Just In
- just now আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 13 min ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 17 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 18 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
ওজন কমবে ব্যাকটেরিয়ার গুণে!
পাকস্থলিতে উপস্থিত এই ছোট ছোট মাইক্রোঅর্গেনিজন আমাদের নানাভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে।
ট্রেড মিলে এক ঘন্টা। তারপর সাইকেলিং তো মাস্ট! তবু মাসের পর মাস কেটে যাচ্ছে। ক্যালেন্ডারের পাতা যাচ্ছে পাল্টে। তবু ওজন কমছে না। এদিকে খাওয়াও কমিয়ে দিয়েছেন! তাহলে গোলটা কোথায় বাঁধছে বলুন তো? ব্যাপারটা তো বোঝা যাচ্ছে না! এতসবের পরেও ওজনের কাঁটা নিম্নগামী হচ্ছে না কেন?
এই সব প্রশ্নের উত্তর আপনার স্টমাক দিতে পারে। মানে! স্টমাকের সঙ্গে ওজন কমার কী সম্পর্ক? আছে মশাই, সম্পর্ক আছে এবং সেই সম্পর্কটা বেশ গভীর! সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে ডায়েটিং এবং এক্সারসাইজের পাশাপাশি আরেকটি বিষয় ওজন কমার বিষয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, আর তা হল পাকস্থলি বা স্টমাকে উপস্থিত ভাল ব্যাকটেরিয়া। প্রসঙ্গত, পাকস্থলিতে উপস্থিত এই ছোট ছোট মাইক্রোঅর্গেনিজন শুধু ওজন কমায় না, সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতার উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
ইউনিভার্সিটি অব কোপেনহেগেনের একদল গবেষক এই পরীক্ষাটি চালিয়েছিলেন। মোট ৬২ জন মোটা মানুষদের উপর এই পরীক্ষাটি চালাতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা লক্ষ করেছিলেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কে কতটা ওজন কমাতে পারবে, তা অনেকাংশেই নির্ভর করে তার পাকস্থলির অন্দরে থাকা ব্যাকটেরিয়ার ক্ষমতার উপর। তাই তো যাদের "গাট ব্যাকটেরিয়ার" খুব শক্তিশালী, তারা খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে পারেন, যা বাকিদের পক্ষে সম্ভব হয় না। প্রসঙ্গত, দ্রুত ওজন কমাতে প্রিভোটেলা নামে পাকস্থলির একটি ব্যাকটেরিয়ার বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনি যদি এই উৎসবের মরসুমে ওজন কমাতে বদ্ধপরিকর হন, তাহলে পাকস্থলিতে উপস্থিত উপকারি ব্যাকটেরিয়াদের সংখ্যা যাতে না কমে, বিশেষত প্রিভোটেলা ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা, সেদিকে নজর রাখতে হবে। আর এই কাজটি করবেন কিভাবে?
এক্ষেত্রে কতগুলি সহজ নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলেই কেল্লাফতে! নিয়মগুলি হল...
১. ডায়েটের দিকে নজর দিন:
ওজন কমাতে ডায়াটেশিয়ান যেভাবে ডায়ের্ট চার্ট বানিয়ে দিয়েছেন, তা মানতে তো হবেই, সেই সঙ্গে যে যে খাবর খেলে ভাল ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, এমন খাবার যাতে প্রতিদিন প্লেটে থাকে, সেদিকেও নজর দিতে হবে। যেমন ধরুন ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার যে যে খাবারে বেশি মাত্রায় আছে, এমন খাবার বেশি বেশি করে খেতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। প্রসঙ্গত, ফাইবার ভাল ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. সবুজ শাক-সবজি এবং ফল বেশি করে খান:
প্রতিদিন লাঞ্চ এবং ডানারের প্লেটে সবুজ শাক সবজি এবং ব্রেকফাস্টের প্লেটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল থাকলে ভাল ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকে না। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ফুলকোপি, ব্রকলি, ডাল, বিনস, জাম এবং হোল গ্রেনে উপস্থিত ফাইবার এক্ষেত্রে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।
৩. দই:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে দইয়ে উপস্থিত ল্যাকটোবেসিলি নামক ব্যাকটেরিয়াও ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যদি দ্রুত ওবেসিটির হাত থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে আজ থেকেই দই খাওয়া শুরু করুন, দেখবেন উপকার মিলবে।
৪. চিনি কম খান:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যত বেশি করে চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাবেন, তত পাকস্থলীতে উপস্থিত ভাল, উপকারি ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকবে। ফলে একদিতে যেমন ওজন কমবে দেরিতে, তেমনি হজম ক্ষমতাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে।
৫. নবজাতকে টানা ৬মাস মায়ের দুধ খাওয়াতে ভুলবেন না:
বাচ্চার শরীরে ভাল ব্যাকটেরিয়ার প্রবেশ ঘটে মায়ের শরীর থেকে। তাই জন্মের পর থেকে নবজাতককে যদি টানা ছয় মাস মায়ের দুধ খাওয়ানো না যায়, তাহলে তার শরীরে ভাল ব্যাকটেরিয়ার ঘাটতি দেখা দেয়, যা বড় হওয়ার পর নানা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই বাচ্চার ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ মাতৃদুগ্ধ খাওয়াতে ভুলবেন না যেন!
৬. পলিফেনল সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে:
এই উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর ভাল ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা তো বাড়ায়ই, সেই সঙ্গে ব্লাড প্রেসার কমাতে, প্রদাহ হ্রাসে এবং বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো প্রতিদিন পলিফেনল সমৃদ্ধ ডার্ক চকোলেট, রেড ওয়াইন, গ্রিন টি, বাদাম, পেঁয়াজ অথবা ব্রকলি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষক্ষরা।