Just In
ভাত খেলে কি সত্য়িই ওজন বাড়ে?
ভাত খেলে কি সত্য়িই ওজন বাড়ে?
এই প্রশ্নটা সবাই করে থাকেন। কিন্তু সঠিক উত্তরটা কজনেরই বা জানা থাকে বলুন। অনেকেই বলেন, "ভাত খাস না রে মোটা হয়ে যাবি!" একবারও কি তারা ঠিক তথ্যটা জানার কষ্ট করেন? মনে তো হয় না। তাই তো এই প্রবন্ধে সেই আদি কাল থেকে চলে আসা এই ধরণার পোস্টমর্টাম করে দেখা হবে আদৌ ভাতের সঙ্গে শরীরের ওজন বাড়ার কোনও সম্পর্ক আছে কিনা।
সারা বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ নানা ভাবে ভাত খেয়ে থাকেন। বিশেষত, এশিয়া মহাদেশে প্রতিদিন ভাত খাওয়া লোকের সংখ্যা সবথেকে বেশি। আর ভারতের কথা তো ছেড়েই দিলাম! আমাদের দেশে ভাতের সঙ্গে নানা পদের সমাহারে ভোজন রসিকদের রসনা তৃপ্তি হয়ে থাকে। উত্তরের বেশ কিছু রাজ্য়ে এখনও সেভাবে ভাতের জনপ্রিয়তা না থাকলেও দক্ষিণ ভারতের মানুষদের প্রথম পছন্দ ভাত, তারপর একে একে জায়গা পায় বাকি পদগুলি। প্রসঙ্গত, একথা অস্বীকার করার নয় যে ভাতের একাধিক গুণ রয়েছে। যেমন ধরুন, আমাদের এনার্জি বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভাতের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এত উপকারে লাগার পরেও ভাতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন অনেকে। তাদের অভিযোগ শরীরে অতিরিক্ত মেদ বৃদ্ধিতে ভাতেরও ভূমিকা রয়েছে। একথা কি সত্যি? চলুন জেনে নেওয়া সে সম্পর্কে।
ভাতের
মধ্য়ে
কী
রয়েছে?
এতে
রয়েছে
ফ্য়াট,
প্রোটিন,
ভিটামিন
এবং
মিনারেল।
শুধু
তাই
নয়
চালের
বেশিরভাগটা
জুড়েই
রাজত্ব
করছে
কার্বোহাইড্রেট।
তাই
তো
ডায়াটেশিয়ানরা
ভাতকে
মূলত
কার্বোহাইড্রেট
সমৃদ্ধ
খাবার
হিসেবে
বিবেচিত
করে
থাকেন।
আর
একথা
তো
সকলেরই
জানা
যে
আমাদের
শরীরের
কমর্ক্ষমতা
বাড়াতে
কার্বোহাইড্রটের
গুরুত্ব
অপরিসীম।
তাই
তো
যারা
সারা
দিন
ব্য়াপী
কর্মচঞ্চল
থাকতে
চান
তাদের
জন্য়
ভাত
খাওয়াটা
জরুরি।
তবে
একাধিক
গবেষণায়
একথা
প্রমাণিত
হয়েছে
যে
কিছু
ধরনের
কার্বোহাইড্রেট
বাস্তবিকই
মেদ
বাড়ায়।
যেমন-
সাধারণ
চালের
ভাত
বেশি
খেলে
ওজন
বাড়ার
আশঙ্কা
থাকে।
কিন্তু
ব্রাউন
রাইস
খেলে
অতটা
ওজন
বাড়ে
না।
শুধু
তাই
নয়,
সাদা
ভাতের
তুলনায়
ব্রাউন
রাইসে
ফাইবার
এবং
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
অনেক
বেশি
পরিমাণে
থাকে।
ফলে
নিয়মিত
লাল
চালের
ভাত
খেলে
ওজন
বাড়ার
সম্ভবনা
থাকে
না
বললেই
চলে।
প্রসঙ্গত, কোনও ধরনের ভাতেই ফ্য়াটের পরিমাণ বেশি থাকে না। তাই শুধুমাত্র ভাত খেয়ে কেউ মোটা হয়ে যান না। ভাতের সঙ্গে অন্য় রিস্ক ফ্য়াকটারগুলি যুক্ত হলে, তবেই মোটা হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই তো বিশেষজ্ঞরা সব সময় অল্প পরিমাণে ভাত খাওয়ার পরমার্শ দেন। তাই তো সবশেষে একথাই বলতেই হয় যে, সাদা ভাতের পরিবর্তে ব্রাউন রাইস খান। আর যদি সাদা ভাত খেতেই হয়, তাহলে তা খান পরিমিত হারে। একথা ভুলে যাবেন না যে মাত্রাতিরিক্ত কোনও জিনিসই শরীরের পক্ষে ভাল নয়।