For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

আপনি যে ভেজাল মধু কিনছেন না তা বুঝবেন কীভাবে?

আপনি যে ভেজাল মধু কিনছেন না তা বুঝবেন কীভাবে?

|

শরীরের গঠনে মধুর কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু সেই মধু যদি ভেজাল হয়, তাহলে! একাধিক গবষণায় দেখা গেছে ভেজাল মধুতে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা দীর্ঘদিন ধরে শরীরে প্রবেশ করলে দেহের ওজন বেড়ে যায়, সেই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই এখন প্রশ্ন আসতেই পারে যে, মধু ভেজাল কিনা বোঝার কি কোনও উপায় আছে? অবশ্যই আছে। সেই নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করা হল এই প্রবন্ধে।

পদ্ধতি ১:

পদ্ধতি ১:

মধু কেনার পর তা থেকে এক চামচ নিয়ে এক গ্লাস জলে মিশিয়ে দিন। যদি দেখেন মধুটা একেবারে জলে গুলে গেছে তাহলে বুঝবেল আপনি ভেজাল মধু কিনেছেন। কারণ বিশুদ্ধ মধু জলে গুলে যায় না।

পদ্ধতি ১:

পদ্ধতি ১:

অল্প করে মধু নিয়ে জলের উপর কয়েক ড্রপ ফেলে দিন। তারপর সেই জলেই কয়েক ড্রপ ভিনিগার মেশান। এরপর যদি দেখেন ফোমের মতো কিছু তৈরি হয়েছে, তাহলে বুঝবেন আপনার ভাগ্য খারাপ। কারণ আপনার কেনা মধুতে রয়েছে ভেজাল উপাদান। প্রসঙ্গত, মধুতে ক্ষতিকর কিছু কেমিকাল, বিশেষত জিপসাম নামে একটি উপাদান মেশান থাকলেই সাধারণত এমনটা হয়ে থাকে।

পদ্ধতি ৩:

পদ্ধতি ৩:

এক চামচ মধু নিয়ে একবার নাড়িয়ে দেখুন তো কী হয়। যদি দেখেন মধুটা চামচ থেকে পরে যাচ্ছে, তাহলে বুঝবেন ভেজাল মধু কিনেছেন আপনি। কারণ বিশুদ্ধ মধু কখনই এমন ভাবে চামচ থেকে পরে যাবে না। আসলে নকল মধুতে জলের পরিমাণ বেশি থাকে, যে কারণে চামচটা একটু নাড়াতেই সেটা পরে যায়। আপর দিকে বিশুদ্ধ মধু অনেক বেশি থকথকে হয়, ফলে সহজে পরতে চায় না।

পদ্ধতি ৪:

পদ্ধতি ৪:

এক চামচ মধু নিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দিন। কী দেখছেন? মধুটা কি পুড়ে যাচ্ছে? তাহলে বুঝবেন তা আসল মধু। কারণ যেমনটা আগেও বলেছি বিশুদ্ধ মধুতে জলের পরিমাণ কম থাকে, ফলে সহজে পুড়ে যায়। য়ে কারণে নকল মধুর ক্ষেত্রে একেবারে উলটো ঘটনা ঘটে।

পদ্ধতি ৫:

পদ্ধতি ৫:

অল্প পরিমাণ মধুর সঙ্গে এক ড্রপ আয়োডিন মেশান। যদি দেখেন মিশ্রনটা নীল রঙের হয়ে যাচ্ছে, তাহলে বুঝবেন মধুটা নকল। আসলে ভেজাল মধুতে স্টার্চ খুব বেশি পরিমাণে থাকে, যে কারণে এমনটা হয়।

পদ্ধতি ৬:

পদ্ধতি ৬:

মধু আসল না নকল তা বোঝার আরেকটি সহজ উপায় রয়েছে। কী সেই উপায়? একটা পাঁউরুটির টুকরো নিয়ে এক চামচ মধুর মধ্য়ে মেশান। যদি দেখেন পাঁউরুটিটা শক্ত হয়ে গেছে তাহলে বুঝবেন মধুটা আসল, তাতে কোনও ক্ষতিকর উপাদান নেই। কারণ নকল মধুতে জলের পরিমাণ বেশি থাকে, যে কারণে পাঁউরুটি ঢুবিয়ে রাখলে তা শক্ত না হয়ে গিয়ে উলটে নরম হয়ে যাবে।

পদ্ধতি ৭:

পদ্ধতি ৭:

কেন অর্গেনিক মধু শরীরের পক্ষে এতটা ভাল? আসলে এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন এ, বি, সি, ডি এবং ই, সেই সঙ্গে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যামাইনো অ্যাসিড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ। তাহলে বুঝতেই তো পারছেন প্রতিদিন যদি এক চামচ করে মধু খান, তাহলে শরীর কত ভাল হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, যাদের হজমের সমস্যা আছে তারা প্রতিদিন মধু খেলে রোগ একেবারে সেরে যায়। আর যদি আপনার কেনা মধু নকল হয়, তাহলে কোনও কাজেই আসে না। স্বাদও আসল মধুর থেকে খুব খারাপ হয়। তাই এবার থেকে মধু কিনলেই ব্র্যান্ডেড কিনবেন, যেখান সেখান থেকে কিনলে কিন্তু বিপদ!

English summary

আপনি যে ভেজাল মধু কিনছেন না তা বুঝবেন কীভাবে?

Most of the honey available in the market is honey adulterated with corn syrup? How to check if honey is adulterated? Read on to know...
Story first published: Tuesday, March 21, 2017, 10:49 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion