Just In
ঘুম থেকে ওঠার পরেও ত্বক থাকবে তরতাজা এবং সুন্দর!
ঘুম থেকে ওঠার পরেও ত্বক থাকবে তরতাজা এবং সুন্দর!
বেশিরভাগই ঘুম থেকে ওঠার পরে কাজ করার এনার্জি পান না। আর ত্বকের অবস্থা হয় অনেকটা শুকিয়ে যাওয়া ফলের মতো। সৌন্দর্য তো দূরে থাক, ফোলা চোখ আর কুঁচকে যাওয়া ত্বক যেন বারং বারং তাদের কষ্টের কথা জানান দিতে থাকে। এমন অবস্থার পরিবর্তন কিন্তু সম্ভব। রাতে শুয়ে যাওয়ার আগে কতগুলি সহজ নিয়ম অনুসরণ করলেই দেখবেন সকাল গুলো হয়ে উঠবে তরতাজা। শরীর তো চনমনে লাগবেই, সেই সঙ্গে ত্বকও হয়ে ওঠবে প্রাণচঞ্চল।
শরীর ও ত্বক কতটা ভালো থাকবে তা অনেকাংশেই নির্ভর করে ডায়েটের উপর। তাই বেশি মাত্রায় মিষ্টি, নুন এবং ভাজাভুজি খাবেন না। যত এইসব খাবার খাবেন, তত কিন্তু আপনার ত্বক তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যাবে।
তাহলে অপেক্ষা কিসের। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেইসব সহজ পদ্ধতিগুলি সম্পর্কে, যা ত্বক ও শরীরকে চনমনে রাখতে সাহয্য় করে।
১. ফেসিয়াল মিস্ট:
জল এবং কয়েক ড্রপ লেভেন্ডার তেল মিলিয়ে একটা মিশ্রন বানিয়ে ফেলুন। এই মিশ্রনটি শুতে যাওয়ার আগে মুখে লাগালে আরাম পাবেন। ফলে তাড়াতাড়ি ঘুম এসে যাবে। আর একথা তো সকলেরই জানা যে রাতের ঘুম যত ভালো হবে, ত্বক ও শরীর তত সুন্দর হয়ে উঠবে।
২. ফেসিয়াল অয়েল:
রাতে মনে করে মুখে পছন্দসই কোনও ফেসিয়াল অয়েল লাগাবেন। এমনটা করলে ত্বক নরম ও সুন্দর হয়ে উঠবে। ফলে সকালে উঠে শুষ্ক এবং কুঁচকে যাওয়া মুখমণ্ডল আর দেখতে হবে না।
৩. জল:
শুতে যাওয়ার আগে বিছানার পাশে এক বোতল জল রাখতে ভুলবেন না। কী করবেন সেই জল দিয়ে? ঘুমতে যাওয়ার আগে এবং ঘুম থেকে উঠে জল খাওয়াটা মাস্ট! এই অভ্য়াস আপনার ত্বককে সুন্দর তো করবেই, সেই সঙ্গে সকাল সকাল মুখে য়ে গুর্গন্ধ হয়, তাও দূর করবে।
৪. স্লিপিং মাস্ক:
এটি একবারে নতুন একটা পদ্ধতি। তবে বেশ কার্যকরি। ঘুমতে যাওয়ার আগে মুখে এই মাস্ক লাগিয়ে শুয়ে পরতে হয়। এটি সারা রাত ধরে ত্বকের নানা ক্ষত দূর করে। ফলে সকালের মধ্য়ে ত্বক হয়ে ওঠে তরতাজা এবং প্রাণচঞ্চল।
৫. ফেশ ওয়াশ:
রাতে এবং সকালে অবশ্য়ই মুখ পরিষ্কার করুন। অপরিষ্কার ত্বক নানা ধরনের রোগকে ডেকে আনে। ফলে ত্বক খারাপ হতে শুরু করে।
৬. গেজেট নৈব নৈব চ!
ঘুমতে যাওয়ার আগে যতই ফেসবুক বা হোয়াটস অ্যাপ করার ইচ্ছা জাগুক না কেন, একেবারেই এমনটা করবেন না। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ঘুমতে যাওয়ার আগে মোবাইল ঘাটলে ঘুম ব্য়হত হয়। আর যেমনটা আগেও বলেছি পর্যাপ্ত ঘুম কিন্তু সুস্থ এবং সুন্দর থাকার গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি।