Just In
স্ট্রেস থেকে হওয়া মাথাব্য়থা কমাতে ঘরোয়া পদ্ধতি
স্ট্রেস তো বর্তমান যুগে সবার সঙ্গী। আর এই স্ট্রেস থেকে হতে পারে মারাত্মক মাথা যন্ত্রণা। চিন্তা নেই, এমন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আছে যা মাথা যন্ত্রণা কমাতে দারুন কাজে আসে।
মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের মাত্রা বারলেই অনেকের মাথা যন্ত্রণা, সঙ্গে মাথা ঘোরা এবং বমি হবে এমন অনূভূতু হতে শুরু হয়। এক এক জনের তো শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে পেন কিলার না নেওয়া পর্যন্ত মাথা যন্ত্রণা কমতেই চায় না। সমস্য়া হল, মাত্রাতিরিক্ত পেন কিলার সেবন কখনই শরীরের জন্য় ভালো নয়। তাহলে উপায়? চিন্তা নেই মুঠো মুঠো পেনকিলার না খেয়ে বিশ্বাস রাখুন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতির উপর যেগুলি স্ট্রেস সম্পর্কিত মাথা যন্ত্রণা কমাতে মন্ত্রের মতো কাজ করে। প্রসঙ্গত, মাথা যন্ত্রণার সমস্য়াকে একেবারেই হালকা ভাবে নেবেন না। ঠিক সময়ে যদি এর চিকিৎসা করা না যায়, তাহলে কিন্তু এর থেকে এক সময়ে নানা জটিল নিউরোলজিকাল সমস্য়াও হতে পারে। তাই সাবধান!
এই প্রবন্ধে আলোচিত ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি নিঃসন্দেহে কাযর্করি। কিন্তু যেমনটা চিকিৎসকেরা প্রায়ই বলে থাকেন, প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিউর, তাই স্ট্রেস থেকে মাথা যন্ত্রণা বা অন্য় কোনও সমস্য়া হওয়ার আগেই সাবধান হওয়াটা জরুরি।
তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক সেইসব ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে যেগুলি মাথা যন্ত্রণা কমাতে দারুন কাজে দেয়।
১. ক্যামোমিল চা:
এক চা চামচ মাপের শুকনো ক্যামোমিল পাতা নিয়ে তা পরিমান মতো গরম জলে মেশান। কিছুক্ষণ রেখে, তারপর পাতা ছেকে নিয়ে গরম জলটা চায়ের মতো পান করুন। এই পানীয়টি পান করার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দেখবেন যন্ত্রণা কমতে শুরু করেছে।
২. আদা:
যেমনটা আমরা সকলেই জানি, আদার মধ্য়ে বিপুল পিরমাণে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ রয়েছে, যা এই ধরনের সমস্য়া কমাতে সাহায্য় করে। ছোট্ট একটা আদার টুকরো অথবা এক চা চামচ মাপের আদার পাউডার নিন। তারপর তা গরম জলে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে পান করে ফেলুন। দিনে একবার, কী দুবার এই প্রক্রিয়ায় আদা খেলে দেখবেন সমস্য়া কমতে শুরু করেছে।
৩. ল্যাভেন্ডার তেল:
কয়েক ফোঁটা এই তেল, বাদাম তেলের সঙ্গে মিশিয়ে কপালে ধীরে ধীরে লাগান। দেখবেন মাথা যন্ত্রণা কেমন ম্য়াজিকের মতো কমে যাচ্ছে। স্ট্রেস কমাতেও এই মিশ্রন দারুন কাজে দেয়।
৪. দারচিনি:
কয়েকটা দারচিনির নিয়ে ঝটপট গুঁড়ো করে নিন। তারপর তাতে জল মিশিয়ে থকথকে পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এবার সেই পেস্ট ধীরে ধীরে কপালে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫. হাত-পা প্রসারিত করুন:
কিছু এক্সার্সাইজ আছে যা স্ট্রস এবং মাথা যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য় করে। যেমন, ধীরে ধীরে মাথাটা উপর-নিচে, ডানদিকে-বাঁদিকে করুন। সঙ্গে কষ্ট না হলে মাথাটা একবার ঘরির কাঁটার দিকে, আর একবার ঘরির কাঁটার বিপরীতে ঘোরান। এই ব্য়য়ামগুলি করলে স্ট্রেসের কারণে হওয়া মাথা যন্ত্রণা অনেকটাই কমবে।
৬. তুলসি পাতা:
অ্যান্টি স্ট্রেস এজেন্ট হিসাবে তুলসির কদর সেই বহুকাল থেকে। কীভাবে ব্য়বহার করা হবে এই পাতা? খুব সহজ! সামান্য় কয়েকটা তুলসি পাতা নিয়ে গরম জলে ফুটিয়ে নিন। তারপর সেই ফোটান জল পান করে ফেলুন ঝঠপট!
৭. লবঙ্গ:
একটা পাত্রে সামান্য় লবঙ্গ তেল নিয়ে তা নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ফেলুন। তারপর তাতে অল্প সামুদ্রিক লবন মিশিয়ে একটা মিশ্রন বানিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রন ধীরে ধীরে কপালে লাগালেই দেখবেন ব্য়থা কমতে শুরু করেছে।
৮. থিইম:
রোজমেরি তেল নামেও পরিচিত এই উপাদানটি অল্প করে কপালে লাগালে যন্ত্রণা এবং স্ট্রেস, দুই-ই কমে।