Just In
পিরিয়ডের সময় সুস্থ থাকতে এই খাবারগুলি খাওয়া জরুরি
এই সময় শরীরের অন্দরে নানা রদ বদল হতে থাকে। যে কারণে মন মেজাজ একেবারেই ঠিক থাকে না। এক্ষেত্রে মুড ভাল করতে দারুনভাবে কাজে আসতে পারে ডার্ক চকোলেট।
মাসের এই একটা সময়ে মহিলাদের অতিরিক্ত সাবধান থাকাটা জরুরি। কারণ পিরিয়ডের সময় শরীর একেবারেই ঠিক থাকে না। সেই সঙ্গে যদি আরও কিছু সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে কিন্তু বিপদ! তবে এই প্রবন্ধে এমন একটি ডায়েট চার্ট সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা মেনে চললে পিরিয়ডের যন্ত্রণা তো কমবেই, সেই সঙ্গে শরীরের অন্য সব সমস্যাও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে। তাই তো মাসের এই নিদিষ্ট দিনগুলিতে সুস্থ থাকতে এই ডায়েট চার্ট মেনে চলাটা একান্ত প্রয়োজন।
খাবারের সঙ্গে আমাদের শরীরের সম্পর্কটা বেশ নিবিড়, তাই তো পিরিয়ডের কষ্ট কমাতে নানাবিধ খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এবার থেকে এই ধরনের যন্ত্রণা কমাতে আর পেন কিলার খাবের না। বরং এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলি বেশি করে খাওয়া শুরু করবেন, তাহলেই দেখবেন কেল্লাফতে!
চলুন তাহলে... আর আপেক্ষা না করে এখনই জেনে নেওয়া যাক সেই বিশেষ খাবারগুলি সম্পর্কে।
১. ডার্ক চার্ট:
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরকে চাঙ্গা করার পাশাপাশি মন ভাল রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, এই সময় শরীরের অন্দরে নানা রদ বদল হতে থাকে। যে কারণে মন মেজাজ একেবারেই ঠিক থাকে না। এক্ষেত্রে মুড ভাল করতে দারুনভাবে কাজে আসতে পারে এই খাবারটি। আসলে ডার্ক চকোলেট খেলে শরীরে সেরোটনিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে মন এবং শরীর, উভয় ভাল হতে শুরু করে।
২. বাদাম:
মাসের এই নির্দিষ্ট সময়ে বেশি মাত্রা বাদাম খেতে হবে। তবে তা যেন হয় নুন ছাড়া। আসলে বাদামে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে। ফলে পিরিয়ডের যন্ত্রণা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
৩. ফল:
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং প্রাকৃতিক শর্করা, যা শারীরিক কষ্ট দূর করার পাশপাশি দুর্বলতা দূর করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, অনেকেরই পিরিয়ডের সময় খিদে খুব বেড়ে যায়। এই সময় বেশি ভাজভুজি বা ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার না খেয়ে ফল বেশি করে খাবেন। এতে শরীরে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা তো কমবেই, সেই সঙ্গে ক্ষিদেও মিটবে।
৪. হোল গ্রেন:
পিরিয়ডের সময় এই জাতীয় খাবার খেলে একদিকে যেমন শারীরিক ক্ষমতা বাড়ে, তেমনি যন্ত্রণাও কমে। আসলে হোল গ্রেনে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট, যা কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা বাড়ায়, সেই সঙ্গে পিরিয়ডের সময়কার ক্ষিদের জ্বালাও মেটায়।
৫. বেশি নুন দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলবেন:
এই সময় বেশি মাত্রায় নুন খেলে স্টমাকে জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে তেলপেটে অস্বস্তি আরও বাড়ে। তাই তো পিরিয়ডের সময় সুস্থ থাকতে যতটা সম্ভব চিপস জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভাল।
৬. পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খেতে হবে:
পিরিয়ড চলাকালীন প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া জরুরি। এমনটা করলে স্টমাকে জল জমার আশঙ্কা কমে। ফলে পেটের যন্ত্রণা এবং অস্বস্তি দূর হয়। তাই এবার থেকে যন্ত্রণা সহ্য করতে না পারলেই এই ঘরোয়া পদ্ধতিটির সাহায্য নিতে বুলবেন না। দেখবেন বেশ উপকার পাবেন।
৭. ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড:
শরীরের জন্য় উপকারি এই উপাদানটি পিরিয়ডের সময়কার যন্ত্রণা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো এই সময় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- মাছ, কুমড়োর বীজ, তিসি বীজ প্রভৃতি বেশি করে খেতে হবে।
৮. পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া মাস্ট:
কলা, মিষ্টি আলু, অ্যাভোকাডো, বিনস প্রভৃতি খাবারে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে। তাই তো এই সব খাবারগুলি মাসের এই নিদির্ষ্ট সময়ে খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। আসলে এই খনিজটি পিরিয়ডের সময়কার শারীরিক অস্বস্তি এবং যন্ত্রণা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৯. ক্যালসিয়াম:
এই সময়কার নানাবিধ শারীরিক সমস্যা কমাতে ক্যালসিয়াম এবং ভিটমানি ডি দারুনভাবে সাহায্য করে। তাই যখনই দেখবেন পিরিয়ডের যন্ত্রণা খুব বেড়ে গেছে, তখন বেশি করে দুধ খেতে শুরু করবেন। প্রসঙ্গত, দুধে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি দুটিই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। তাই তো এই সময়কার শারীরিক কষ্ট কমাতে এই এই খাবারটি এতটা কাজে আসে।
১০. ভিটামিন:
পিরিয়ডের সময়কার যন্ত্রণা কমাতে ভিটামিন বি৬ দারুন কাজে আসে। আর এই উপাদানটি বেশি মাত্রায় রয়েছে ব্রকলি এবং দানা শস্যে। তাই তো মাসের এই নিদির্ষ্ট সময়ে এই জাতীয় খাবার খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।