন কাজে দেয়, সেগুলি হয়...
১. গরম শেক:
পিরিয়োডের যন্ত্রণা কমাতে গরম শেক দারুন কাজে আসে। এবার থেকে তাই পিরিয়ডের কষ্ট হলেই হট ওয়াটার ব্যাগে গরম জল নিয়ে তলপেটের উপরের অংশে আলতো করে রেখে দেবেন। তাহলেই দেখবেন কষ্ট কমে যাবে। আর যদি হট ওয়াটার ব্যাগ হাতের কাছে না থাকে, তাহলে কাঁচের বোতলে গরম জল নিয়েও শেক দিতে পারেন।
২. আদা:
এতে উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকরি উপাদান পিরিয়ডের সময়কার যন্ত্রণা এবং ক্র্যাম্প কমাতে দারুন কাজে আসে। এক্ষেত্রে ১ কাপ জলে এক টুকরো আদা ফেলে দিয়ে জলটা কম করে ৫ মিনিট গরম করুন। সময় হয়ে গেলে জলটা ছেঁকে নিয়ে তাতে অল্প করে মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। প্রসঙ্গত, এই মিশ্রনটি দিনে ৩ বার খেলেই উপকার মিলতে শুরু করবে।
৩. তুলসি পাতা:
এতে রয়েছে ক্য়াফিক অ্যাসিড যা প্রাকৃতিক পেন কিলারের কাজ করে। সেই কারণেই মাসের এই নির্দিষ্ট সময়ে তুলতি পাতাকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে ১ কাপ গরম জলে ১ চামচ তুলসি পাতা দিয়ে কয়েক মিনিট কাপটা চাপা দিয়ে রাখুন। যখন দেখবেন জলটা ঠান্ডা হয়ে গেছে তখন সেটি পান করুন। প্রতি ঘন্টায় এই মিশ্রনটি পান করলেই দেখবেন কষ্ট একেবারে কমে যাবে।
৪. দারুচিনি:
এই মশলাটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-স্প্য়াসোমেডিক, অ্যান্টি-ক্লটিং এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা যন্ত্রণা কমানোর পাশাপাশি পিরিয়োডের অস্বস্তি কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো পিরিয়ড শুরু হওয়া মাত্র দারচিনি দিয়ে তৈরি চা খাওয়া শুরু করতে হবে। এমনটা করলেই দেখবেন কষ্ট কমে যাবে। প্রসঙ্গত, দারচিনিতে উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রণ এবং ম্যাঙ্গানিজ শরীরের গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৫. মৌরি:
১ কাপ গরম জলে ১ চামচ মৌরি মিশিয়ে জলটা কম করে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ফোটানো হয়ে গেলে জলটা ছেঁকে নিয়ে তাতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এই হার্বাল চা-টি পিরিয়োড শুরুর তিন দিন আগে থেকে প্রতিদিন পান করলে যন্ত্রণা হওয়ার আশঙ্কা একেবারে থাকে না বললেই চলে।
৬. ক্যামোমিল চা:
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই কারণেই তো পিরিয়ডের সময় প্রতিদিন ২ কাপ করে এমন চা খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
৭. তিসি গাছের বীজ:
এতে উপস্থিত এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড পিরিয়োডের সময়কার ক্র্যাম্প, যন্ত্রণা এবং অন্যান্য নানা সমস্যা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে টক দইয়ের সঙ্গে তিসি বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।
৮. পেঁপে:
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান প্রচুর মাত্রায় থাকার কারণে পিরিয়ডের সময়কার কষ্ট কামাতে পেঁপের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, এতে উপস্থিত ক্যারোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ এবং সি ইউটেরাইনের দেওয়ালকে মসৃণ করার মধ্যে দিয়ে ক্র্যাম্প লাগার আশঙ্কাও হ্রাস করে।