Just In
Don't Miss
দূর্গা পূজোর আগে ভুঁড়ি কমাতে চান তো? তাহলে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি!
গবেষণায় দেখা গেছে তিন সময়ে ঠিক মতো খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা তো কমেই, সেই সঙ্গে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।
ব্যস্ততার কারণে পুষ্টিকর খাবার তো ছাড়ুন, ঠিক সময়ে খাওয়াই হয়ে ওঠে না অনেকের। পেটে কামড়ে কামড়ে ক্ষিদে মরে যায়, তবু পাকস্থলিতে একটা খাবরের দানাও পৌঁছায় না। আর যখন খাওয়ার সুযোগ হয়, তখন সেই খাবার শরীরের কাজে না লেগে ফ্যাট হিসেবে জমতে শুরু করে। ফলে বাড়তে শুরু করে মধ্যপ্রদেশ। তাই তো ক্ষিদে পেলেই খাওয়া উচিত। যত দেরি করবেন, তত কিন্তু আপনার শরীরের অবয়ব খারাপ হতে শুরু করবে।
দাঁড়ান দাঁড়ান বন্ধুরা! যাচ্ছেন কোথায়, এখানেই কিন্তু গল্পটা শেষ হয়ে যায় না! আরও আছে...আমারা সবাই শারীরিক পরিশ্রম সমানভাবে করি না। কেউ সারা দিন দৌড়-ঝাপ করে অর্থ উপার্জন করে, আর কেউ কেউ অফিস বন্দী হয়ে দেশ উদ্ধারে লেগে পরে। কিন্তু খাওয়ার সময় জীবিকা সম্পর্কে আমরা একটুও ভাবি না। মানে! খাওয়ার সঙ্গে চাকরির কী সম্পর্ক? আছে মশাই আছে! ধরুন যাদের খুব শারীরিক পরিুশ্রম করতে হয়, তারা যদি বেশি পরিমাণে ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার খান, তাহলে মেদ জমার খুব একটা সম্ভাবনা থাকে না। কিন্তু যারা সারাদিন অফিসে বসে কাজ করেন, তারা যদি দিন-রাত কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া শুরু করেন তাহলেই মুশকিল। তাই তো বন্ধুরা মা দূর্গা আসার আগে যদি পেটের চর্বি ঝরাতে চান, তাহলে আর সময় নষ্ট না করে জেনে নিন কী কী নিয়ম মেনে খেলে পুষ্টির ঘাটতিও হবে না, এদিকে মেদও কমবে চোখে পরার মতো।
প্রসঙ্গত, কত তাড়াতাড়ি মেদ ঝরবে তা অনেকাংশেই নির্ভর করে কোন সময় খাবার খাচ্ছেন তার উপর। যেমন একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে বেলা ৩টের পর যারা দুপুরের খাবার খান, তাদের মেদ ঝরার প্রক্রিয়া খুব ধিমে তালে হতে থাকে। আবার যারা সকাল ৬টা থেকে রাত ৭ টার মধ্যে দিনের খাবার খাওয়া শেষ করে দেন, তাদের ওজন দ্রুত কমতে থাকে। তাই তো এই প্রবন্ধে কোন কোন সময় খাবার খেলে ওজন কমে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
১. "থ্রি স্কয়ার" মিল:
আমরা সাধারণত তিন বেলা, অর্থাৎ ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ এবং ডিনারে খাবার কেয়ে থাকি। এই পদ্ধতিকেই চিকিৎসা পরিভাষায় থ্রি স্কয়ার মিল বলা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, এমন নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া শরীরের জন্য খুব উপকারি। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এই তিন সময়ে ঠিক মতো খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা তো কমেই, সেই সঙ্গে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।
২. সারা দিনের খাবারকে কয়েক ভাগে ভাগ করে নিন:
দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে, তা হল সারা দিনের যে পরিমাণ খাবার খাচ্ছেন তাকে তিন বা আরও বেশি ভাগে ভাগ করে নিয়ে খান। অর্থাৎ একেক বারে অনেক পরিমাণে না খেয়ে অল্প অল্প করে বারে বারে খান। এমনটা করলে শরীরে ক্যালরি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা কমে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে খেয়াল রাখতে হবে প্রতিটি মিলের মধ্যে যেন কম করে ২ ঘন্টার ব্যবধান থাকে।
৩. শরীরচর্চার পরে কার্বোহাড্রেট মাস্ট!
মেদ ঝড়াতে শরীরচর্চা করতেই হবে। সেই সঙ্গে আরও একটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। তা হল, এক্সারসাইজের পর পরই দেখবেন খুব ক্ষিদে পাবে। সে সময় কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার, যেমন ভাত অথবা রুটি খেয়ে নেবেন। এমনটা করলে পেশির গঠনে উন্নতি ঘটবে, এনার্জির ঘাটতি দূর হবে, সেই সঙ্গে ভুঁড়ি বাড়ার সম্ভাবনাও কমবে।
৪. মাংসকে ভুলতে হবে:
এই এক মাস বেশি বেশি করে ফল এবং সবজি খাওয়া শুরু করুন। কমান মাংস খাওয়া। বিশেষত পাঁটার মাংস তো একেবারেই খাওয়া চলবে না। আর একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, সন্ধ্যা ৬ টার পর রাতের খাবার খাওয়া চলবে না। যদি রাতের দিকে একান্ত ক্ষিদে পেয়ে যায় তাহলে অল্প করে খাবার খেতেই পারেন, তবে বেশি মাত্রায় খাওয়া চলবে না। কারণ রাত যত বাড়তে থাকে, তত আমাদের মেটাবলিজম রেট কমে যায়, ফলে ডিনারে হালকা খাবার না খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়।
৫. সপ্তাহে দুবার উপোস করতেই হবে:
দ্রুত ওজন কমাতে চান তো সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টা না খেয়ে থাকতেই হবে। কোনও উপায় নেই! দুদিন উপোশ করে বাকি দিন ইচ্ছা মতো খেতেই পারেন। তবে অবশ্যই পরিমিত হারে। এই নিয়মটি মানলে দেখবেন হাতে নাতে ফল পাবেন।
৬. রাতের খাবারে কেমন হবে?
খেয়াল রাখবেন রাতে যাই খান না কেন, তা যেন প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ হয়, তাহলে সারা রাত আর ক্ষিদে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। সেই সঙ্গে ক্যালরি জমার সম্ভাবনাও কমবে।